আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
দ্বীন পালনে যেকোনো ক্ষেত্রে সে নামাজ পড়া হোক বা পর্দা করা, দ্বীন প্রচারের কোনো খেদমতে অংশ নেওয়া এই সবকিছুইতেই  আমার বাবা মা মতো দেন না,,আমি তাদের চাপে পড়ে খেদমত থেকেও বিরতি নিছিলাম আমার উস্তাজার পরামর্শে কিন্তু নামাজ পড়া কিংবা পর্দা করা তো ছাড়তে পারব না কারণ তা ফরজ বিধান। আমি যখন নামাজ পড়ি যদি তাদের ধারণার অতিরিক্ত সময় লাগে তাহলে অনেক খারাপ  ভাষায় গালিগালাজ করেন + যখন কুরআন তেলাওয়াত করি তখনও  অনেক কথা বলেন আমি চুপচাপ সহ্য করি কারণ সূরা বনি ইসরাইলের  ২৩ নাম্বার আয়াতের উপর আমল করা শুরু করি।কিন্তু যখন তারা আমার দিক থেকে রেসপন্স পান না তখন আমাকে অভিশাপ দেন।তবে হ্যাঁ যখন আমার রব আমার রাসুল কে অবমাননা করেন তখন আমি প্রতিবাদ করছি তবে তা খুবই ঠান্ডা মাথায় তাদের বোঝানোর জন্যই কিন্তু আমি ব্যর্থ।তাদের বহুবার দাওয়াত দিয়েছি কিন্তু তারা আজও সংশোধন হোন নি।আমি শুধু তাদের পা এ পরা বাদ রেখেছি তাদের অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি বরাবরই ব্যার্থ হয়তো আমার এখানে কোনো কমতি ছিল তাদের বোঝানোর ক্ষেত্রে।  এখন আমাকে এসব নিয়ে মানসিক ভাবে অনেক অত্যাচার করেন। বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর যা বলে বোঝানোর সাধ্যি আমার নেই,,এমন অনেক সময় হয়েছে আমি ননমাহরাম এসেছে গিয়ে রুমে,খাটের নিচে বা বাথরুমে লুকিয়েছি তখন আমার মা গালাগালির পাশাপাশি আমার নানারকম অপমান মূলক কথাও বলেছেন একপর্যায়ে তিনি অভিশাপ দিয়ে দেন। যখন নামাজ বা কুরআন তেলাওয়াত করি তখন যদি দীর্ঘ সময় লাগে তখনও সেম কাজটাই তিনি করেন। এবং শেষ পরিণতি গিয়ে থামে আমাকে অভিশাপ দিয়ে। রিসেন্ট বাসায় বিয়ের কথা উঠেছিল যদিও তারা বিয়ে দিবেন না চাকরি করাবেন এমন সিদ্ধান্ত তাদের কিন্তু নানা ভাই তুলেছিল তখন আমি বলেছিলাম দ্বীনদার,, দাঈ মুত্তাকী ছাড়া আমি বিয়ে করব না।তখন আমার মা বাবা দুজনেই অনেক বকাবকি র পর ওই শেষে তারা অভিশাপ দেন।।এককথায় তাদের সবকিছুর সমাপ্তি হবে আমাকে অভিশাপ দিয়ে।।  উস্তাদ এসবকিছু ঘটতেছে প্রায় ৬বছর ৮মাস যাবৎ আমার প্রশ্ন হচ্ছে এরকম অভিশাপ গুলো কি আমার জন্য ক্ষতিকর হবে?আমি নিকটস্থ মসজিদের ইমাম সাহেবকে ভাইয়ার সহযোগিতায় প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু মনপুত উত্তর মেলেনি আমি এটা নিয়ে খুবই চিন্তিত তারা যে অভিশাপ গুলো দিচ্ছেন  এসব থেকে আমি রেহাই পাবো কেমনে?বা এসব কি কার্যকর হবে??পিতামাতার নাকি অভিশাপ লাগে এ ভয় থেকেই আমি শেষমেশ না পেরে আজ প্রশ্ন করলাম আফওয়ান অনেক বড় করে লিখতে হয়েছে আমার পরিস্থিতি টা বোঝানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। আমাকে দয়া কর উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করুণ তাহলে খুবই মুনাসিব হতো ইনশা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (83,970 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/63417/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হযরত উম্মে দারদা রাযি বলেন আমি আবুদ্দারদা রাযি কে বলতে শুনেছি

ﻋﻦ ﺃﻡ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ﻗﺎﻟﺖ ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ﻳﻘﻮﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﻌﺒﺪ ﺇﺫﺍ ﻟﻌﻦ ﺷﻴﺌﺎ ﺻﻌﺪﺕ ﺍﻟﻠﻌﻨﺔ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻓﺘﻐﻠﻖ ﺃﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺩﻭﻧﻬﺎ ﺛﻢ ﺗﻬﺒﻂ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺘﻐﻠﻖ ﺃﺑﻮﺍﺑﻬﺎ ﺩﻭﻧﻬﺎ ﺛﻢ ﺗﺄﺧﺬ ﻳﻤﻴﻨﺎ ﻭﺷﻤﺎﻻ ﻓﺈﺫﺍ ﻟﻢ ﺗﺠﺪ ﻣﺴﺎﻏﺎ ﺭﺟﻌﺖ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺬﻱ ﻟﻌﻦ ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻥ ﻟﺬﻟﻚ ﺃﻫﻼ ﻭﺇﻻ ﺭﺟﻌﺖ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻬﺎ

ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺩﺏ » ﺑﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻌﻦ

রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোন বান্দা কোন ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়,তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে, তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দয়ো হয়, অতপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোন উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয় তাহলে তার প্রতি পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়। {সুনানে আবু-দাউদ-৪৯০৫}

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

বাবা মার বদ দু'আ কে আল্লাহ কবুল করেন ঠিক। তবে অন্যায়ভাবে সন্তানের উপর বদ-দু'আকে আল্লাহ কখনো কবুল করবেন না। বিশেষকরে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ডের নির্দেশ পালন না করার ব্যাপারে মাতাপিতার বদ-দু'আকে আল্লাহ কখনো কবুল করবেন না।

,

আপনার পরিস্থিতি শুনে বুঝা যাচ্ছে, যে আপনি দ্বীন পালন করতে চাচ্ছেন, তবে আপনার মা তাতে সম্মতি দিচ্ছেন না, বা আপনার মা বিনা কারণেই আপনাকে বদ দু'আ করছেন, তাই আপনার মায়ের বদ'দুআ কবুল হবে না।

,

আপনি প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি খুব ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন। অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করবেন ইনশাআল্লাহ। অনেক অনেক সওয়াব দান করবেন না।

কোরআন হাদিস বিরোধী কথাবার্তা ও কার্যকলাপ করলে অবশ্যই আপনার পিতা-মাতার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...