আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। উস্তাদ, আমি জানতে চাচ্ছি কাউকে জোর করে কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন? আমাদের সমাজে এটা একটা প্রচলিত বিষয়। কিন্তু আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে এবং অভদ্রতা মনে হয়। কয়েকটা ক্ষেত্র উল্লেখ করছি। কোন ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা কেমন, অনুগ্রহ করে জানাবেন।

১. শিশুকে কাতুকুতু দেওয়া যখন সে আনন্দ পায় এবং আবারো এমনটা করা হোক, সেই আগ্রহ রাখে।

২. শিশুকে কাতুকুতু দেওয়া যখন সে অটো রিয়েকশনের কারণে হয়তো হাসছে কিন্তু তার কষ্ট হচ্ছে। শিশু নিজে অথবা শিশুর বাবা-মা চাচ্ছে না তার সাথে এমনটা করা হোক।

৩. কোনো বালেগা নারী/পুরুষ অপর বালেগা নারী/পুরুষের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় কাতুকুতু দেওয়া (কেননা কাতুকুতু তো কেবল স্পর্শকাতর জায়গাতেই অনুভূত হয়। যেমন: বগল, পেট, পায়ের তালু ইত্যাদি।) সে ব্যক্তি সন্তুষ্ট থাকলে শরীয়তের নির্দেশনা কেমন হবে এবং সন্তুষ্ট না থাকলে কেমন হবে?

৪. স্বামীর যদি এমন কাতুকুতু দেওয়ার বদ অভ্যাস থাকে এবং স্ত্রী যদি তাতে বিরক্তি ও কষ্ট বোধ করে, অসন্তুষ্ট হয় তাহলে স্বামীর জন্য এমন আচরণ করা কি জায়েজ হবে? (শরীয়তের স্পষ্ট নির্দেশনা জানলে তিনি হয়তো বিরত হবেন। এজন্য জায়েজ/নাজায়েজ জানতে চাচ্ছি।)

৫. কাউকে কাতুকুতু দেওয়া, মুআশারাতের দিক থেকে এটি কেমন আচরণ? গ্রহণযোগ্য নাকি নিন্দনীয়? নিজেকে যাচাই করার জন্য জানতে চাচ্ছি। এটা কি আসলেই ম্যানারলেস আচরণ না কি আমারই বাড়াবাড়ি ও কঠোরতা?

জাযাকুমুল্লাহু খইরান ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ।

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী- ২৬৫০,২৬৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জোরকরে কাউকেই কাতুকুতু দেওয়া জায়েয হবে না। বাচ্চা শিশুদেরকে মাঝেমধ্যে দুয়েকবার দেওয়ার রুখসত বা সুযোগ থাকলেও বেশী দেওয়া উচিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...