১। আমি একজন উস্তাজার থেকে জেনেছিলাম যে সাদাস্রাব নাপাক না। তাই কাপড়ে লাগলে কাপড় না পাল্টালেও নামায আদায় হয়ে যাবে। এটা জেনে আমি প্রায় এক মাস নামায সেভাবেই পড়ি,কাপড় বদলাই না(প্রতি ওয়াক্ত এ সমস্যা হয় তা নয় কোনোদিন কম বেশি হয়)। এরপর আমি আবার ২ জন ওস্তাজার থেকে জানতে পেরেছি যে এটা নাপাক,এক দিরহামের চেয়ে কম অংশে লাগলে কাপড় না বদলালেও হবে,কিন্তু বেশি লাগলে কাপড় বদলাতে হবে।
আবার আরেকজন উস্তাজা জিজ্ঞাসা করলে তিনি চ্যাটজিপিটি থেকে বের করে বললেন সাদা স্রাব এর রং সাদা হলে নাপাক না অন্য রঙ হলে নাপাক। তবে সর্বাবস্থায় পরিবর্তন করে নিলেই উত্তম।
এর সঠিক মাসআলাটা কী?
এখন আমি কাপড় না পাল্টায়ে যে নামাযগুলো আদায় করেছি,সেটা কি কাযা আদায় করতে হবে?
এটার তো হিসেব নেই যে কয় ওয়াক্ত ওমন হয়েছে,কাযা আদায় করতে হলে কীভাবে হিসাব করব?
।২। আমি একটা ঠিকানায় সাদাকাহর কিছু পোশাক পাঠানোর নিয়ত করেছি। পোশাকগুলো কয়েকজনের, আমার পোশাক ওর মধ্যে নেই। আমি প্যাকিং করে পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছি আর ভেবেছি পাঠানোর যে টাকা লাগবে আল্লাহ যেন তা কবুল করে নেন।
শুরুতে ১৮৫/- লেগেছিল,
আমার এই কাজের কথা শুনে আমার রুমের একজন গেস্ট বলেছিল শুরুতে সে এর মধ্যে ৮৫/- দিবে, মূলত এই কাজে শরীক হওয়ার ইচ্ছায়। সে ঐ ৮৫/- দিয়েছে।
(পরে ১২০/- এক্সট্রা লেগেছে।)
এখন ঐ গেস্টের হাসবেন্ড ব্যাংকার। আমি জানি না এই টাকাটা সে হাসবেন্ডের টাকা থেকে দিয়েছে কিনা।
যেখানে পোশাক পাঠিয়েছি তারা নিতান্তই গরীব হওয়ায় পোশাকও কিনতে পারছে না।
এখন পাঠানোর চার্জটাও কি সাদাকাহ হিসেবে কবুল হবে?
আমি তো টাকা আগেই পে করে দিয়েছি, এখন আমার গেস্ট যে ৮৫/- আমায় দিয়েছে পাঠানোর চার্জের অংশ হিসেবে,এই টাকাটা কি আমি খরচ করব নাকি এটাকে সওয়াবের নিয়ত বাদে অন্য কোথাও দান করব? বুঝছি না।
যদি আমি আর সে শেয়ারেও পাঠায় পোশাকগুলো এভাবে (আমি ১০০/- আর সে ৮৫/- দিয়ে) সেক্ষেত্রে কি আমার সাদাকাহ অগ্রহণযোগ্য হবে? বা হারামের সংমিশ্রণ হওয়ায় গুনাহ হবে?
কুরবানির ক্ষেত্রে যেমন অংশীদারদের মধ্যে কারো হারাম ইনকাম থাকে সেটা কবুল হয় না