আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (96 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১।কেউ জানে না যে কোয়ান্টাম শিরক বা কুফরি। একদম জানে না সে যদি বলে সে কোয়ান্টামে যাবে কিন্তু পরে না যায় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

২।কেউ এ বিষয়ে একদম না জেনে কোয়ান্টামে যায় আর করে পরবর্তীতে জানার পর তওবা করে তাহলে কি তার ঈমান থাকবে নাকি নবায়ন করতে হবে?

৩।এমন আরো অনেক কিছু যেসব বলা,করা আর বিশ্বাস করা শিরক বা কুফরি বা ইমান চলে যেতে পারে এসব বিষয়ে না জেনে করে ফেললে জানার পর তওব কারলে তার কি ঈমান থাকবে?আবার ঈমান নবায়ন করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (84,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/27501/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কোয়ান্টাম মেথড/মেডিটেশনের অনেক দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের খেলাফ।

তার মধ্যে অন্যতম হল, তারা বলে যে মন সকল শক্তির উৎস চেতনা অবিনশ্বর, প্রাণ রহস্যের চাবিকাঠি।’

,

মেডিটেশনের এ বিশ্বাস ও  দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্কারভাবে কুফর ও শিরক। কেননা, ইসলাম কেবল আল্লাহকেই সকল শক্তির মূল উৎস ও সাফল্যের চাবিকাঠি মনে করে। অন্য কোন কিছু সকল শক্তির উৎস, অবিনশ্বর, প্রাণ রহস্যের চাবিকাঠি মনে করা বা বিশ্বাস করা আল্লাহর সাথে সুস্পষ্ট শিরক। আল্লাহ বলেন,

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلّهِ جَمِيعاً وَأَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ

আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। (সূরা বাকারা ১৬৫)

,

কোয়ান্টাম মেথড / মেডিটেশনের লক্ষ্য হ’ল অন্তর্গুরুকে পাওয়া। তাদের ভাষায়, ‘মেডিটেশনের মাধ্যমেই আপনি সংযোগ সাধন করতে পারেন আপনার  ‘অন্তরের আমি’র  সাথে, আপনার শক্তির মূল উৎসের সাথে।

,

মেডিটেশনের এই দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ। মূলতঃ ‘অন্তরের আমি’ হল নফসে আম্মারা; যার অনুসরণের পরিণতি হল জাহান্নাম। এদেরকে লক্ষ্য করেই আল্লাহ বলেন,

 أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَٰهَهُ هَوَاهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا-أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ ۚ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ ۖ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا

আপনি কি দেখেছেন ঐ ব্যক্তিকে, যে তার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত। (সূরা ফুরক্বান ৪৩-৪৪)

,

কোয়ান্টাম মেথড সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/6088/

,

সুতরাং এ থেকে বেঁচে থাকা ঈমানের অপরিহার্য দাবী। 

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি সে কোয়ান্টামে না যায় এবং তাদের ঈমান বিধ্বংসী আকীদাসমূহ বিশ্বাস না করে তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

,

২. তাদের ঈমান বিধ্বংসী আকীদাসমূহ বিশ্বাস না করে থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আর যদি করে থাকে তাহলে অবশ্যই ঈমান নবায়ন করতে হবে এবং তওবা করতে হবে।

,

৩. একজন মুসলমানের জন্য ঈমান বিধ্বংসী জিনিসসমূহ জানা এবং তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। সুতরাং যে বিষয়গুলো সাধারণত সবাই জানে তা যদি কেউ তার অজ্ঞতার কারণে না জানে তাহলে সেটা ওজর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং এই ক্ষেত্রেও ঈমান বিধ্বংসী কাজের সাথে সে ব্যক্তি জড়িত হলে তারও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঈমান নবায়ন করে নিবে এবং তওবা করবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...