ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) মেশিন লার্নিং(AI) ব্যবহার করে রিসার্চ করে আবহাওয়ার পূর্ভাবাস দেওয়া বা আরো কিছু রিসার্চ করা যা মানুষের উপকারে আসতে পারে, এটা যেহেতু অনুমান নির্ভর। বক্তা এবং শ্রুতা সবাই যেহেতু এটাকে অনুমান নির্ভর বিষয় হিসেবেই জানে, তাই এটা শিরক হবে না।
(২) চাকরির প্রিপারেশনের জন্য এমন কিছু পড়া যাতে শিরক বা কুফরি আছে। এগুলো পড়া বা বলা কিংবা লিখা জায়েয হবে না। এগুলো শিরক হবে। তবে উত্তর লেখার পর এভাবে বলা যেতে পারে। উপরে যা লিখলাম সেটা কারিকুলাম অনুযায়ী। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু ভিন্ন।
(৩) AI দিয়ে ফিউচারে এমন কিছু করতে পারে যারা মানুষের মত চিন্তা করতে পারে বা কিছু ভাবতে পারবে। এমন কিছু আবিষ্কার হতে পারে বিশ্বাস করলে কুফরি হবে না। এখানে আল্লাহর উপর অবিশ্বাস বা আল্লাহর সমকক্ষর বিষয় আসবে না। কেননা কেননা এগুলো তো আর প্রাণী না।
(৪) চাকরিতে কোন ডিজাইন যেখানে প্রাণী, মানুষের ছবি আছে এসব সুন্দর হয়েছে,ঠিক আছে বা এই জিনিসটা এদিক হলে ভাল হত, এমন বললে ঈমান চলে যাবে না। তবে পাশাপাশি ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করাটা জরুরী।
(৫) কোন সিভিতে ছেলে মেয়ের যে কারো ছবি এড করতে কোন ছবি এড করবে সিলেক্ট করে দেওয়া,সুন্দর হয়েছে বলা বা এটা এদিকে কর,এডিট কর এসব বললে ঈমান চলে যাবে না। তবে এই দিকনির্দেশনা দেওয়ার কারণে গোনাহ হবে।
(৬) ভবিষ্যতে ঠিক ভাবে চলার জন্য খাওয়ার জন্য চাকরি তহ করা লাগবে এমনটা বলা শিরক হবে না। কেননা সে জানে যে, আল্লাহ রিজিকের মালিক। চাকুরী উসিলামাত্র।
বিঃদ্রঃ