হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَا تُبَادِرُوا الْإِمَامَ إِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوْا وَإِذا قَالَ: ﴿وَلَا الضَّالّيْنَ﴾. فَقُولُوا: امِينَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَه فَقُولُوا: اللّهُمَّ رَبَّنَا لَك الْحَمْدُ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ইমামের পূর্বে কোন ‘আমাল করো না। ইমাম তাকবীর দিলে তোমরাও তাকবীর দিবে। ইমাম যখন বলবে ‘ওয়ালায্ যোল্লীন’, তোমরা বলবে ‘আমীন’। ইমাম রুকূ‘ করলে তোমরা রুকূ‘ করবে। ইমাম যখন বলবে ‘সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ’, তোমরা বলবে ‘‘আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদু’’।
(সহীহ : বুখারী ৭৩৪, মুসলিম ৪১৫।)
,
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ " إِنِّي إِمَامُكُمْ فَلاَ تُبَادِرُونِي بِالرُّكُوعِ وَلاَ بِالسُّجُودِ وَلاَ بِالْقِيَامِ وَلاَ بِالاِنْصِرَافِ فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ أَمَامِي وَمِنْ خَلْفِي " . ثُمَّ قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ رَأَيْتُمْ مَا رَأَيْتُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا " . قُلْنَا مَا رَأَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " رَأَيْتُ الْجَنَّةَ وَالنَّارَ " .
আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর তিনি আমাদের দিকে তার চেহারা ফিরিয়ে বললেন, আমি হলাম তোমাদের ইমাম। অতএব, তোমরা রুকুতে আমার আগে যাবে না। সিজদাতেও না, দাঁড়ানোতেও না এবং ফিরে যাবার সময়েও না। কেননা, আমি তোমাদের আমার সামনের দিক থেকেও দেখি এবং পেছনের দিক থেকেও। তারপর তিনি বললেন, ঐ আল্লাহর শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! যদি তোমরা ঐ জিনিস দেখতে যা আমি দেখেছি, তাহলে তোমরা অবশ্যই কম হাসতে এবং অধিক কাঁদতে। আমরা বললাম, আপনি কি দেখেছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, জান্নাত এবং জাহান্নাম।
(সহিহ, সহিহ আবু দাউদ হাঃ ৩৬৫, মুসলিম (ইসলামিক সেঃ) হাঃ ৮৫৬
আবু দাউদ ১৩৬৬)
البحر الرائق شرح كنز الدقائق - (1 / 352):
"وقوله: مع الإمام بيان للأفضل يعني الأفضل للمأموم المقارنة في التحريمة والسلام عند أبي حنيفة، وعندهما الأفضل عدمها؛ للاحتياط، وله أن الاقتداء عقد موافقة، وإنها في القران لا في التأخير، وإنما شبه السلام بالتحريمة؛ لأن المقارنة في التحريمة باتفاق الروايات عن أبي حنيفة، وأما في السلام ففيه روايتان، لكن الأصح ما في الكتاب، كما في الخلاصة".
সারমর্মঃ
আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে মুক্তাদির জন্য ইমামের সাথে সাথেই সালাম ফিরানো উত্তম।
তাকবিরে তাহরিমাতেও ইমামের সাথে সাথেই হওয়া উত্তম।
(০২)
হানাফি মাযহাব মতে সফর অবস্থায় হোক,বা অন্য কোনো অবস্থাতেই হোক,হজ্বের সময় আরাফা ও মুযদালিফা ছাড়া বাকি সময় দুই নামাজ একত্রে পড়া জায়েজ নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ
যানবাহনে নামাজের ওয়াক্তে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে যানবাহনেই নামাজ পড়তে হবে।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ
সমস্ত মাসয়ালাতেই নিজ মাযহাব অনুযায়ী আমল করতে হবে।
অন্যথায় নফস ও খাহেশাতের পূজা হবে,যাহা হারাম।
বিস্তারিত জানুনঃ