আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (1 point)
অক্টোবরে আমি আমার বাবা, মা, আর ভাইয়ের সাথে উমরাহ সফরে যাব ইন শা আল্লাহ। ঠিক ওই সময়ই আমার হায়েযের তারিখ। তখন কি আমি পুরোটা সময় ওষুধ খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখতে পারবো?
আমাদের এজেন্সি থেকে চারজনের একটা রুম দেয়া হয়েছে হোটেলে। সেখানে একই রুমে আলাদা বিছানায় আমাদের চারজনের জন্য বুকিং হয়েছে। আমি জানতে চাই আমার বাবা আর ভাইয়ের সাথে একই রুমে কি আমি থাকতে পারবো? আমার মা কি উমরাহ এর সময় আমার ভাইয়ের সাথে একই রুমে থাকতে পারবেন?
আমার বয়স ২৭, আমার ভাইয়ের বয়স ১৭।

1 Answer

0 votes
by (664,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://ifatwa.info/94844/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ- 
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা-নিসা-২৯)

ﻭَﻻَ ﺗُﻠْﻘُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺘَّﻬْﻠُﻜَﺔِ ﻭَﺃَﺣْﺴِﻨُﻮَﺍْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺤْﺴِﻨِﻴﻦَ
তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।(সূরা বাক্বারা-১৯৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 ( ﻻ ﺿَﺮَﺭَ ﻭَﻻ ﺿِﺮَﺍﺭَ )
ইসলামে নিজের ক্ষতি করা ও অন্যকে ক্ষতি পৌছানোর কোনো বিধান নাই।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪১)

ঔষধ  খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোযা রাখলে রোযা হয়ে যাবে।  তবে মেয়েদের স্বাভাবিক অবস্থার বিরুদ্ধে এ নিয়মে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ট্যাবলেট না খাওয়াই উত্তম। 

যদি কোন মহিলা রমজান আসার আগেই এবং হায়েজ শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে তা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখতে হবে। কারণ, এতে করে তার উপর রোযা না রাখার কোন কারণ বিদ্যমান থাকছে না। তাই তার জন্য রোযা রাখা আবশ্যক হবে।
কিন্তু যদি রমজান চলে আসে, আর রক্ত জারি হয়ে যাওয়ার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা কমপক্ষে ৩ দিন পর্যন্ত রোযা রাখতে পারবে না। এর পর থেকে রোযা রাখা আবশ্যক। যেহেতু হায়েজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর হায়েজ শুরু হলে এর সর্বনিম্ন সময়সীমা হল তিন দিন। তাই হায়েজ শুরু হতেই ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে ফেললেও ধরা হবে হায়েজ জারী আছে তিনদিন পর্যন্ত। তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে হায়েজ বন্ধ হয়ে গেছে হিসেবে রোযা রাখা আবশ্যক।  {কিতাবুল ফাতওয়া-৩/৪০৫}

‘হায়েজা মহিলার জন্য উত্তম হলো নিজের স্বাভাবিক অবস্থার ওপর থাকা। আল্লাহ তাআলা তার ওপর যে ফয়সালা করেছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা। এমন কিছু ব্যবহার না করা, যার দ্বারা রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। বরং হায়েজ অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেয়া। অতঃপর রোজাগুলোর কাজা আদায় করে নেয়া। কেননা, উম্মুল মুমিনিন ও আকাবির মহিলারা এমনটিই করেছেন। আর যদি ওষুধ দিয়ে রক্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলেও রোজা হয়ে যাবে।’(আপকে মাসায়েল : খণ্ড ৩, পৃ. ২০৭)

একটি বর্ণনা পাওয়া যায়,
روى سعيد بن منصور عن ابن عمر رضي الله عنه أنه سئل عن المرأة تشتري الدواء ليرتفع حيضها فلم يَرَ به بأساً ونعت-أي وصف

সারমর্মঃ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো,এক মহিলার ব্যাপারে।
যে হায়েজ বন্ধ হওয়ার ঔষধ খেয়েছিলো,তিনি এখানে কোনো সমস্যা দেখেননি।
তার গুণ বর্ণনা করেছেন।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ বন্ধের ঔষধ খেলে আপনার স্বাস্থের জন্য যদি কোনো ক্ষতিকর না হয়,তাহলে আপনি হায়েজ বন্ধ হওয়ার ঔষধ খেতে পারবেন।
তবে না খাওয়াই ভালো। 

এক্ষেত্রে আপনি আপনার মাকে বুঝিয়ে ফ্লাইটের ডেট পরিবর্তন করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

যাতে করে আপনার পবিত্রতার দিন গুলিতে উমরাহ করতে যেতে পারেন।

(০২)
এভাবে একই রুমে আপনি,আপনার বাবা,আপনার ভাই, আপনার মার থাকা জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে পুরুষরা পুরুষদের রুমে ঘুমাবেন।
আর মহিলারা মহিলাদের ঘরে ঘুমাবেন।

অথবা আপনার বাবা মা এক রুমে ঘুমাবে।
আর আপনি অন্য মহিলাদের ঘরে ঘুমাবেন।
আপনার ভাই অন্য পুরুষদের ঘরে ঘুমাবেন।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...