আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,

 গাজা বাসী র জন্য রোজা রাখা যাবে কিনা, সম্প্রীতি একটা নিউজে দেখলাম অনেকগুলো দেশ গাযা বাসীর জন্য রোজা রাখছে,এটা কি জায়েজ কিনা। কোন ব্যক্তির উদ্দেশ্যে বা দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য, মুসলিম উম্মার জন্য।কি রোজা রাখা যাবে কিনা। যদি যায় তাহলে কি নিয়ত  করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (674,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

অন্যের জন্য দোয়া করা, তাদের কষ্টের সময়ে সহমর্মিতা দেখানো, সওয়াবের নিয়তে নফল আমল করা – ইসলামে বৈধ, বরং এটা খুবই পুণ্যের কাজ।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

 وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى
“তোমরা সৎকাজ ও তাকওয়ায় একে অপরকে সহযোগিতা কর।”
(সূরা মায়েদা 5:2)

রোজা রাখা একটি বিরাট নেকির কাজ এবং তাকওয়ার চর্চা। তাই এই আমল গাজা বাসীদের জন্য দোয়ার সাথে করা সহায়তার অন্তর্ভুক্ত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

الدعاء لأخيك بظهر الغيب مستجاب
“তোমার ভাইয়ের জন্য গোপনে করা দোয়া কবুল হয়।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: 2733)

الصوم جنة
“রোজা ঢালস্বরূপ (গুনাহ থেকে রক্ষা করে)।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস: 1894)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

من نفس عن مؤمن كربة من كرب الدنيا نفس الله عنه كربة من كرب يوم القيامة
“যে কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কিয়ামতের কষ্ট দূর করবেন।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: 2699)


সুতরাং নফল রোজা রেখে গাজার মুসলিমদের জন্য দোয়া করা বৈধ, বরং অনেক সওয়াবের কাজ।
রোজা রেখে দোয়া করা ও তাদের জন্য ইস্তেগফার করা এই হাদীসের চেতনার অংশ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হ্যাঁ, গাজার ভাই-বোনদের জন্য নফল রোজা রাখা জায়েজ এবং সওয়াবের কাজ।

মুসলিম হিসেবে আমাদের আরো দায়িত্ব:

দোয়া করা – গাজা, কাশ্মীর, সিরিয়া, চীনের মুসলিমদের জন্য।

যথাসম্ভব সাহায্য পাঠানো – যতটুকু সম্ভব আর্থিক বা সামাজিক সহায়তা।

গনসচেতনতা তৈরি – মানুষকে জানানো, প্রতিবাদ করা।

নিজেকে সংশোধন – নামাজ, তাকওয়া, একতা ফিরিয়ে আনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 225 views
...