আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। পোস্ট টা আমার একজন বোনের পক্ষ থেকে করা। দয়া করে উত্তর দিবেন।

আমি একজন মেয়ে। আমি একটি ছেলেকে পছন্দ করি। আমি জানি এটা হারাম। কিন্তু আমি তাই চাইতেছি দ্রুত যেন আল্লাহর রহমতে বিয়ে হয়ে যায়।   আর আমার বাসায় বলেছি বিয়ের জন্য। আমার পরিবার ও ছেলেকে পছন্দ করেছে। এখন আমার বাবা দেশের বাইরে থাকে। তিনি দেশে আসলেই বিয়ে হবে ইন শা আল্লাহ। এখন আজকে কথায় কথায় আব্বু আমাকে বলতেছে যে, " তুমি নিজে পছন্দ করছো, এতে তো দোষ এর কিছু নাই"। ভালোই হইছে।

--- একদিন আমি আব্বুকে বলতেছিলাম যে, আব্বু আমি জানি বিয়ের আগে এসব প্রেম হারাম। আমি সেটা বিশ্বাস ও করি। কিন্তু আমি হয়তো শয়তানের ধোকায় পরে এটা থেকে বের হইতে পারতেছি না। তুমি কি এটা বিশ্বাস করো যে, বিয়ের আগে প্রেম হারাম? আব্বু বলে জি। আমি বললাম তাইলে তুমি কেন বললা যে, আমি পছন্দ করছি এটা ঠিক আছে? আব্বু বললো তুমি তো একজন কে পছন্দ করতেই পারো। এই কথা দিয়ে আব্বু আসলে কি বুঝালো বুঝলাম না।

---তার কিচ্ছুক্ষন পরে আব্বু আবার বলতেছে যে, বিয়ের আগে যদি ছেলে মেয়ের মধ্যে কথা হয়, যদি খারাপ কিছু না থাকে,  তাহলে তো ওটা ভালো। এই কথা বলার পরে আমি আব্বুকে আবার বললাম তুমি এটা কেমনে ভালো বলতেছো আব্বু? যেখানে কুরআন হাদিস এ স্পষ্ট করে লিখা আছে ছেলে মেয়ে কথা বলাও যাবে না। তাহলে তুমি কি এটা হারাম এটা মানো? আমার আব্বু বলে - জি।

----এর পরে আব্বু আবার বলে যে, এসব কুরআন হাদিস নবী রাসুল এর যুগে মানা হত। একজন আরেক জনকে বিয়ে দিয়ে দিত। কিন্তু এখন তো জ্ঞান বিজ্ঞানের যোগ৷ এখন তো এমন ভাবে অনেক কিছু হয় না৷ তখন আমি বললাম, আব্বু তুমি তো সিচুয়েশন বুঝাইতেছো। আমি কোনো সিচুয়েশন ছাড়াই তোমাকে বলেতেছি যে, বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে কথা বলাও হারাম এটা তুমি বিশ্বাস করো কিনা? তুমি কি কুরআন হাদিস মানো যেখানে একবারে এগুলা নিষেধ করা হয়েছে বিয়ের আগে? আব্বু বলে জি। কুরআন হাদিস তো মানি ই। আব্বু বলতেছে কুরআন হাদিস এ তো বলা আছে বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে কথা বলা যাবে না, মেয়েদের আলাদা পর্দা দিয়ে রাখতে হবে৷ পরে আমি আবারোও জিজ্ঞেস করলাম তাহলে তুমি যে বললা বিয়ের আগে নাকি ছেলে মেয়ে কথা বলা ভালো যদি খারাপ কিছু না থাকে তাহলে এটা কি সিচুয়েশন এর জন্য বললা? আব্বু বলে -"জি"। কিন্তু তুমি তো বিশ্বাস কর যে বিয়ের আগে প্রেম হারাম। আব্বু বলে - "জি"। তুমি ঠিক।

হুজুর আমার আব্বু একবার বলতেছে সে মানে এটা হারাম। আবার বলতেছে বিয়ের আগে খারাপ কিছু না থাকলে এমনি কথা বললে সেটা নাকি এত খারাপ না। ভালো। উনার এমন কথার কারনে উনার কি ইমান ঠিক আছে? অলরেডি বাসায় এটা নিয়ে ঝামেলা চলতেছে। আমি তাই আপনাদের কাছে জানতে চাচ্ছি। আমার আব্বুর কি ইমান ঠিক আছে? আমার মায়ের সাথে বিয়ে ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরি হল কি না? এই সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কুফরির ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকবে, অন্যদিকে কুফরি না হওযার এক ভাগ সম্ভাবনা বাকী থাকবে। তখন মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার ফয়সালা প্রদান করা। কেননা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলের কারণে এক হাজার কাফেরকে মুসলমান হিসেবে অবশিষ্ট রাখার চেয়ে ভুলক্রমে একজন মুসলমানকে কাফির সাব্যস্ত করা জঘন্যতম সিদ্ধান্ত। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7200

"الدر المختار " (4/ 224):
"(وشرائط صحتها العقل) والصحو (والطوع) فلا تصح ردة مجنون، ومعتوه وموسوس، وصبي لايعقل وسكران ومكره عليها، وأما البلوغ والذكورة فليسا بشرط بدائع".
قال ابن عابدین رحمه الله:
" قال في البحر والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلاً أو لاعبًا كفر عند الكل ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. ومن تكلم بها مخطئًا أو مكرهًا لايكفر عند الكل، ومن تكلم بها عامدًا عالمًا كفر عند الكل، ومن تكلم بها اختيارًا جاهلاً بأنها كفر ففيه اختلاف. اهـ".

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ে বহির্ভূত প্রেম ভালবাসা যে হারাম, তা তো আপনার বাবা অস্বীকার করছেন না। সরাসরি অস্বীকার না করার দরুণ আপনার বাবার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...