অন্যের জন্য দোয়া করা, তাদের কষ্টের সময়ে সহমর্মিতা দেখানো, সওয়াবের নিয়তে নফল আমল করা – ইসলামে বৈধ, বরং এটা খুবই পুণ্যের কাজ।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى
“তোমরা সৎকাজ ও তাকওয়ায় একে অপরকে সহযোগিতা কর।”
(সূরা মায়েদা 5:2)
রোজা রাখা একটি বিরাট নেকির কাজ এবং তাকওয়ার চর্চা। তাই এই আমল গাজা বাসীদের জন্য দোয়ার সাথে করা সহায়তার অন্তর্ভুক্ত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
الدعاء لأخيك بظهر الغيب مستجاب
“তোমার ভাইয়ের জন্য গোপনে করা দোয়া কবুল হয়।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: 2733)
الصوم جنة
“রোজা ঢালস্বরূপ (গুনাহ থেকে রক্ষা করে)।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস: 1894)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
من نفس عن مؤمن كربة من كرب الدنيا نفس الله عنه كربة من كرب يوم القيامة
“যে কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কিয়ামতের কষ্ট দূর করবেন।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: 2699)
সুতরাং নফল রোজা রেখে গাজার মুসলিমদের জন্য দোয়া করা বৈধ, বরং অনেক সওয়াবের কাজ।
রোজা রেখে দোয়া করা ও তাদের জন্য ইস্তেগফার করা এই হাদীসের চেতনার অংশ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হ্যাঁ, গাজার ভাই-বোনদের জন্য নফল রোজা রাখা জায়েজ এবং সওয়াবের কাজ।
মুসলিম হিসেবে আমাদের আরো দায়িত্ব:
দোয়া করা – গাজা, কাশ্মীর, সিরিয়া, চীনের মুসলিমদের জন্য।
যথাসম্ভব সাহায্য পাঠানো – যতটুকু সম্ভব আর্থিক বা সামাজিক সহায়তা।
গনসচেতনতা তৈরি – মানুষকে জানানো, প্রতিবাদ করা।
নিজেকে সংশোধন – নামাজ, তাকওয়া, একতা ফিরিয়ে আনা।