বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়।অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে।দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে। এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।
তবে সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়,তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে।এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ করা যাবে না।বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ।সময় সুযোগ না থাকলে অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫১৭)তবে পড়ে নেয়াটা-ই উত্তম।কেননা বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরের সময় সুন্নাত পড়েছেন।(তিরমিযি-১/৭২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মুসাফির অবস্থায় সুন্নাত নামাজ না পড়লে যদিও গোনাহ হবে না। তবে পড়াটা উচিত।
(২) মুসাফির অবস্থায় জর থাকলে ছেড়ে ছেড়ে উঠে হাত পা ব্যথা করে, এমতাবস্থায় সুন্নাত নামাজ না পড়লে গোনাহ হবে না।
(৩) বাবা মারা গেলে নাবালক সন্তানকেই ইয়াতিম বলা হয়ে থাকে।
(৪) সামর্থ্য থাকলে ইয়াতিমদেরকে খাওয়ালে এবং তাদের মাথায় হাত ভুলালে অন্তর নরম হয়। তবে কেউ যদি না করে, তাহলে এজন্য আল্লাহ পাক বা রাসুল সাঃ এর মহব্বতে কোনো সমস্যা হবে না।