আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
অনলাইনে অনেক ফ্রি সফটওয়্যার, অ্যাপ ও অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়। তারা স্পন্সরশিপ, বা ডোনেশনে চলে। এখন এই ডোনেশনের টাকা যদি হারাম হয়, তাহলে এগুলো ব্যবহার কি জায়েয হবে? আবার অনেক সময় কোম্পানি নিজেই একটা পণ্য ফ্রি করে দেয়। যেমন ফেসবুক, মাইক্রোসফট। এরকম অনেক কোম্পানিতে ইসরাইল টাকা দেয়, তা আমরা জানি। এবং তারা বিনিময়ে ইসরাইলকে প্রযুক্তি সহায়তা দেয়, যেটা দিয়ে ইসরাইল পবিত্র ভূমিতে মুসলিমদের মারে। তো এখন এসব ফ্রি পণ্যের ব্যাপারে মাসআলা কী হবে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)

সুদের টাকার ব্যয়খাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2034

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম টাকার ব্যয়খাত গরীব মিসকিন। সুতরাং অনলাইনে যেসব ফ্রি সফটওয়্যার, অ্যাপ ও অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়। তারা স্পন্সরশিপ, বা ডোনেশনে চলে। এখন এই ডোনেশনের টাকা যদি হারাম হয়, তাহলে এগুলোর ফ্রিতে ব্যবহার সামর্থ্যানদের জন্য জায়েয হবে না।  তাছাড়া যারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, যথাসম্ভব তাদের পণ্য এড়িয়ে চলাই উচিত।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
edited by
অনেক সময় দেখা যায়, ডোনেশনে হারাম টাকা আছে বের করা গেছে। কিন্তু তাদের মূলধনের পুরোটাই হারাম কিনা জানা যায় নি। এক্ষেত্রে কী করণীয়? আমি যদি আমার ব্যবহৃত পণ্যের সমপরিমাণ ডোনেশন দিয়ে দিই, তাহলে কি হালাল হবে? আর যেসব কোম্পানি ইসরাইল থেকে বিনিয়োগ পায়, তাদের এই টাকা তো হারাম? অথবা ধরুন তাদের ইনকামই হারাম। আমার প্রশ্ন ছিল, ঐসব কোম্পানির ফ্রি পণ্য ব্যবহার জায়েয হবে কিনা?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...