আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। হিন্দু অনেকর নাম তাদের দেব দেবির নামে রাখা হয়, ওদের ধর্মীয় কিছু নামে রাখা হয়।ওদেরকে ওদের এসব নাম ধরে ডাকলে কি কোন সমস্যা হবে?এমন পরিবেশ যে সবসময় কথাও বলতে হয়।।।।।।।।

আর হিন্দু  বা অমুসলিমদের  কি আদাব বলা যায়?

।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
by (4 points)
 অমুসলিম দের ক্রুশ চিহ্ন বড় সিমেন্ট এর এর নিচে ছবি তুললে সুন্দরের জন্য আবার ফেসবুকে আপলোড দিলে কি কোন সমস্যা হবে ঈমানে?  আর এসব করার সময় নানা কু চিন্তা আসে আবার চলে গেলে কি কোন সমস্যা হবে? এসব বিষয়ে না জেনে করে থাকলে কি কোন সমস্যা হবে? 

1 Answer

0 votes
by (665,220 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা। 
,
সালাম ইসলামের সৌন্দর্য, একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না।
এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 )  عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام … 
 ‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)

তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন স্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা  অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করার অবকাশ রয়েছে। তাকে দাদা আদাবও বলা যেতে পরে। তবে কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা নমস্তে বলা যাবে না। (রহীমীয়া, ৬/১২৬  কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)

কেননা, নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। সুতরাং এ শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৫৪

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তাদেরকে এসব নামে ডাকলে গুনাহ হবেনা।

হিন্দু বা অমুসলিমদের আদাব বলা যায় কিনা,এই মাসয়ালাটি মতবিরোধ পূর্ণ। 

কেউ কেউ বলেন বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে  বলা যাবে।

আবার কেউ কেউ বলেন এটা তাদের শি'আর অন্তর্ভুক্ত, তাই এটি বলা যাবে না। এক্ষেত্রে "السلام علی من اتبع الھدی" বলা যাবে।

আর যদি তারা আদাব বলে বা নমস্কার বলে সেক্ষেত্রে হাদাকাল্লাহ অথবা সালাম শব্দ বলা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...