রাসূলের শানে বেয়াদবি নিয়ে প্রশ্ন

Question

আসসালামু আলাইকুম ,

আমি কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটা বিষয় নিয়ে এখন খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছি ।
আমি কিছুদিন আগে স্স্বামীর সাথে কথা বলার এক মুহুর্তে তাকে ঘরে এসে বউকে সাহায্য করার কথা বোঝাতে গিয়ে একটা কথা বলে ফেলি । আমি তাকে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্রের সৌন্দর্য  বোঝাতে গিয়ে তিনি যে তার স্ত্রীদের কত হেল্প করতেন কত মায়া একজন মহামানব হয়েও সেটা বলছিলাম ।

আমি তারপর আমার স্স্বামীকে এভাবে বলে ফেলি যে "সে যদি এত ব্যস্ত থাকার পরও, নবীর দায়িত্ব পালনের মত কাজ করার পরও বউদের সাহায্য করতে পারে , তাহলে তুমি কি তার চেয়ে বড় চেটের বাল হয়ে গেছ?"  কথাটা আমি ২ বার বলি । পরে  সাথে সাথে বুঝতে পারি আমি রাসুলের প্রশংসা করতে গিয়ে হয়ত ভুলভাবে কথা বলেছি ।
পরে আমি এজন্য তওবা করি আল্লাহর কাছে । এখন আমার আবার দুশ্চিন্তা হচ্ছে যে আমি কি মুরতাদ হয়ে গেলাম বা কুফুরি করে ফেল্লাম কিনা! আমার রাসুলের প্রশংসা করার উদ্দেশ্যে ছিল আর কিছু না ।

আমাকে দয়া করে এই জানাবেন আমার করনীয় কি?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".

আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)

উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,

الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)

প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।