আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (2 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার ভাই আমাকে  একটা স্বর্ণের চেইন হাদিয়া দিয়েছিলেন ও আমার মা আমাকে রূপার নুপুর বানিয়ে দিয়েছিলেন।  চেইন ও নুপুর আমি ব্যবহার করি না, আমার কাছেও নাই।  আমার মায়ের কাছে আছে। আমি চাইলেও স্বর্ণ বা রূপা নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবো না।  চেইনের ওজন ৮ আনা ও রূপার ওজন আড়াই ভরি।

তবে আমি স্বর্ণের দুল ব্যবহার করি যেটার ওজন দেড় আনা।  আর আমার জমানো ১৪ হাজার টাকা আছে (এগুলোর অধিকাংশই হারাম আয়ের টাকা)। উল্লেখ্য যেহুতু আমার পরিবার আমার খরচ দেয় না তাই এই ১৪ হাজার টাকা আমার পড়াশোনার খরচ সহ যাবতীয় খরচ বাবদ জমিয়ে রেখেছি। এই টাকা থেকেই আমি পড়াশোনার খরচ ও অন্যান্য খরচে ব্যায় করি। কারণ আমার ভাইয়াদের ইনকাম হারাম ও আমার বাবা মৃত। আমি টিউশনি করে ৮০০ টাকা পাই।  আরেকটা জায়গা থেকে ৫০০ টাকা পাই (তবে এটাও হারাম আয় থেকে আসে)। তাই এই জমানো টাকা থেকেই আমাকে আমার খরচ বহন করতে হয়।  আমার প্রশ্ন হলো

১। যেহুতু স্বর্ণ ও রূপা আমার কাছে থাকে না। তবে শুধু ব্যবহার করতে পারবো কিন্তু আমি বিক্রি করতে পারবো না তাহলে কি এই স্বর্ণের মালিকানা আমার আসবে? কারণ কয়েক জায়গায় পড়েছিলাম মালিক হওয়ার জন্য সম্পদোর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ শর্ত। অর্থাৎ বিক্রি করার ও ক্ষমতা থাকতে হবে।

২। আমার সকল পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার ওপর কি কুরবানি ওয়াজিব হবে।
৩। আমার ওপর কি যাকাত ফরজ হবে?

৩। স্বর্ণ ও রূপার ওপর মালিকানা আমার ওপর আসলে আমার মাকে মালিকানা দিতে চাইলে তাকে জানিয়ে দিব? নাকি না জানিয়ে দেওয়া যাবে? কারণ ভাইয়ারা মায়ের পক্ষ থেকে কুরবানি আদায় করে দেন। কিন্তু আমার পক্ষে কুরবানি ও যাকাত আদায় করা অনেক বেশি কষ্টকর।

৪। কুরবানি যদি ওয়াজিব হয় আর এই জমানো টাকা থেকে কুরবানি দিলে পরবর্তীতে পড়াশোনার খরচ সহ যাবতীয় খরচ বহন করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। কারণ আমার পরিবার আমার খরচ বহন করে না। আর স্বর্ণ ও রূপা আমার কাছে না থাকায় বিক্রিও করতে পারবো না। বাসায় বিক্রির কথা বললে অনেক ঝামেলা ও অশান্তি হবে। এমনকি এর জন্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারি। আর তারা আমার কুরবানীর খরচ বহন করবে না। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট যেই স্বর্ণের চেইন এবং নুপুর রয়েছে। এগুলোর মালিক আপনিই। আপনি আপনার মাকে বলবেন যে, আপনাকে পরিপূর্ণ মালিক বানিয়ে দিতে।যদি মা সম্মত না হন, তাহলে এগুলো মাকে দিয়ে দিবেন। তাহলে আপনাকে আর যাকাত কুরবানি দিতে হবে না। 

বর্তমানে যেহেতুআপনি মালিক তাই বৎসরের শুরু বা শেষে প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা থাকলে আপনার উপর যাকাত কুরবানি ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...