বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।(সূরা নিসা-৭৫)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1982
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ফ্রিমিক্সিং ও মিউজিক সম্বলিত পরিবেশে প্রতিবাদি সভাতে উপস্থিত হওয়া সাধারণত নাজায়েয ও হারাম। তবে যেহেতু কানাডার মত অমুসলিম দেশে মুসলমানদের সংখ্যা কম। এবং কানাডার মত দেশের সরকার ও জনগণকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা সম্পর্কে অবগত করা সময়ের তাকাযায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই লোকসংখ্যা বেশী দেখানোর উদ্দেশ্যে নারী পুরুষ সেই প্রতিবাদি সভায় উপস্থিত হওয়া যাবে। নারীরা অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে পুরুষদের চেয়ে দূরে অবস্থান করবে। বিশেষত এতটুকু দূরে অবস্থান নেবে যেখানে পরপুরুষের সাথে ধাক্কাধাক্কি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং মিউজিক কানে আসবে না।
(২) আপনি/আপনারা আপাতত গাজার মানুষদের জন্য খাবার সংগ্রহের কাজ করুন। তারা না খেয়ে মরছে। সুতরাং তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করুন। আল্লাহ মুসলমানদেরকে হেফাজত করুক।আমীন।