বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী।পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব।
এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।উনার জন্য জায়েয হবে না।হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻘﺪ ﻫﻤﻤﺖ ﺃﻥ ﺁﻣﺮ ﺑﺎﻟﺼﻼﺓ ﻓﺘﻘﺎﻡ ﺛﻢ ﺁﻣﺮ ﺭﺟﻼ ﻓﻴﺼﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﺛﻢ ﺃﻧﻄﻠﻖ ﻣﻌﻲ ﺑﺮﺟﺎﻝ ﻣﻌﻬﻢ ﺣﺰﻡ ﻣﻦ ﺣﻄﺐ ﺇﻟﻰ ﻗﻮﻡ ﻻ ﻳﺸﻬﺪﻭﻥ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﺄﺣﺮﻕ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺑﻴﻮﺗﻬﻢ ﺑﺎﻟﻨﺎﺭ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি কাউকে মসজিদের ইমাম নির্ধারন করে দেই যাতেকরে মসজিদে জামাত অনুষ্টিত হয়।অতঃপর অামি কিছু লোককে সাথে নিয়ে-যাদের সাথে লাকড়ি থাকবে- ঐ সমস্ত লোকদের বাড়িতে যাই, যারা জামাতে শরীক হয়নি।অতঃপর আগুন লাগিয়ে তাদের বাড়ীঘর-কে জ্বালিয়ে দেই।
(সুনানু আবি-দাউদ-৫৪৮)
এরা ঐ সমস্ত লোক,যারা নিজ ঘরে নামায আদায় করে নিতো।অথচ রাসূলুল্লাহ সাঃ চাইতেন, তারা যেন মুসলমানদের সাথে মসজিদে এসে নামায পড়ে।
এ জন্য ইবনে মাসউদ রাযি বলতেন,
( ﻣﻦ ﺳﺮﻩ ﺃﻥ ﻳﻠﻘﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻏﺪﺍً ﻣﺴﻠﻤﺎً ﻓﻠﻴﺤﺎﻓﻆ ﻋﻠﻰ ﻫﺆﻻﺀ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﺣﻴﺚ ﻳﻨﺎﺩﻯ ﺑﻬﻦ )
যে ব্যক্তি চাইবে যে, সে আগামিকাল আল্লাহর সাথে মুসলমান হিসেবে সাক্ষাত করুক,সে যেন ঐ সমূহ নামাযকে যত্নসহকারে আদায় করে, যেগুলোর দিকে মুসলমানদেরকে ডাকা হয়।
অর্থাৎ যে স্থানে আযান হবে সে যেন ঐ স্থানেই নামায পড়ে নেয়।
জুম্মার নামায সাধারণত মসজিদেই পড়তে হবে, নতুবা জুম্মা আদায় হবে না।কেননা জুম্মা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত সমূহের মধ্যে একটি শর্ত হল, মসজিদ হওয়া।
নফল নামায ঘরে পড়াই উত্তম।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ফরয ব্যতীত যে নামায ঘরে পড়া হয়,সেগুলোই উত্তম নামায।
এ হিসেবে ঐ সমস্ত নফল যেগুলোকে মসজিদে পড়তে হয়,যেমন- তাহিয়্যাতুল মসজিদ,সালাতুল কুসুফ ও খুসুফ ইত্যাদি ব্যতীত বাদবাকি নফল ঘরে পড়াই উত্তম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং কারো জন্য কাছে মসজিদ থাকাবস্থায় ঘরে নামায পড়া ঠিক হবে না।তবে যদি মসজিদ বেশ দূরে থাকে বা বিশেষ কোনো সমস্যা থাকে তাহলে ঘরে নামায পড়া যাবে।
তখন আপনি ইমাম হয়ে নামায পড়াতে পারবেন।
ইমামের জন্য শর্ত হল,
জ্ঞান সম্পন্ন বালিগ পুরুষ হওয়া এবং সাথে সাথে নামায আদায় হয়ে যায় সেই পরিমাণ সূরা-ক্বেরাত ও মাস'আলা মাসাঈল জানা থাকা।এবং উপস্থিত সকলের মধ্যে ক্বেরাত বিশুদ্ধ থাকা।
আপনি প্রথমে দাড়াবেন।
তারপরের কাতারে ঘরের অন্যান্য পুরুষ বা আপনার ছোট্ট ছেলে দাড়াবে।তার পরের কাতরে ঘরের অন্যান্য মহিলারা দাড়াবে।যদি ঘরে আপনি ব্যতীত আর কোনো পুরুষ না থাকে,তাহলে আপনার পরের কাতারে মহিলারা দাড়াবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.