জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনার নামাজ আদায় হয়েছে।
পুনরায় আর সেই নামাজ আদায় করতে হবেনা।
এহেন পরিস্থিতিতে সেখানে রুকইয়াহ করাবেননা। প্রয়োজনে টাইম পরিবর্তন করে নিবেন। নামাজের যেনো কোনো সমস্যা না হয়,এমন টাইমে রুকইয়াহ করাবেন।
(০২)
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا لعلكم ترحمون ” يعني في الصلاة المفروضة
অর্থ : যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের প্রতি করুণা করা হয় (ফরজ নামাজে)
হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর মতও তাই। তাফসীরে তাবারীতে বলা হয়েছে:
صلى ابن مسعود، فسمع أناسا يقرءون مع الامام، فلما انصرف، قال: أما آن لكم أن تفقهوا ؟ أما آن لكم أن تعقلوا ؟ وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا كما أمركم الله
অর্থাৎ হযরত ইবনে মাসঊদ রা. নামায পড়ছিলেন, তখন কতিপয় লোককে ইমামের সঙ্গে কেরাত পড়তে শুনলেন। নামায শেষে তিনি বললেন : তোমাদের কি অনুধাবন করার সময় আসেনি, তোমাদের কি বোঝার সময় হয় নি? যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন। (৯ খ. ১০৩ পৃ.)
হযরত আবূ মূসা আশআরী রা. বলেছেন,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا قرأ الإمام فأنصتوا، فإذا كان عند القعدة فليكن أوّل ذكر أحدكم التشهد. أخرجه مسلم (৪০৪) في باب التشهد في الصلاة، وأحمد في المسند ৪/৪১৫ (১৯৯৬১)، وأبو داود (৯৭৩) وابن ماجه (৮৪৭) واللفظ له. ؟
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন ইমাম কুরআন পড়বে,তোমরা তখন চুপ করে থাকবে। আর বৈঠকের সময় তাশাহহুদ-ই প্রথম পড়তে হবে।
(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪০৪; আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯৭৩; ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮৪৭; মুসনাদে আহমাদ, ৪খ, ৪১৫ পৃ, হাদীস নং ১৯৯৬১। ইমাম আহমদ, (দ্র. তামহীদ ১১/৩৪), ইমাম মুসলিম, ইবনুল মুনযির (দ্র. আল আওসাত, ৩/১০৫), ইমাম ইবনে জারীর তাবারী র. (দ্র. তাফসীরে তাবারী, ৯/১০৩) ও ইবনে হাযম জাহেরী (দ্র. আল মুহাল্লা, ২/২৭০) প্রমুখ এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন।
,
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)ইরশাদ করেছেন যে,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৫০, সুনানুল বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৭২৩, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১১৮৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-১০৫০, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৮০০, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২৭৯৭, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৭৫৭৯, মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মদ-৯৬, মুসনাদে ইমামে আজম-৬১)
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করবেন। ইহা ছাড়া বাকি বিষয় যেমন রুকু সেজদার তাসবিহ,তাশাহুদ,দরুদ,দোয়ায়ে মাছুড়া সবই পাঠ করবেন।
(০৩)
ইমাম দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহদুদ পরার পরে দুরুদ পরে ফেললে, আপনি কিভাবে বুঝবেন?
৩ বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে ইমাম যদি ২য় রাকাতে সালাম ফিরায়,তখন আপনি লোকমা দিয়ে তাকে সতর্ক করবেন।
আল্লাহু আকবর বলে দাঁড়িয়ে যাবেন।
(০৪)
এটিই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি।
বিস্তারিত জানুনঃ-
আকদ না হয়ে রেজিষ্ট্রি হলে সেক্ষেত্রে তো বিবাহ হয়না। সুতরাং এমতাবস্থায় ছেলে মেয়ে লিমিটেশন রেখে কথা বলতে পারবেনা।
তারা এখনো একে অপরের জন্য গায়রে মাহরাম।
(০৬)
এভাবে পড়লে নামাজের সমস্যা হবেনা।
তবে চেষ্টা করবেন আগে সূরা কাসাস এর আয়াত পড়বেন এরপর সুরা আদ দুহা।
(০৭)
আপনার ঈমান দিন দিন দূর্বল হয়ে যাচ্ছে,পূর্ণ চেষ্টার কমতি, এজন্য নামায কাজা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে করনীয় জানুনঃ-
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের ব্যাখ্যাঃ-
আপনি যদি বিবাহিতা হোন,সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সন্তান দান করবেন।
আর যদি অবিবাহিতা হোন,সেক্ষেত্রে নেক আমল করার তওফিক বৃদ্ধি পাবে,ইনশাআল্লাহ।
পথ চলতে বাধা আসতে পারে,আশা করি আপনি সমস্ত বাধা ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন,ইনশাআল্লাহ।
(০৯)
মান্নত করা হতে শরীয়ত অনুৎসাহিত করনে।
তবে মান্নত করলে সেটি পূরন করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
আরো জানুনঃ-
(১০)
এক্ষেত্রে আগে ইশার নামাজ আদায় করবেন।
এরপর বিতর নামাজ আদায় করবেন।
ইশার নামাজ আদায় করতেই নামাজের ওয়াক্ত চলে গেলেও ইশার পর বিতর আদায় করবেন।
এক্ষেত্রে বিতর নামাজ কাজা হিসেবে আদায় হবে।