আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার ভাই আমাকে একটা স্বর্ণের চেইন হাদিয়া দিয়েছিলেন ও আমার মা আমাকে রূপার নুপুর বানিয়ে দিয়েছিলেন। চেইন ও নুপুর আমি ব্যবহার করি না, আমার কাছেও নাই। আমার মায়ের কাছে আছে। আমি চাইলেও স্বর্ণ বা রূপা নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবো না। চেইনের ওজন ৮ আনা ও রূপার ওজন আড়াই ভরি।
তবে আমি স্বর্ণের দুল ব্যবহার করি যেটার ওজন দেড় আনা। আর আমার জমানো ১৪ হাজার টাকা আছে। উল্লেখ্য এই ১৪ হাজার টাকা আমার পড়াশোনার খরচ সহ যাবতীয় খরচ বাবদ রেখেছি। এই টাকা থেকেই আমি পড়াশোনার খরচ ও অন্যান্য খরচে ব্যায় করি। কারণ আমার ভাইয়াদের ইনকাম হারাম ও আমার বাবা মৃত। আমি টিউশনি করে ৮০০ টাকা পাই। আরকেটা জায়গা থেকে ৫০০ টাকা পাই (তবে এরা হারাম আয় থেকে আসে)। তাই এই জমানো টাকা থেকেই আমাকে আমার খরচ বহন করতে হয়। আমার প্রশ্ন হলো
১। আমার ওপর কি কুরবানি ওয়াজিব হয়েছে?
২। কুরবানি যদি ওয়াজিব হয় আর এই জমানো টাকা থেকে কুরবানি দিলে পরবর্তীতে পড়াশোনার খরচ সহ যাবতীয় খরচ বহন করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। কারণ আমার পরিবার আমার খরচ বহন করে না। আর স্বর্ণ ও রূপা আমার কাছে না থাকায় বিক্রিও করতে পারবো না। বাসায় বিক্রির কথা বললে অনেক ঝামেলা ও অশান্তি হবে। আর তারা আমার কুরবানীর খরচ বহন করবে না। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
৩। আমার ওপর যাকাত ফরজ হবে কি?
৪। যেহুতু স্বর্ণ ও রূপা আমার কাছে থাকে না। তবে শুধু ব্যবহার করতে পারবো কিন্তুু আমি বিক্রি করতে পারবো না তাহলে কি এই স্বর্ণের মালিকানা আমার আসবে?
৫। স্বর্ণ ও রূপার ওপর মালিকানা আমার ওপর আসলে আমার মাকে মালিকানা দিতে চাইলে তাকে জানিয়ে দিব? নাকি না জানিয়ে দেওয়া যাবে? কারণ ভাইয়ারা মায়ের পক্ষ থেকে কুরবানি আদায় করে দেন। কিন্তু আমার পক্ষে কুরবানি ও যাকাত আদায় করা অনেক কষ্টকর।