আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
কোন ব্যাক্তি ঈমান ভাঙার কারণ নিয়ে বিস্তারিত না জানার কারণে যদি বড় শিরক ও কুফরি করে ফেলে না জানার কারণে, ভুলে।যেগুলো জানা ফরজ।ওজর প্রযোজ্য হবে না। পরে জানার পর তওবা করে ও ঈমান নবায়নের পর ।আর বিবাহ নবায়ন কোনভাবে সম্ভব না হয় তাহলে কি তার গুণাহ হবে?পরিবারকে বা স্বামীকে বিবাহ নবায়নের কথা বলার বা বুঝানোর পর ও নবায়ন না করলে তার কি কোন সমস্যা হবে?

১।কারো যদি এমন হয় বিয়ে নবায়নের কথা বুঝাতে গেলেই স্বামী বা শ্বশুর বাড়ির লোকজন  রেগে যায় কিছুতেই বুঝানো না যায় অজ্ঞতার কারণে তাদের।এমতাবস্থায় কি তওবা আর ঈমান নবায়ন করলে হবে? বিয়ে নবায়ন করতে না পারলে কোন সমস্যা বা গুণাহ হবে?

2।পূর্বে কোন ব্যাক্তি ঈমান ভাঙার কাজ করে ফেললে না জেনে,ছোট শিরক বা কবিরা গুণাহ ভেবে বা বিস্তারিত না জেনে  একদম।যেগুলোতে ওজর প্রযোজ্য হবে না এমন কাজ ও যদি না জেনে করে ফেলে।এগুলোর জন্য এখন  জানার পর তওবা করলে কি বিবাহ ঠিক থাকবে?

এই বিষয়টা একটু এমনিতে জানার ছিল।

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঈমান নবায়নের জন্য কোনো আলেমের নিকট যাওয়া জরুরী নয়।এবং গোসল করাও জরুরী নয়। বরং নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে নিলেই হবে।ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।
প্রকাশ থাকে যে, কুফরি এবং শিরকি শব্দ বা বাক্যকে চিহ্নিত করা ততটা সহজ কাজ নয়। এই জন্য বলা যায় যে, যদি কেউ কিছু বলে বা  লিখে,তাহলে সম্পূর্ণ বক্তব্য কোনো মুফতি সাহেবের নিকট উল্লেখ করে বুঝে নিতে হবে যে, বাক্যটাতে শিরক রয়েছে কি না? সাধারণত মুসলমান থেকে যে সব বড় বড় গোনাহ হয়ে থাকে, এগুলো ফিসক বা গোনাহ/কবিরা গোনাহ,যা তাওবাহ দ্বারা মাফ হয়ে যায়। হ্যা, যদি শিরক বা কুফরির নিকটবর্তী কোনো গেনাহ হলে, যেমন, আল্লাহ ব্যতিত ভিন্ন কাউকে খোদা মনে করে সিজদা দেওয়া, এমনটা করলে অবশ্যই ঈমান থাকবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/79330


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একজন পুরুষ দুইজন মহিলা অথবা দুইজন পুরুষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুল করে নিলেই ঈমান নবায়ন হয়ে যায়। সুতরাং স্বামী বা শশুড় বাড়ীর লোকজন সম্মতি না দিলে নিজ বাবার বাড়ীতে গিয়েও বিবাহকে নবায়ন করতে পারবেন। ক্ষেতভেদে ঈমান নবায়ন ওয়াজিব। সুতরাং নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপূর্ণ বিবরণ জানার পর মুফতি সাহেব বলে দিতে পারবেন যে, বিবাহ নবায়ন করা কি ওয়াজিব? 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...