আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার হাত তোলা মোনাজাত এর চেয়ে সিজদাহ্ দিয়ে মোনাজাত বা দোয়া করে বেশি শান্তি পাই, মজা পাই।তাই আমি আমি নামাজের সিজদাহ্ ব্যাতিত ও সিজদাহ্ দিয়ে দোয়া করি।
এইটা কী জায়েজ?

সেদিন মসজিদে একজন বল্ল, যেহেতু নবী সাঃ করেছেন কিনা তা প্রমাণিত নয়,তাই করা উচিৎ হবে না।
অনুগ্রহ পূর্বক জানাবেন.....
আমি নিম্ন ২টি হাদীস পেয়েছি কিন্তু হাদীস সমূহে স্পষ্ট না,নামাজের সিজদাহ্ অথবা নামাজ ব্যাতিত সিজদাহ্ তা,
 হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সিজদারত থাকে। অতএব তোমরা তখন অধিক দোয়া করতে থাকো।’ -(মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)

রাবিআহ ইবনে কব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রাত যাপন করতাম। একদা আমি তাঁর অজু ও ইসতেঞ্জা করার জন্য পানি আনলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কিছু চাওয়ার থাকলে চাইতে পারো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওটা ছাড়া আর কিছু চাও কি? আমি বললাম, এটাই চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে বেশি বেশি সিজদার দ্বারা তুমি এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করো। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯)

তাছাড়া আমরা সবাই জানি,
রাসুলুল্লাহ (সা.) খুশীর খবর শুনে সিজদাহ্ দিতেন।

1 Answer

0 votes
by (82,530 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/72943/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন,

إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»

নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭] 

,

আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ"  কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।

নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।

বিস্তারিত জানুন - https://www.ifatwa.info/185 

,

নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।

সেজদায় গিয়ে سبحان  ربي الأعلى 

ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেন,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}

আরো জানুনঃ  

https://ifatwa.info/5044/ 

https://ifatwa.info/7320/ 

,

হানাফী মাযহাব অনুসারে যেকোনো ধরনের স্বলাতে অর্থাৎ ফরজ, সুন্নাত, নফল, বিতির স্বলাতে সিজদায় আরবি কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ করা যাবে, তবে বাংলায় দু'আ করা যাবেনা। বাংলায় দু'আ করলে স্বলাত ভেঙ্গে যাবে। তবে নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।

আপনি সেজদায় বাংলায় দোয়া করতে চাইলে আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে, যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।

মুখে উচ্চারণ করে বাংলা শব্দ বলা যাবেনা। মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে বলতে পারবেন।

,

সকাল-সন্ধ্যায় ১ বার

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ، أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهٗ، وَ لَا تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ.

উচ্চারণ: ইয়া হা:ইয়্যু ইয়া ক্বইয়্যূম, বিরহ্:মাতিকা আসতাগীছ, আছ¦লিহ:লী শা'নী কুল্লাহ্, ওয়া লা- তাকিল্নী  ইলা- নাফ্সী  ত্বরফাতা ‘আঈন ।

,

অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের উসিলায় সাহায্য চাই। আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন। আর আপনি আমাকে নিজের কাছে এক নিমিষের জন্যও সোপর্দ করবেন না।

,

ফযীলত: বালা-মসিবতের সময় এই দু‘আটি সিজদায় গিয়ে বারবার পাঠ করা যেতে পারে। নবীজী বদর যুদ্ধের সময় সিজদায় গিয়ে এই দু‘আটি বারবার পাঠ করেছেন। পরবর্তীতে মহান আল্লাহ্ তা‘য়ালা বদর যুদ্ধে মুসলমানদেরকে বড় বিজয় দান করেছিলেন। মুসনাদুল বায্যার, ১/৪৪৮, হাদীস নং ৭২১

,

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সিজদায় গিয়ে দুআ করতে পারবেন। তবে সবচেয়ে উত্তম হলো যে, নফল সালাতের সিজদায় গিয়ে উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে দুআ করা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 707 views
...