আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ি।আমি বিবাহিত সন্তান নেই। পড়াশোনার খাতিরে দূরে থাকাই হাজবেন্ডের হক নষ্ট হয় তবে তিনি অসন্তুষ্ট নন । আমরা তিন বোন ,আমার বাবাও অসুস্থ এবং তার আর্থিক অবস্থা এতোই গরিব যে নিজেদের এক কাঠা জমি ও ঘরবাড়ি নেই, বাবা ছাড়া মাহরাম ২ কাকা,, তবে তাদের নিজের সংসারের অনেক দায়িত্ব।

মামা আছেন,,তবে দেখার মতো অবস্থায় নেই।

রেগুলার দায়িত্ব মেক্সিমাম আমার কাকাররা পালন করেন,,


আর হাসবেন্ড এর ওপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল।তিনি মাঝে মাঝে গুরুতর অসুস্হ হোন,,ডায়াবেটিস আছে সাথে,, আমার হাই প্রেসার ও রেয়ার ডিজিজ। তিনি সুস্থ থাকলে আমাদের শশুর বাড়ির সবার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ইনকাম করার তৌফিক আল্লাহ তাকে দেন কিন্তু অসুস্থ করলে পুরো ইনকাম বন্ধ।এজন্য ব্যাকআপ হিসাবে তিনি আমাকে পড়াশোনার অনুমতি দিয়েছেন কিনা আমি জানিনা।


এমন অবস্থায় নিজের বাবার পরিবারের অবস্থা এবং স্বামীর অবস্থা বিবেচনায় এই সহশিক্ষা আমি কন্টিনিউ করবো?

On behalf

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি সহশিক্ষা ব্যবস্থায় ও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। শিক্ষা সমাপ্তির পর পর্দা রক্ষা করে চাকুরীও করতে পারবেন। যদি পর্দা রক্ষা করে চাকুরী করা সম্ভব না হয়, এবং এদিকে অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হয়, তাহলে তখন হাত মুখ খুলা রাখা অবস্থায়ও চাকুরী জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...