আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।দ্বিতীয় বিবাহ শরীয়তে জায়েজ,অনেক শর্ত আছে।বর্তমানে দ্বিতীয় বিবাহ করলে বেশিরভাগ মানুষ প্রথম স্ত্রীকে কম ভালবাসে।আরে অনেক কিছু।এজন্য কেউ যদি বলে বাংংলাদেশের এটা ভাল করেছে একসাথে ২টা বিয়ে বা স্ত্রীর অনুমতি ব্যাতিত বিয়ে রাখে নাই।আরো যদি বলে মানুষ ফরজ পালন করে না ৪টা বিয়ে জায়েজ এটা নিয়ে বেশি লাফায় পুরুষ মানুষ,ধর্ম বলতে এটাই বুঝে।ইসলামকে কটুক্তি করা না  এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে পুরুষের এমন বললে কি গুণাহ হবে বা ঈমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলাম পুরুষদেরকে বহু বিবাহের প্রতি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করেছে। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﻭَﺇِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗُﻘْﺴِﻄُﻮﺍْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰ ﻓَﺎﻧﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻃَﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻣَﺜْﻨَﻰ ﻭَﺛُﻼَﺙَ ﻭَﺭُﺑَﺎﻉَ ﻓَﺈِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺪِﻟُﻮﺍْ ﻓَﻮَﺍﺣِﺪَﺓً ﺃَﻭْ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌُﻮﻟُﻮﺍْ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
(সূরা নিসা-০৩)

দেখুন উক্ত আয়াতে প্রথমেই বহুবিবাহের কথা বলা হচ্ছেনা। বরং বলা হচ্ছে যে এ'তিম মেয়েদের হক্ব পুরোপুরি ভাবে আদায় না করার ভয় হলে এক,দুই, তিন,চার পর্যন্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করতে পারবে।
এবং সর্বশেষে বলা হচ্ছে, ন্যায়সঙ্গতা বজায় না রাখার আশংকা থাকলে, একটাই উত্তম।

হাদীস শরীফে এসেছে, যদি কেউ এক স্ত্রীর প্রতি জুকে যায়,তাহলে ক্বিয়ামতের দিন সে এক সাইট জুকে জুকে হাশরের ময়দানে ঘুড়বে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2863

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"মানুষ ফরজ পালন করে না ৪টা বিয়ে জায়েজ এটা নিয়ে বেশি লাফায় পুরুষ মানুষ,ধর্ম বলতে এটাই বুঝে।" এ কথাগুলোরইসলামকে কটুক্তি করার উদ্দেশ্য নয় বরং মানুষদের স্বভাব চরিত্রের প্রতি লক্ষ করে যদি কেউ বলে, তাহলে এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না। ঈমান নষ্ট হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...