আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল, মুসলমানদের মাঝে পরস্পর ঐক্য ও সম্প্রীতি।
আমাদের এ ওয়েবসাইট সত্যান্বেষী মুসলিম উম্মাহর সকল দ্বীনী ভাই/বোনকে সমানভাবে মহব্বত ও শ্রদ্ধা করে।
আমাদের এখানে নির্দিষ্ট করে এমন কোনো দল বা মতভেদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা যাবে না,যা আমাদের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।হ্যা কোনো বিষয় সম্পর্কে কুরআন হাদীসের দৃষ্টিভঙ্গি কী? সেটা প্রশ্ন করা যাবে।
সেই মাস'আলা যেকোনো সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত হোক না কেন।তবে কোনো দল বা উপদলের নাম উল্লেখ করে নয়।
আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
আরো জানুনঃ
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاء فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىَ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার। (সূরা আলে ইমরান-১০৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة، كلهم في النار إلا ملة واحدة، قالوا: ومن هي يا رسول الله؟ قال: ما أنا عليه وأصحابي.
আমার উম্মত তেহাত্তর ভাগে বিভক্ত হবে।একদল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সেটি কোন দল?রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,সেটা ঐ দল,যারা আমার ও আমার সাহাবাদের অনুসরণ করবে।(সুনানু তিরমিযি-২৬৪১)
উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী যুগে তেহাত্তর দলের আবির্ভাব হবে।এর মধ্য থেকে একদলই শুধুমাত্র জান্নাতে যাবে।আর অবশিষ্ট বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে।
উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীসের আলোকে সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলকে তালাশ করতে কয়েকটি আলামত নির্ধারণ করলেন।মূলত এই আ'লামত গুলোকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আ'লামত বলা হয়।
,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য কিছু আক্বিদা-বিশ্বাস সম্পর্কে জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ " هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬: ১৫৩)
(ইবনে মাজাহ ১১)
★আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে আহলে হাদীসরা মেনে থাকেন।সেজন্য তাদেরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ বলা যাবে না।
আমরা তাদেরকেও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত মনে করি।
তাকলিদ সংক্রান্ত জানুনঃ