আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)

ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রচলিত মুদ্রার একটি নতুন রূপ বা আপডেট বলা যায়। প্রচলিত মুদ্রা সাধারণত রাষ্ট্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। এর দাম নির্ধারিত হয় কেবল মানুষের চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে।

মূলত, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও প্রচলিত টাকার মৌলিকতার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। যেমন—

  • কাগজের এক টাকার নোটের আসল দাম এক টাকা হলেও, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘোষণার কারণে সেটি ৫০০ টাকার মান বহন করতে পারে।

  • অন্যদিকে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মান নির্ধারিত হয় মানুষের সম্মিলিত চাহিদা ও আস্থার ভিত্তিতে।

অর্থাৎ, উভয়েরই অন্তরালে কোনো বস্তুগত মূল্য নেই। শুধু প্রচলিত মুদ্রার পেছনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আছে, আর ক্রিপ্টোকারেন্সির পেছনে আছে বাজারের চাহিদা।

আমাদের দেশে বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ এবং সহজে ব্যবহারের সুযোগও নেই। তবে প্রশ্ন হলো—
➡️ যদি কেউ বিদেশ ভ্রমণে যায়, এবং সেখানে সরকারিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ হয়, তবে সে দেশে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (705,600 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিটকয়েন জাতীয় সকল প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি সম্পর্কে উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল,এ জতীয় কারেন্সিরর ক্রয়-বিক্রয় লেনদেন সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1710

হারাম কাজে সহযোগিতা করার বিধান সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92143

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিপ্টোকারেন্সিকে মুদ্রা হিসেবে প্রচলন করা এবং এর প্রসার প্রচার করা কখনো বৈধ হবে না। তবে যদি এটাকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং কেউ টাকা দিয়ে এটাকে কিনে নেয়, অথবা কেউ কোনো কাজের বিনিময় কিপ্টোকারেন্সি দ্বারা গ্রহণ করে তারপর সেটাকে মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেয়, তাহলে তখন সেটা নাজায়েয হচ্ছে না। তাই প্রশ্নে বর্ণিত কাজকে যদিও হারাম বলা যাচ্ছে না, তথাপি সেটাকে উত্তমও বলা যাবে না। বরং বলা যায় মাকরুহে তানযিহি হিসেবেই বিবেচিত হবে। হ্যা, সুদি কাজে সহযোগিতা করার দিকে লক্ষ্য কররে নাজায়েজ ও হারাম হওয়ার দিকটিই অগ্রাধিকার যোগ্য। সুতরাং এমন কাজ ও পেশাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। তাছাড়া হালাল হারাম উভয়ের সম্ভাবনা থাকলে হারামকে প্রদান্য দেওয়াই উচিত।

সুতরাং 
কেউ যদি বিদেশ ভ্রমণে যায়, এবং সেখানে সরকারিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ হয়, তবে সে দেশে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...