আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১. ফরজ সালাত বা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় ব্যতীত  জুম্মার সালাতে সামনের সারিতে বসার আদব কি?

এ বিষয়ে কুরআন হাদিস কি বলে?

২. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
ক) আমি খুব কল্পনা করি। মানে আমার ফিউচার হাজবেন্ড, তার পরিবার, বিয়ের পর সংসার জীবন, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে। একটা পুরুষকে হাজবেন্ড হিসেবে কল্পনা করি, সে নির্দিষ্ট কেউ না। তো তার সাথে আমি শারীরিক সম্পর্ক নিয়েও কল্পনা করি। এসব কি যিনা এর অন্তর্ভুক্ত?
আগে একজনকে এক তরফা পছন্দ করতাম, তখন সারাদিন তাকে নিয়েই কল্পনা করতাম। কিন্তু এটা তো যিনা তাই এর থেকে বেরিয়ে আসতে আমি উপরের কল্পনার আশ্রয় নেই। এসবের জন্য আমার কি গুনাহ হচ্ছে?
খ) আমল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়। অনেকে দুরুদ-ইস্তেগফার দুআ কবুলের নিয়তে করে থাকে। এতে ফায়দা দুনিয়া কেন্দ্রীয় হয়ে যায়। এর ফায়দা আখিরাতে পাওয়া যায় না। তাই আমি যদি আমলের আগে নিয়ত করি – “আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়া ও আখিরাতের জানা-অজানা সমস্ত ফজিলত আফিয়াহ ও খইরের সাথে লাভ”

এই নিয়ত করলে কি আমি দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ে সওয়ার পাবো? নাকি সব আমলই করার আগে নিয়ত হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি?

৩. আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আমি জানতে চাচ্ছি যে,আমি আগে জানতাম হায়েজ নেফাস অবস্থায় শুধু দোয়ার আয়াতগুলো দোয়া হিসেবে পড়া যায় আর বাধ্যতামুলক হলে কোরআন তেলাওয়াত ভেঙে  ভেঙে পড়া যায় কিন্তু কালকে শুনলাম যে,সবাই নাকি হায়েজ অবস্থায় ভেঙে ভেঙে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে জরুরি না হলেও,তাই এরকম করা যাবে আমার জরুরি না হলেও হায়েজ অবস্থায় ভেঙে ভেঙে কোরআন তেলাওয়াত করলাম এতে কোন অসুবিধা হবে কি না?

৪. Assalamu alaikum.ভার্সিটির প্রেশারের কারনে যোহরের সুন্নত নামাজ কি ছাড়া যাবে?অনেক টায়ার্ড থাকি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারি না নামাজ।তাছাড়া অনেক সময় সময় অল্প থাকে ব্রেক এর গোসল খাওয়া নামাজ পড়ার সময় থাকে না।এম্নিতে নরমাললি পড়ি সব নামাজই।

৫. উস্তাদ আমি স্বপ্নে দেখি আমি বিবাহিত। শাড়ি পরে নানু বাসায় বেড়াতে গিয়েছি।
৬। আবার দেখি যে ছেলের সাথে বিয়ের কথা চলছিল পূর্বে। তারা ৫ মাসের সময় চেয়েছে উভয়পক্ষ পছন্দ হওয়ার পরেও। স্বপ্নে দেখি যে তারা আবার এসেছে আমাদের বাসায়। কিন্তু আমার ভাবি যত্ন করছে না। সে ছ্যান ছ্যান করে। এরপর ছেলের খালারা বলে যে তোমার ত চুল অনেক কম। আমি বলি এজন্যই আপনাদের সামনে চুল খুলেছি। আমার চুল কম এতে আফসোস নেই। কিন্তু আপনাদের যাতে পরবর্তীতে সমস্যা না হয় তাই.... উনাদের আমাদের বাসায় আসারই কথা না উস্তাদ। কিন্তু আমি প্রায়ই স্বপ্ন দেখি হয় উনারা আসছে না হয় আমরা গিয়েছি। এমননা যে আমি ভাবি উনাদের নিয়ে।

৭. স্বপ্নে দেখি আমার কাজিনের ছেলে মেয়ে বওজনেস করে অনলাইনে। কী বাজে ছবি আকা, রান্না ভালো না তাও বিক্রি করতেছে অনলাইনে। আমি ভাবছিলাম তারা বিজনেস করতে পারলে আমারগুলো দেখলে মানুষ হুমরি খেয়ে পড়বে কিনার জন্য ইনশাআল্লাহ এরপর সজাগ হয়ে যাই

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) পুরুষদের জন্য ফরজ সালাত বা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় ব্যতীত জুম্মার সালাতে সামনের সারিতে তাশাহুদের সূরতে বসাই উচিত। তবে নারীদে জন্য মসজিদে গমন মাকরুহে তাহরিমী । 

(২) 
(ক) এরকম কল্পনা করা যাবে না। এটাও গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। 
(খ) আমল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত।আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান কামনা করে আমল কলে দুনিয়া এবং আখেরাত সবকিছুই অর্জন হবে।

(৩)   হায়েজ অবস্থায় ভেঙে ভেঙে কোরআনের আরবী শব্দাবলী পড়া যাবে। একটা একটা বাক্য করে পড়া যাবে। এতে কোন অসুবিধা হবে না।

(৪) ভার্সিটির প্রেশারের কারনে যোহরের সুন্নত নামাজ ছাড়া যাবে না। পড়তেই হবে। সুন্নতে গায়রে মু',আক্কাদা তথা নফল নামায পরিত্যাগ করা যাবে।

(৫) স্বপ্নটি ভালো।

(৬) এগুলো মনের কল্পনামাত্র। 

(৭) এগুলোও মনের কল্পনামাত্র। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...