আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

আসলে আমি একটা বিষয় নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবো না বলে বাসায় ছিলাম দীর্ঘদিন, এদিকে বিয়ের ব্যাপারেও আশানুরূপ পাচ্ছিলাম না বলে এখানেও দেরি হচ্ছিলো। ওই সময় টা আমি খুব ই স্ট্রেস আর অশান্তির মধ্যে ছিলাম। ১ বছর ৪ মাস আগে আমার ছোট ভাই মসজিদের সামনে থেকে একটা ২-৩ দিনের বিড়ালের বাচ্চা পেয়ে নিয়ে আসে, যার চোখ ও ফুটেনি। ওইটুকু বাচ্চা কেউ একজন ফেলে দিয়ে গেছিলো। তো আমি নিজেই পশু ডাক্তার। ও আনার পর ওই বাচ্চাকে আমি বড় করি। যেহেতু ও মা পায়নাই, চোখ ফোটার পর থেকেই আমাকে দেখে, আর আমি খাওয়ানো থেকে শুরু করে এভ্রিথিং দেখাশোনা করতাম। নিজের খাবার থেকে খাবার দিতাম ওর জন্য। ভ্যাক্সিন থেকে শুরু করে সব কিছু সময়মত দিতাম।মোট কথা একটা ছোট বাচ্চাকে যেভাবে বড় করতে হয় ওর জন্য আমি তা করেছি। ওর সাথে সময় কাটানোর জন্য আমি অন্যান্য কষ্টের সময় ভুলে গেছি, বা অনেক খারাপ সিচুয়েশনেও রিলিফ পেয়েছি। আল্লাহ হয়তো এজন্যই ওই সময়ে আমার কাছে পাঠিয়েছিলো। আমি সবসময় আল্লাহর কাছে দুয়া করেছি আল্লাহ যেন ওকে সুস্থ রাখেন আমাদের সাথে, দীর্ঘদিন। যেহেতু আমরা ৫ তলায় থাকতাম, ও সবসময় এখানেই থাকতো। রামাদানেও প্রচুর দুয়া করেছি। ৫ তলা থেকে পরে গিয়েও ও ভালো ছিলো। তখন বুঝেছিলাম হয়তো আমার দুয়ার জন্য আল্লাহ ওকে সুস্থ রেখেছেন।
গত ২ সপ্তাহ ধরে ওর ঠান্ডা জ্বর ছিলো, খাওয়া অফ ছিলো । ওকে ট্রিটমেন্ট করানোর পর পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলো, নিজে থেকে খাওয়া ও শুরু করলো। আবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে খাওয়া অফ। যেদিন নতুন ট্রিটমেন্ট করালাম, সেদিন রাতে জোর করে খাওয়ানোর পর, মেডিসিন খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পর ও বমি করে, আর ১ ঘন্টা কষ্ট করার পর মারা যায়। জোর করে আমি আগেও খাওয়াইছিলাম যখন খাওয়া অফ ছিলো। কিন্তু লাস্ট পরশু রাতে এমন খারাপ অবস্থা হঠাৎ, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ার মত হয়ে গেলো, মারা যাওয়ার আগে খুব কষ্ট হচ্ছিলো স্বাস নিতে। একদম আমার হাতের উপর কষ্ট পেতে পেতে মারা গেলো। আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি ও চলে যাবে।
যেহেতু ও সারাক্ষণ আমার সাথে থাকতো, আমার কাছে খাবার খুজতো, আমার কাছে ঘুমাতো, যখন যা দরকার আমার কাছে চাইতো এখন সব মিলে আমি খুব কষ্টে আছি। আমি জানি আল্লাহ ওর তাকদিরে এটুকু হায়াত রেখেছিলেন, কিন্তু যখন ই মনে হচ্ছে ওকে আর ধরতে পারবোনা কখনো, আর দেখতে পারবোনা দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর আশেপাশে সারাক্ষণ ওর স্মৃতি চোখে ভাসছে। ওর হাটা চলা, ঘুমানো, খেলা সব কিছু। এর আগে আমি কখনো কিছু পালি নি। এই ১ বছর ৪ মাস, ২৪ ঘন্টা বাসায় কেউ থাকুল আর না থাকুক ও ছিলো আমার সাথে। আমার আব্বু ছোট ভাই অন্য জেলায় থাকে, মাঝে মাঝে আম্মুও যায়, আমার বোনেরা জব করে, আমি একাই অনেক সময় থাকতাম, বা আম্মু আর আমি। এখন আমি কোনো ভাবেই ওর কথা সরাতে পারছিনা মাথা থেকে। ওকে আমি নিজের বাচ্চার মত পালন করেছিলাম।

১.আমি কিভাবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবো? এমন কিছু বলুন যাতে নিজেকে শান্ত করতে পারি। আমি একদম ই স্বাভাবিক হতে পারছিনা। বার বার ওর সব স্মৃতি মনে পড়ছে। মৃত্যুর আগে যে কষ্ট পাচ্ছিলো, হা করে স্বাস নিচ্ছিলো কোনো কিছু আমি ভুলতে পারছি না।
২. ওর তো হায়াত এটুকু ছিলো বলেই মারা গেলো তাইনা? আমার শুধু মনে হচ্ছে কেন আমি ওকে এভাবে জোর করে খাওয়ালাম। আমার ট্রিটমেন্ট কি আরো বেটার করা যেত! পরেই মনে হচ্ছে ওর হায়াত এটুকুই ছিলো। আমি ট্রিটমেন্ট না করলেও হয়তো তখন ই মারা যেত।
৩. ওর রুহ কি এখন আল্লাহর কাছে? ও কি ওখানে দুনিয়ার চেয়ে ভালো আছে তাইনা?

৪. ওখানে কি ও দুনিয়াতে ওর মালিক মানে আমার কথা মনে রাখবে? আমার যত্নের কথা?

৫. ইউটিউবে অনেক স্কলার দের ভিডিও থেকে দেখলাম কিয়ামতের দিন ওদের কোনো জুলুমের হিস্ট্রি থাকলে সেই বিচারের পর ওদের মাটি করে দেয়া হবে। আর জান্নাতের প্রানি অন্য রকম হবে দুনিয়ার মত হবে না। কিন্তু ও তো আমার কাছে অন্য সাধারণ প্রানির মত ছিলো না। আল্লাহ আমাকে জান্নাত নসীব করলে আমি যদি এই দুনিয়ার লিও কেই জান্নাতে চাই আল্লাহ দিবেন না? জান্নাতে তো বান্দার সব ইচ্ছা পূরণ করা হবে। আল্লাহ চাইলেই তো আমার বিড়ালের রুহ দিয়েই আমাকে জান্নাতে আমার বিড়াল কে ফেরত দিতে পারবেন, তাইনা! আর যদি এটাও দুয়া করি যে আল্লাহ যেন জান্নাতে আমার বিড়ালের কথা স্মরণ করিয়ে দেন আমি ভুলে গেলেও। এমন কিছু কি সম্ভাবনা আছে? নাকি এটা অসম্ভব কোনো চাওয়া।

আমি কি করতে পারি সব মিলিয়ে আমাকে নসিহত করুন। যাতে আমি শান্ত হতে পারি, অন্তর প্রশান্ত হয়। আমি সব প্রানী দের ই ভালোবাসি। ওর মেডিসিন কিনতে গিয়েও একটা ক্ষুধার্ত কুকুর কে খাবার দিয়েছিলাম আর দুয়া করেছিলাম এই উসীলায় যেন আল্লাহ আমার বিড়াল কে সুস্থ করে দেন একদম।

1 Answer

0 votes
ago by (668,220 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


জান্নাতবাসীদের সকল ইচ্ছা পূরণ করা হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

 وَ لَکُمۡ فِیۡہَا مَا تَشۡتَہِیۡۤ اَنۡفُسُکُمۡ وَ لَکُمۡ فِیۡہَا مَا تَدَّعُوۡنَ ﴿ؕ۳۱﴾ 
সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা কিছু তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা তোমরা দাবী করবে।
(সূরা হামিম সাজদাহ ৩১)

 وَ فِیۡہَا مَا تَشۡتَہِیۡہِ الۡاَنۡفُسُ وَ تَلَذُّ الۡاَعۡیُنُ ۚ وَ اَنۡتُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿ۚ۷۱﴾ 

সেখানে মন যা চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয় তাই থাকবে। আর সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।
(সুরা আয যুখরুফ ৭১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَحَدَّثُ - وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ -: إِنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ فِي الزَّرْعِ. فَقَالَ لَهُ: أَلَسْتَ فِيمَا شِئْتَ؟ قَالَ: بَلَى وَلَكِنْ أُحِبُّ أَنْ أَزْرَعَ فَبَذَرَ فَبَادَرَ الطَّرْفَ نَبَاتُهُ وَاسْتِوَاؤُهُ وَاسْتِحْصَادُهُ فَكَانَ أَمْثَالَ الْجِبَالِ. فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: دُونَكَ يَا ابْن آدم فَإِنَّهُ يُشْبِعُكَ شَيْءٌ . فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: وَاللَّهِ لَا تَجِدُهُ إِلَّا قُرَشِيًّا أَوْ أَنْصَارِيًّا فَإِنَّهُمْ أَصْحَابُ زَرْعٍ وَأَمَّا نَحْنُ فَلَسْنَا بِأَصْحَابِ زَرْعٍ فَضَحِكَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী (সা.) কথাবার্তা বলছিলেন। এ সময় তাঁর কাছে একজন গ্রাম্য বেদুইন উপস্থিত ছিল। তিনি (সা.) বললেন, জান্নাতবাসী এক লোক সেখানে কৃষিকাজ করার জন্য তার প্রভুর কাছে অনুমতি চাবে। তখন আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তোমার চাহিদা মতো সবই কি পাচ্ছ না? লোকটি বলল, হ্যা, তবে আমি কৃষিকাজ ভালোবাসি। অতঃপর সে বীজ বপন করবে এবং চক্ষুর পলকে তা উদ্গত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমনকি পাহাড়ের সমান স্তুপ হয়ে যাবে। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেন, হে আদম সন্তান নিয়ে যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয় না। তখন গ্রাম্য বেদুইন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! দেখবেন, সে হয়তো কোন কুরায়শী অথবা আনসার গোত্রীয় লোক হবে। কেননা তারাই কৃষিকাজ করে থাকে। আর আমরা তো কৃষিকাজ করি না। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার কথা শুনে হেসে দিলেন।
(বুখারী ২৩৪৮, মুসনাদে আহমাদ ১০৬৫০, সহীহুল জামি ২০৮০,মিশকাত ৫৬৫৩।)

ব্যাখ্যা: (رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ) অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তখন তাঁর পাশে একজন বেদুইন ব্যক্তি বসা ছিল। যিনি মরুতে বাস করেন।

(أَلَسْتَ فِيمَا شِئْتَ؟) আল্লাহ তা'আলা জান্নাতী লোকটিকে সম্বোধন করে বললেন, হে আমার বান্দা! তুমি যে জান্নাতে আছ তাতে কি সকল প্রকারের নাজ-নিআমাত নেই? এখানে তো খাদ্য-পানিয় ও সব ধরনের চাওয়া-পাওয়া বিদ্যমান। এখানে কৃষি উৎপন্ন শষ্যাদিও বিদ্যমান আছে। অতএব তুমি যা চাইবে তাই পাইবে।
(دُونَكَ يَا ابْن آدم) আল্লাহ তা'আলা বলবেন, হে আদম সন্তান! গ্রহণ কর যা তোমার মন চায়। এখানে সবকিছুই আছে। এটা সব কিছু পাওয়ার স্থান।

(فَإِنَّهُ يُشْبِعُكَ شَيْءٌ) অর্থাৎ জান্নাতে এত সব জিনিস থাকতেও তুমি কৃষি করতে চাচ্ছ। তাহলে কি কোন জিনিস দ্বারাই তুমি তৃপ্তি লাভ করবে না?

(فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: وَاللَّهِ لَا تَجِدُهُ إِلَّا قُرَشِيًّا أَوْ أَنْصَارِيًّا) বেদুইন লোকটি অবাক হয়ে বলল, জান্নাতে গিয়েও কৃষিকাজ করতে চাইবে? তাহলে এই স্বভাবের লোক কেবল কুরায়শের ও আনসারীদের মধ্য থেকেই হবে। এখানে বেদুইন লোকটি কুরায়শ বলতে মক্কাবাসী ও আনসারী বলতে মদীনাবাসীদেরকে বুঝিয়েছে। কেননা মক্কাহ্ ও মদীনাবাসী কৃষিকাজ করে থাকে। 
(ফাতহুল বারী হা. ২৩৪৮)

এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যদি জান্নাতী ব্যক্তি নিজ গৃহে সন্তান জন্মের বাসনা করে, তবে গর্ভধারণ, প্রসব, শিশুর দুধ ছাড়ানো এবং যৌবনে পদাৰ্পন সব এক মুহুর্তের মধ্যে হয়ে যাবে। [তিরমিযী: ২৫৬৩]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
জান্নাতবাসীদের সকল ইচ্ছা পূরণ করা হবে।
সুতরাং আপনি যদি জান্নাতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার কাছে উক্ত বিড়ালটিকে সাথে রাখার আবেদন করেন,আল্লাহ তায়ালা আপনার আবেদন পূরন করবেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-৫)
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে ওই বিড়ালটির মৃত্যু ওই সময় ছিল আপনার কোন কারণে তার মৃত্যু হয়নি বরং তার হায়াত ঐ পর্যন্তই ছিল তাই সে মারা গেছে। এটা নিয়ে আর চিন্তা না করার পরামর্শ থাকবে। 

আপনার প্রতি পরামর্শঃ-
ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে,মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।

এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ

যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩) 

ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ

এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)

মুমিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক মুল্যবান।
সময় পেলেই নফল ইবাদত,নেক কাজে মশগুল থাকা দরকার।
,
সুরা মুনাফিকুন এর ১০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰﴾

আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«اغتنم خمسا قبل خمس: شبابك قبل هرمك، وصحتك قبل سقمك، وغناك قبل فقرك، وفراغك قبل شغلك، وحياتك قبل موتك »

“তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণিমত-সুবর্ণ সুযোগ- মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার পূর্বে, তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও তোমার অসুস্থতার পূর্বে, তোমার সচ্ছলতাকে কাজে লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, তোমার অবসরতাকে কাজে লাগাও তোমার ব্যস্ততার পূর্বে, আর তোমার হায়াতকে কাজে লাগাও তোমার মৃত্যু আসার পূর্বে”।
বর্ণনায় হাকিম, হাদিস: ৭৮৪৬ তিনি হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী।

★সুতরাং আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাহাজ্জুদ ইশরাক চশত সহ অন্যান্য নামাজ আদায় করবেন। নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করবেন। নিয়মিত যিকির আযকার করবেন। নিজের বাড়ির কাজকর্ম করবেন। মা বাবার খেদমত করবেন।  বিবাহিতা হয়ে থাকলে স্বামীর খেদমত করবেন। সর্বদা ইবাদতের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন।

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (31 points)
জাযাকাল্লাহু খইরন উস্তায। আমি অবিবাহিত। 
আর অন্যান্য সব ফরয ও নফল ইবাদত পালন করার চেষ্টা করি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...