আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।৮ টা প্রশ্ন জানার ছিল।

১।কেউ জানে না যে কোয়ান্টাম শিরক বা কুফরি। একদম জানে না সে যদি বলে সে কোয়ান্টামে যাবে কিন্তু পরে না যায় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

২।কেউ এ বিষয়ে একদম না জেনে কোয়ান্টামে যায় আর করে পরবর্তীতে জানার পর তওবা করে তাহলে কি তার ঈমান থাকবে নাকি ঈমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবে?বিবাহ নবায়ন করতে না পারলে কোন গুণাহ হবে?
৩।এমন আরো অনেক কিছু যেসব বলা,করা আর বিশ্বাস করা শিরক বা কুফরি বা ইমান চলে যেতে পারে এসব বিষয়ে না জেনে করে ফেললে জানার পর তওব কারলে তার কি ঈমান থাকবে?আবার ঈমান নবায়ন করতে হবে?

৪।একদম জানে না এবং শুনেও নি এখন আস্তে আস্তে জানার চেষ্টা করতেছে সব কিছু নিয়ে, যা যা জানে যতটুকু জানে সেভাবে চলা মানুষের জন্য ও কি একই হবে? মানে অজ্ঞতা  গ্রহণ যোগ্য হবে?পরে জানার পর তওব করলে হবে?

৫।কেউ কাউকে কথা বুঝানোর জন্য যদি বলে 'আমি হিন্দু বা আমি অমুসলিম তখন আমার ঈমান চলে যাবে '।মানে বুঝাতে চেয়েছে যে যদি সে অমুসলিম হয় তাহলে তখন ঈমান যাবে যে এমনিতে না, আর নিজেকে অমুসলিম বলে পরিচয় দেয় নি।কথা বুঝানোর দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?

৬।কাউকে এমনিতে মনে সাহস বা ভালবেসে বললো 'চিন্তা করো না আমি আছি না?'এটা বুঝানো যে তুমার পাশে আমি আছি।এমন বললে কি কোন সমস্যা হবে?

৭।কেউ যদি বলে আল্লাহ  দাজ্জাল আসার আগে মৃত্যু দিও বা দাজ্জাল আসার আগে মরে গেলে ভাল হবে ঈমান রাখতে পারব না, কেউ যদি ভয়ে এমন বলে কথার ছলে, না বুঝে, আর ঈমান নিয়ে মরার ভয়ে কয়েকজন বসে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?অমুসলিম হতে না চেয়ে ঈমান রক্ষার ভয়ে বা ঈমান রাখা কষ্ট হবে সে ভয়ে?

৮।একসাথে কয়েকটা মাজহাবের ফতোয়া নেওয়ার পর, পরে ঠিকি নিজের মাজহাব অনুসরণ করলে এবং  তওবা করলে তার কি কোন সমস্যা হবে? ফতোয়া নেওয়া যায় না জানে কিন্তু সেটা কোন পর্যায়ের গুণাহ বুঝতে না পেরে এমন টা করলে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোয়ান্টাম মেথড এগুলে কুফরি ও শিরকি কাজ। এগুলো থেকে বেচে থাকতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16181

তাওবাহর দ্বারা আল্লাহ পাক সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার-৫৩)

তাওবাহ করলে আল্লাহ সকল প্রকার গোনাহকেও ক্ষমা করে দেন। তাওবাহ করার পর নেক কাজ করলে, আল্লাহ তা'আলা পূর্বে গোনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা ফুরকান-৬৯) এ সম্পর্কে আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1012


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...