ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
إذا أمسكه لينفق منه كل ما يحتاجه فحال الحول، وقد بقي معه منه نصاب فإنه يزكي ذلك الباقي، وإن كان قصده الإنفاق منه أيضا في المستقبل لعدم استحقاق صرفه إلى حوائجه الأصلية وقت حولان الحول، بخلاف ما إذا حال الحول وهو مستحق الصرف إليها، لكن يحتاج إلى الفرق بين هذا، وبين ما حال الحول عليه،
وهو محتاج منه إلى أداء دين كفارة أو نذر أو حج، فإنه محتاج إليها أيضا لبراءة ذمته
কেউ মালকে এজন্য সংরক্ষণ করল যে,সে এখান থেকে প্রয়োজনানুরূপ খরছ করবে।ইতিমধ্যে একটি বৎসর চলে যায়।এবং সেই সংরক্ষিত মালে নেসাব পরিমাণ মাল অবশিষ্ট থাকে।তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দিতে হবে।যদিও ভবিষ্যতে সেই মালকে খরছ করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু বৎসর পূর্ণ হওয়ার সময়ে তো এই টাকা কাজে লাগেনি বরং এখনও নেসাব পরিমাণ মাল রয়েছে ।সেজন্যই তাতে যাকাত আসবে।
তবে যদি কোনো সম্পত্তিতে এক বৎসর অতিবাহিত হয়,এবং সেই মালে অন্যকারো হক্ব নির্ধারিত হয়ে যায়।যদিও সেই মালকে এখন পর্যন্ত অন্য মাল(অর্থাৎ যে মালে বৎসর অতিবাহিত হয়ে যাকাত ওয়াজিব হয়ে গেছে)থেকে পৃথক করা হয়নি তার পরও তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে না।(কেননা তাতে অন্যর হক্ব নির্ধারিত হয়ে গেছে)
কেননা নিজের যিম্মা থেকে ওয়াজিব আদায় করার সবাই মুখাপেক্ষী। যেমন কাফফারা, মান্নত,হজ্ব ইত্যাদি।সুতরাং এগুলো খরছ না করলেও শরীয়ত তাকে খরছের মতই মনে করে।
রদ্দুল মুহতার-2/262
হজ্বের জন্য জমাকৃত টাকায় যাকাত ওয়াজিব হবে।কিতাবুল-নাওয়াযিল-৬/৪৬৬
যে টাকা হজ্বের টিকেটের জন্য দেয়া হয়ে গেছে,এবং টিকেট ক্ররিদ করা হয়ে গেছে,তাহলে যাকাত ওয়াজিব হবে না।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/৩৩৭
প্রিয় পোশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ঐ জমাকৃত টাকাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার অপশন থাকে তাহলে বুঝা যাবে যর, সে টাকা এখন পর্যন্ত খরচ হয়নি।বিধায় তাতে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত চলে আসবে।
আর যদি ঐ জমাকৃত টাকাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কোনো অপশনই না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে, সেগুলো খরচ হয়ে গেছে।আর খরচ হয়ে যাওয়া টাকায় যেহেতু যাকাত আসে না, তাই এ টাকাতেও যাকাত আসবে না।