আসসালামুয়ালাইকুম, আমি একজন প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম। শারিরিক সমস্যার কারনে আমার প্রথন সন্তান সিজারের মাধ্যমে জন্ম দিতে হয়। আমি যার জন্য প্রতিনিয়ত লো ফিল করি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আমি অনেক দুয়া আর চেষ্টা করেছিলাম এমনকি জমজম এর পানি পান করতে করতে দুয়া করলাম নরমাল এর জন্য। আমার শেষ পর্যন্ত সিজার করতে হলো। কিন্তু কিছু কিছু ধর্মপ্রান মুসলিম ব্যাক্তিদের কথা আমাকে রিতিমতো ঘায়েল করতেসে। তাদের কথা মতে হয় মাত্তৃত্ত নয়ত শাহাদাহ। সিজার একটা চাল পশ্চিমার, শারিরক প্রতিবন্ধকতা হলো ছলনা।
আমি এখানে খুবই কষ্ট পাচ্ছি এই ভেবে যে আমার কি তাহলে আল্লাহর উপর ভরসা করে নরমাল এর জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল? আমি ২য় বার বাবু নেওয়ার সময় তাহলে কি করবো?
একয়া হাদীস পরেছি। এই হাদীস অনুযায়ী আমার তো প্রসব বেদনা উঠে নাই। তাহলে কি আমি সওয়াব পাবো না বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য আর তার অসুস্থতায় রাত জাগার জন্য?
আমার লিভার এঞ্জাইম বেরে সারা শরীরে চুলকানি ছিল। মেডিক্যাম সায়েন্স এর মতে এই অবস্থায় বাচ্চা ডেলিভারি না করে ফেললে হার্ট এর সমস্যা এমনকি বাচ্চা মারাও যেতে পারতো।
আমার প্রশ্ন হলো অনেক হুজুর দের ও দেখি ২-৩ টা বাচ্চার বেশি নিতে না। আর অন্য সকল শারিরিক সমস্যার জন্য আধুনিক চিকিৎসা নিতে পারলে গর্ভকালীন সমস্যার জন্য সিজার এত গুনাহ এর মতো দেখা হয় কেন?
আমি মানি সিজার এর কারনে অনেক ক্ষতি হয় মানুষের শরীরে। কিন্তু ইসলাম তো বড় ক্ষতি থেকে ছোট ক্ষতি প্রাধান্য দেয় তাই না? আমাকে উট বেধে রেখে তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করতে বলা হইসে। এখন আমি মেডিক্যালি একটা জিনিস জানার পর আমার কি তাহলে অপেক্ষা করা উচিত ছিল? বাচ্চাটা মৃত জিন্মালে আমি কি গুনাহগার হতাম না যে জানার পরও আমি কেন অপেক্ষা করলাম আল্লাহ বাচাবে এই ভেবে?
আমাকে একটু সাহায্য করুন উত্তর দিয়ে। যাতে আমি ২য় বাচ্চার বেলায় সতর্ক হই আর আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারি