আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

বেশ কয়েক দিনের জমানো কিছু প্রশ্ন। মেহেরবানী করে একটু উত্তর করবেন। অধিক প্রশ্নের জন্য আফওয়ান।

১)আমার ডেলিভারি হয়েছে ৩৬ দিন চলছে..পিরিয়ড নাই, ব্লাড ডিসচার্জ ও নাই। কিন্তু মাঝে মাঝে পেট এ চাপ লাগলে পানির মতো বের হয়..এখন আমি কি নামাজ পড়তে পারবো??

২)পরিবারের কোনো মাহরাম সদস্য যদি নীল ভিডিওতে অভ্যস্থ থাকেন তখন কি করা উচিত?এটা তো অবশ্যই লজ্জার।সংকোচ লজ্জা কাজ করবে।

৩) আমার ovarian cyst এর জন্য ডাক্তার পিরিয়ড বন্ধ রাখার ঔষধ দিয়েছে। কিন্ত তারপরও মাঝে মাঝেই রক্ত দেখা যায়। তাহলে সালাতের ক্ষেত্রে করণীয় কি?

৪)আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম যেন আমাকে বুঝার তৌফিক দেয় আমার জন্য কোনটা উত্তম হবে।(সহশিক্ষা নিয়ে) আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি।

দেখেছি আমি যে স্কুলে পড়তাম সে স্কুলের ক্লাসে ক্লাস করছি। স্যার আমার সাথে কেমন কেমন যেন করছে মাথায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে ।। এটা দেখে আমার প্রচন্ড রাগ হয় আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে আসি। আমি একটা রিক্সা নিয়ে দ্রুত বাসার দিকে চলে আসার চেষ্টা করি রাস্তার মাঝে একটা হাতি দেখতে পাই। কিন্তু বাসায় না এসে আমি অন্য এক জায়গায় চলে আসি। দেখি একটা বিল্ডিং। নিচে কাজ চলতেছে এমন বিল্ডিং এর ভিতরে ঢুকি। দেখি আবার ভিতরে স্যার আছে। লিফট দিয়ে নামতেছে।।আমি দ্রুত সেখান থেকে সরার চেষ্টা করি। স্যারের সামনে পড়ে যাই। স্যার আমাকে দেখে দাঁড় করায়। আমি দ্রুত সেখান থেকে সরার চেষ্টা করছিলাম আর স্যার আমাকে দাঁড় করিয়েছে এমন অবস্থায় আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। এটার কী বাখ্যা হতে পারে?

৫)একটা কথা বলার ছিলো।আমি গতকাল রাতে ওয়াদা/শপথ নিয়ে কিছু পড়ছিলাম।তো তখন বুঝলাম শপথ ভঙ্গ করা কতটা গুনাহের কাজ।আগেও জানতাম কিন্তু এভাবে ভাবিনি এর আগে। আমিও এরকম প্রচুর ওয়াদা করতাম রবের কাছে।বিশেষ করে কিছু গুনাহ নিয়ে।আল্লাহকে বলতাম যে এই গুনাহ যদি আমি আবারও করি তাহলে এই এই জিনিসগুলো দিবো।যেমন আমার এই কিতাবগুলো আমি দিয়ে দিবো কাউকে(যেটা আমার পক্ষে সম্ভব না,কিন্তু এরকম কঠিন ওয়াদা করায় যেন গুনাহটা না হয় সেজন্য)

তো আমি গত কয়েকবছর ধরেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।প্রতিবার-ই আমি ওয়াদা করি।ওয়াদা তো ভঙ্গ করিই পাশাপাশি ওয়াদা ভঙ্গের পর যেগুলো দেওয়ার কথা সেগুলো দিইনা।দিবোই বা কিভাবে! যেই অসম্ভব জিনিস দেওয়ার নিয়্যাত করি।

যেমন এই গুনাহটা করলে আগামী ৩ মাস আমার যত বেতন কিংবা অন্যান্য যত টাকা আসবে, সব কিছু আমি আম্মুকে দিয়ে দিবো।কিন্তু এটা তো অসম্ভব,কারণ টাকা আমার লাগবেই।ফারযে আইনের কোর্স করি, আরবী পড়ি একজনের কাছে,তো সব জায়গায় দেওয়ার জন্য টাকা লাগেই।তাদের তো আর এসব বলা যাবেনা।এজন্য আরকি এসব দেওয়া হয়না।৩ টা গুনাহ একসাথে হয়েছে আমার এতবছর।গুনাহটা করা।ওয়াদা ভঙ্গ করা।জিনিসগুলো না দেওয়া।

কি করবো এখন ?শুধু তাওবাহ করলে কি হবে না?আমার খুব কান্না পায় উখতি।এখন থেকে ভেবেছি আর কখনো ওয়াদা ই করবো।কোনো কোনো সালাফ রা এটা করতেন নাকি শুনলাম।

আইয়ুব(আ) তার স্ত্রীকে ১০০বার আঘাত করার ওয়াদা করেছিলো।কিন্তু পরে দেখলো এই ওয়াদা কীভাবে রাখি! যেহেতু জানতে পেরেছে যে তার স্ত্রী নির্দোষ।এরপর আল্লাহ তাকে বললেন যে ঘাস দিয়ে মেরে হলেও যেন নবীর স্ত্রীকে ১০০ বার আঘাত করে ওয়াদা রক্ষা করা হয়।

এই লেখা দেখে আমি ভাবছি যে আমি কি এমন কিছু করে কাফফারা দিতে পারি? কি করবো?খাস করে তাওবাহ করলে হবে না?আমাকে আরও কিছু বলুন যেন আমি ওয়াদা নিয়ে ভালোভাবে জানতে পারি।কেননা এই এক/দুই পৃষ্ঠা পড়ি।কয়েকদিন পর ভুলে যাই সব।আমি চাই অন্তরে একদম গেথে থাকবে। এজন্য বেশি বেশি জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)আমার ডেলিভারি হয়েছে ৩৬ দিন চলছে..পিরিয়ড নাই, ব্লাড ডিসচার্জ ও নাই। কিন্তু মাঝে মাঝে পেট এ চাপ লাগলে পানির মতো বের হয়। আপনি নামাজ পড়তে পারবেন।


(২)পরিবারের কোনো মাহরাম সদস্য যদি নীল ভিডিওতে অভ্যস্থ থাকেন তখন, তাকে দ্রুত বিয়ে দিতে হবে। তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে হবে।


(৩) ovarian cyst এর জন্য ডাক্তার পিরিয়ড বন্ধ রাখার ঔষধ দেওয়ার পরও মাঝে মাঝে রক্ত দেখা গেলে যদি তিন দিন তিন রাতের বেশী হয়, তাহলে হায়েয । নতুবা ইস্তেহাযা । 


(৪)  স্বপ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে, সহশিক্ষা আপনার জন্য কল্যাণকর নয়। তাই আপনি মহিলা কলেজে ভর্তি হবেন।


(৫) ফরয শিক্ষার অতিরিক্ত টাকা আম্মুকে দিয়ে দিলেই হবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...