ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রচলিত মুদ্রার একটি নতুন রূপ বা আপডেট বলা যায়। প্রচলিত মুদ্রা সাধারণত রাষ্ট্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। এর দাম নির্ধারিত হয় কেবল মানুষের চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে।
মূলত, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও প্রচলিত টাকার মৌলিকতার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। যেমন—
কাগজের এক টাকার নোটের আসল দাম এক টাকা হলেও, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘোষণার কারণে সেটি ৫০০ টাকার মান বহন করতে পারে।
অন্যদিকে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মান নির্ধারিত হয় মানুষের সম্মিলিত চাহিদা ও আস্থার ভিত্তিতে।
অর্থাৎ, উভয়েরই অন্তরালে কোনো বস্তুগত মূল্য নেই। শুধু প্রচলিত মুদ্রার পেছনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আছে, আর ক্রিপ্টোকারেন্সির পেছনে আছে বাজারের চাহিদা।
আমাদের দেশে বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ এবং সহজে ব্যবহারের সুযোগও নেই। তবে প্রশ্ন হলো—
➡️ যদি কেউ বিদেশ ভ্রমণে যায়, এবং সেখানে সরকারিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ হয়, তবে সে দেশে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে কি?