আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থাই আমার সাথে স্বামীর ঝগড়া অনেক দিন যাবত চলছিলো, আমি একদিন উনাকে বলি কলের মাধ্যমে আমার সাথে উনি সংসার করবে নাকি করবে না??
উনি আমার প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি বলে তিনি আমার সাথে সংসার করবে না আর, এবং কি আমার কাবিনের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিবে আমাকে বিদায় করে দিবে সরাসরি বলে এই কথা আমাকে। আমি তখন শশুরবাড়ি  তারপর কিছু দিন পরে তিনি আবার ফোনে বলে আমার সাথে ৪/৫ মাস আগে যখন থেকে যোগাযোগ বন্ধ দিয়েছে তখন থেকেই আমাকে উনি ছেড়ে দিসে। আমার সাথে উনার স্বামী স্ত্রী কোন সম্পর্কই নেই এটাও বলেছে উনি ,  এবং কি আমাকে উনার সংসারে রাখবে না, এর মধ্যে সাথে সাথে  উনি আমার কাবিনের টাকা গুলো আমার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে আর সেই সাথে উনি বলেছে এখন ত আমার ( আমার স্বামী প্রতি ) মানে উনার প্রতি স্বামী হিসেবে কোন দাবি নেই, কারণ আমার কাবিনের টাকা তিনি পরিশোধ

করে দিছে । উনার মনে আমার প্রতি উনার স্ত্রী হিসেবে উনার কোন দাবি নেই । আমার যা খুশি যেখানে ইচ্ছে সেখানেই যেতে পারি তাতে তিনি কিছুই বলবেন না কারণ আমি আর উনার স্ত্রী না সে এটা নিজের মুখে স্বীকার করেছে, এবং কি কাবিনের টাকা গুলো আমাকে দাবি ছেড়ে দিয়ে দিসে তারপর আমাকে বার বার বলে উনার বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে। এবং কি এটাও বলে আমার রুমে মধ্যে যা যা জিনিসপত্র আমি এত বছরে তিল তিল করে জমিয়েছি গুসিয়েছি সব জিনিসপত্র খাট সহ, ডেসিন টেবিল, একটা রুমে যত জিনিস আছে সকল জিনিসপত্র নিয়ে গাড়িতে ভরে আমি যাতে সবকিছু কাবিনের টাকা সহ রুমের সকল জিনিসপত্র নিয়ে গাড়িতে ভরে চলে যায় বাবার বাড়ি,এই সব ঘরের জিনিসপত্র সব উনার টাকার তবুও উনি আমাকে সব খালেস নিয়তে সব দিয়ে দিচ্ছে আর বলতেছে তবুও যাতে আমি উনার বাড়ি উনার ঘর ছেড়ে দেই বার বার বলে আমি কেনো এখনো চলে যায় না?  কেনো উনার বাড়িতে কুকুরের মতো পরে আছি আমি, উনার খাবার ভাত ইত্যাদি খেলে আমি পায়খানা কৃমি খাচ্ছি আরো নোংরা কথা ত আছেই আমি চলে যায় যাতে উনাকে মুক্তি দিতে বলতেছে আমাকে এবং আমি সব জিনিসপত্র নিয়ে কাবিনের টাকা নিয়ে হলেও উনার ঘর খালি করে দেই যাতে সে আরেক টা বিবাহ করবে, আমার জন্য সে ভালো বিবাহ করতে পাচ্ছে না কারণ সতিন দেখে কেউ বিবাহ বসতে চাই না এই গুলো সে নিজের মুখে বলেছে আমাকে। আমাকে ত বার বার উনার ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে সেই সাথে উনার পরিবারের মা বাবা বোন সকলকেই বলেছে সে নিজ মুখে আমার সাথে সংসার করবে না সে,  আমাকে যাতে আমার শশুরবাড়ি সকল লোক সকল মিলে আমাকে যাতে বাড়ি থেকে বের করে দেই উনারা। সে যেভাবে বের করে দিচ্ছে। উনি আর আমাকে রাখবে না উনার সংসারে, উনি আমার সাথে সংসার করবে না। উনার পরিবারের সকলেই বোঝিয়েছে উনাকে আমিও বুজিয়েছি তবুও উনার একই কথা আমার সাথে কথাও বলবে না,  সংসার করবে না,  কাবিনের টাকা দিয়ে দিসে এখন আমাকে যেভাবেই হোক উনার বাড়ি থেকে চলে যেতেই হবে এটাই উনি চাই।  তারপর উনার বন্ধুরা উনার কাছে গিয়েছে উনাকে বোঝানো জন্য শান্ত করার জন্য উনি উনার বন্ধুদেরকেও সরাসরি একই কথা বলেছে উনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার সাথে এই সিদ্ধান্তের উপরে উনি স্থির আছে এর থেকে এক পা সে সরবে না। আমাকে ছেড়ে দিসে, আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ, কথা বলে না, কাবিনের টাকা দিয়ে দিসে খালেস নিয়তে, উনার বাড়ি থেকে বার বার বের করে দিচ্ছে আমাকে, আমার সাথে সংসার করবে না সে, আমার উপরে স্ত্রী হিসেবে উনার কোন দাবি নেই,  উনার হাজার হাজার টাকা রুমের জিনিসপত্র আমাকে দিয়ে দিচ্ছে তবুও আমাকে উনার বাড়ি থেকে বের করবেই সে, পরিবারের সবাই কে জানিয়ে দিসে আমার সাথে সংসার করবে না আমাকে পরিবারের সকল লোক মিলে যাতে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেই, ইত্যাদি ইত্যাদি নোংরা নোংরা গালি গালাজ তো করতেছেই আমাকে সবদা।
আমার সাথে সম্পর্ক ঠিক করবে না সে কোন ভাবে । মাসের পর মাস এই সব সহ্য করেছি এই ভাবে আর কত দিন  চলবে??  তারপর শশুরবাড়ি তে এমন অত্যাচারে শিকার হচ্ছি পরে আমি আমার বাবার বাড়ি চলে আসলাম। এলাকার মুফতি সাহেব কে সব কিছু বললাম উনি বলেছে তালাকে বাইন হয়ে গেছে আমার

তারপর আমার ইদ্দত শেষ করলাম ৩ হায়েজ, এর পর দীর্ঘ সময় পরে আমি ২য় বিবাহ বসি আলহামদুলিল্লাহ। বতমানে আমি বিবাহিত,  এখন আমার প্রশ্ন হলো আমার কি আগের ঘরের প্রান্তনের সাথে তালাক সহীহ হয়েছে কী?
আর বতমানে ২য় বিবাহ সহীহ হয়েছে কি আমার? বতমানে আমার  ২য় বিবাহ যে স্বামীর সাথে বিবাহ হয়েছে এই বিবাহ সহীহ হয়েছে কি? আমার  মনের মধ্যে এখনো ওয়াস ওয়াসা  কাজ করে তাই বিষয় টা আপনাদের পক্ষ থেকে
আরো ভালো ভাবে জানতে চায় আমি

1 Answer

0 votes
by (681,660 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/26032/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

শরীয়তের বিধান মতে তালাকের জন্য কোনো সাক্ষী বা কাজীর প্রয়োজনীয়তা নেই।
কেহ যদি স্ত্রীকে না জানিয়েও একা একি তালাক প্রদান করে,তবুও তালাক পতিত হবে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৯/৭৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عن الحسن وخلاس: في الرجل یطلق امرأتہ وہو غائب عنہا قال: تعتد من یوم یأتیہا الخبر۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۱۰؍۱۳۳ رقم: ۱۹۲۶۵)
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি স্ত্রীর অনুপস্থিতি তাকে তালাক প্রদান করে,সেই সম্পর্কে হাসান এবং খাল্লাছ রাঃ বলেন খবর আসার দিন সে ইদ্দত পালন করবে। 

مستفاد: أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ عن الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ স্বামী থেকে বের হওয়া  

তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয়।
মুখ থেকে উচ্চারণ হয়ে গেলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
(এক্ষেত্রে ভুলে/ঠাট্রা মূলক মুখ দিয়ে উচ্চারন হলেও তালাক হবে।)
(ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ ৪৭৭
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৪২
আযিযুল ফাতওয়া ১/২৫২)
,   
أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ من الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ رقم: ۶۴۷۱ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ গুলো স্বামী থেকে বের হওয়া।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার আগের ঘরের প্রাক্তনের সাথে তালাক সহীহ হয়েছে।

আর বর্তমানে আপনার ২য় বিবাহ সহীহ হয়েছে। আমার  ২য় বিবাহ যে স্বামীর সাথে বিবাহ হয়েছে এই বিবাহ সহীহ হয়েছে।

আপনি নিশ্চিন্ত মনে ২য় স্বামীর সাথে ঘর সংসার চালিয়ে যেতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...