আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার স্বামী দেশের বাইরে থাকে।আমার স্বামী  নভেম্বর মাসে মৌখিকভাবে স্বইচ্ছায়  ১তালাক দেয় এবং উনি বলেন যে পরবর্তী ২মাসে বাকি দুইটা দিবে। ঠিক সেই সময় উনি আমার বাবাকে নিয়ে আমার সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলাতে চারিত্রিক দিক নিয়ে অযাচিত গালিগালাজ করায় আমি বলি যে একবারেই এখনই ৩তালাক দিয়ে দিতে।কিন্তু উনি তখন আমাকে বলে যে আমি দিবোনা তুই দে আমি তোদের দেওয়া ফার্নিচার দিয়ে দিচ্ছি এখনই ৩তালাক দে। মানে উনি আমাকে তালাকের অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলো।

ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে আমি মনস্থির করে সিদ্ধান্ত নেই যে আমি উনাকে আইনিভাবে তালাক প্রদান করবো।কাবিননামার ১৬/১৭ দাগে তালাক নেওয়ার অনুমতি আমাকে দেওয়া হয়েছে।আমি একসাথে ৩তালাক প্রেরণ করি নোটিশ দিয়ে আইনিভাবে।
জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে উনি আমাকে এসে হাতে পায়ে ধরে যে তোমার তালাক প্রদানের ১মাস হয়েছে এখনো ৯০দিন হয়নি তুমি ফিরে চলো(যেহেতু আইনিভাবে তালাক প্রদান করেছিলাম)। আমি উনার সাথে ফিরে যাই কিন্তু আমার সন্দেহ লাগে যে আমার ইসলামিকভাবে ডিভোর্স হয়ে গেছে কিনা।
এরপর ৩মাস পার হওয়ার পর আইনিভাবে ডিভোর্স উইথড্র করিনি বিধায় আইনিভাবে আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে গত ৬মাস আগে।
তাকে তালাক দিতে মনস্থির করার কিছু মেইন কারণ-
১.উনি নামায আদায় করেননা।৬বছর চেষ্টা করে আমি পারিনি।
২.বিভিন্ন নারীদের সাথে চ্যাটিং এর অভ্যাস। বুঝিয়ে বাড়িতে সবাইকে বলেও কাজ হয়নি
৩.শারীরিক সমস্যা বিয়ের আগে থেকে যেটা আমার সাথে গোপন করা হয়েছিলো এই বিষয়ে কোনো ট্রিটমেন্ট ও সে নেয়না।
৪.আমাকে তালাকের অনুমতি দিয়েছিলো।
৫.উনাদের দেওয়া কোনো জিনিস আমি নেইনি।কাবিনের টাকা ১টাকাও পরিশোধ করেনি তাই ফেরত দেওয়ার ব্যাপার ছিলোনা।

সব ভেবেই আমি তালাক প্রদান করি কিন্তু ১ইদ্দতের পরে চলে যেয়ে ভুল আবারও বুঝতে পারি

উনি ১তালাক প্রদানের পর আমার ২ইদ্দত পালন হয়  আর আমি ফিরে যাই।
 আর আমি আইনিভাবে ৩তালাক প্রদানের পর ১ইদ্দত পালন হয়।
মূলত তালাক দুই দিক থেকেই প্রদান করা হয়েছে।এমতাবস্থায় কি তালাক হয়ে গেছে?
আমার প্রশ্ন উনি ১তালাক দেওয়ার পর আমার ২ইদ্দত পালন করার পর ব্যাক নিয়ে যায়।
আমি ৩তালাক দেওয়ার পর ১ইদ্দত পালন করার পর ব্যাক নিয়ে যায়। ১ তালাক ও ৩তালাকের নিয়মটা কি?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(وَأَمَّا) بَيَانُ صِفَةِ الْحُكْمِ الثَّابِتِ بِالتَّفْوِيضِ: فَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ غَيْرُ لَازِمٍ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ حَتَّى تَمْلِكَ رَدَّهُ صَرِيحًا أَوْ دَلَالَةً لِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ جَعْلَ الْأَمْرِ بِيَدِهَا تَخْيِيرٌ لَهَا بَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ نَفْسَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ زَوْجَهَا، وَالتَّخْيِيرُ يُنَافِي اللُّزُومَ وَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ إذَا خَرَجَ الْأَمْرُ مِنْ يَدِهَا لَا يَعُودُ الْأَمْرُ إلَى يَدِهَا بِذَلِكَ الْجَعْلِ أَبَدًا،
তাফবীযে তালাকের মাধ্যমে অর্জিত তালাকের অধিকার স্ত্রীর জন্য গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।এমনকি স্ত্রী প্রকাশ্যে বা ইশারায় সেই অধিকার কে ফিরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে। কেননা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, স্ত্রীর হাতে অর্পিত অধিকারটি তার ইচ্ছাধীন।স্ত্রী চাইলে সে তার অধিকার কে বাস্তবায়িত করতে পারে, আবার সে স্বামীকে গ্রহণ করেও নিতে পারে।সুতরাং ইচ্ছাগত বিষয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী। এ হিসেবে বলা যায় যে,যখন স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃত প্রদত্ত তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে দেবে তখন পূর্বে প্রদত্ত অধিকার দ্বারা স্ত্রী আর নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করতে পারবে না।(বরং নতুন করে আবার স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী তালাকের মালিক বনবে।) (বাদায়ে সানায়ে-৩/১১৭)

তালাকের অধিকার প্রদাণের মূহুর্ত সময়কালের কোনো উল্লেখ না থাকলে, তালাকের অধিকার দেয়ার পর মজলিসের ভিতরে সেই অধিকারকে গ্রহণ করা যাবে এবং ফিরিয়েও দেয়া যাবে। মজলিস শেষ হওয়ার পর স্ত্রীর আর সেই অধিকার গ্রহণের সুযোগ থাকবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/67418

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী যখন তালাকের অধিকার দিয়েছিলো তখন সাথে সাথেই মজলিসের ভিতর যেহেতু আপনি তালাক গ্রহণ করেননি, তাই এই অধিকার বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং পরবর্তীতে আপনি যেই তালাকের নোটিশ প্রেরণ করেছেন, তা কার্যকর হবে না। সুতরাং ১ তালাকে  পর ইদ্দতের ভিতর যদি স্বামী আপনাকে ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আপনাদের জন্য সংসার করা বৈধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...