১।আমি বেকার মা বাবা খরচ চালায় এখন আমার কাছে কিছু অতিরিক্ত টাকা আসলো বাবা মা ভাইবোনরা দেয়। যখনই আমার কাছে টাকা হয় তখনি খালি বারবার মনে আসে ফিলিস্তিনের জন্য সব টাকা বা বেশির ভাগই দিতে হবে তুইতো খাবার পাস তারাতো পায়না। নিজের জন্য বা বউ সন্তান ভাগ্নি মোটকথা আত্নীয় সজন বা বন্ধু বান্ধব বা এমনিতেই খরচ করলে আল্লাহ পাক যদি নারাজ হয়, তোকে কিছু না দেয় তাদের মত অবস্থা তোর হয় ইত্যাদি। তবে আমি অল্প কিছু দেই ২০০ টাকা দিছি নিয়ত আছে মাসে একবার অথবা ২ মাসে একবার ১০০ - ২০০ দান করা তবে আমার ইনকাম থাকলে বেশি দিতাম এখন আমি কি কৃপন হবো কোনো সমস্যা হবে কি?
২।১নং প্রশ্নের বেপারগুলো বারবার মনে আসে আবার মনে আসে দেওয়াই লাগবে কারনে বলছি যা দরকার হইলে দিমু, আবার বলছি যা দিমু আরেকবার বলছি দিমু, তবুও রাগ করবোনা দিমু অসুবিধা কি, আল্লাহ পাক এর জন্য দিবো, রাগ করবো না,জীবনেও না,এটার সাথে সম্পৃক্ত বা নাই অনেক কথা মনে আসে এগুলো বিভিন্ন সময়ে বলা মনে মনে বা একা একা বলি। মনে কি নিয়ত ছিলো নাকি ছিলো না জানিনা এটা কি দানের নিয়ত হবে?
৩।১ এবং ২নং প্রশ্নের বেপার গুলো নিচের কোরআন হাদিসের বিপরীত হবে কি
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে মহান আল্লাহ ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দানের আদেশ দিয়েছেন এবং উৎসাহিত করেছেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ، يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ، أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ-
অথবা ক্ষুধার দিনে অন্নদান করা ইয়াতীম নিকটাত্মীয়কে। অথবা ভূলুণ্ঠিত অভাবগ্রস্তকে (বালাদ ৯০/১৪-১৬)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
وَيُطْعِمُوْنَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِيْنًا وَيَتِيْمًا وَأَسِيْرًا
নিশ্চয়ই মুমিনরা আল্লাহর প্রতি ভালবাসার টানে খাদ্য দান করে অভাবী, ইয়াতীম ও কয়েদীদেরকে (দাহর ৭৬/৮)।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত,
أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ : تُطْعِمُ الطَّعَامَ،
একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ? নবী করীম (ছাঃ) বললেন, ইসলামে সবচেয়ে ভাল কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার খাওয়ানো।[বুখারী হা/১২; মুসলিম হা/৩৯; মিশকাত হা/৪৬২৯]
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهُمُ الرَّحْمَنُ ارْحَمُوا مَنْ فِى الأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِى السَّمَاءِ-
দয়াশীলদের উপরে দয়াময় আল্লাহ দয়া করে থাকেন। তোমরা যমীনবাসীদের উপরে দয়া কর, আসমানবাসী (আল্লাহ) তোমাদের উপরে দয়া করবেন[তিরমিযী হা/১৯২৪; আবুদাঊদ হা/৪৯৪১; মিশকাত হা/৪৯৬৯]
অপর হাদীছে এসেছে,
لاَ يَرْحَمُ اللهُ مَنْ لاَ يَرْحَمُ النَّاسَ
যে ব্যক্তি অনুগ্রহ করে না, তার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হয় না।[বুখারী হা/৭৩৭৬; মুসলিম হা/২৩১৯; মিশকাত হা/৪৯৪৭]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
وَمَنْ كَانَ فِى حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِىْ حَاجَتِهِ، وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
আর যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ তার সাহায্যে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিনের বিপদ সমূহের একটি বড় বিপদ দূর করে দিবেন[বুখারী হা/২৪৪২; মুসলিম হা/২৫৮০; মিশকাত হা/৪৯৫৮।]