আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited ago by
আসসালামুয়ালাইকুম, আমি একজন প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম। শারিরিক সমস্যার কারনে আমার প্রথন সন্তান সিজারের মাধ্যমে জন্ম দিতে হয়। আমি যার জন্য প্রতিনিয়ত লো ফিল করি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আমি অনেক দুয়া আর চেষ্টা করেছিলাম এমনকি জমজম এর পানি পান করতে করতে দুয়া করলাম নরমাল এর জন্য। আমার শেষ পর্যন্ত সিজার করতে হলো। কিন্তু কিছু কিছু ধর্মপ্রান মুসলিম ব্যাক্তিদের কথা আমাকে রিতিমতো ঘায়েল করতেসে। তাদের কথা মতে হয় মাত্তৃত্ত নয়ত শাহাদাহ। সিজার একটা চাল পশ্চিমার, শারিরক প্রতিবন্ধকতা হলো ছলনা।
আমি এখানে খুবই কষ্ট পাচ্ছি এই ভেবে যে আমার কি তাহলে আল্লাহর উপর ভরসা করে নরমাল এর জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল? আমি ২য় বার বাবু নেওয়ার সময় তাহলে কি করবো?

একয়া হাদীস পরেছি। এই হাদীস অনুযায়ী আমার তো প্রসব বেদনা উঠে নাই। তাহলে কি আমি সওয়াব পাবো না বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য আর তার অসুস্থতায় রাত জাগার জন্য?


আমার লিভার এঞ্জাইম বেরে সারা শরীরে চুলকানি ছিল। মেডিক্যাম সায়েন্স এর মতে এই অবস্থায় বাচ্চা ডেলিভারি না করে ফেললে হার্ট এর সমস্যা এমনকি বাচ্চা মারাও যেতে পারতো।
আমার প্রশ্ন হলো অনেক হুজুর দের ও দেখি ২-৩ টা বাচ্চার বেশি নিতে না। আর অন্য সকল শারিরিক সমস্যার জন্য আধুনিক চিকিৎসা নিতে পারলে গর্ভকালীন সমস্যার জন্য সিজার এত গুনাহ এর মতো দেখা হয় কেন?
আমি মানি সিজার এর কারনে অনেক ক্ষতি হয় মানুষের শরীরে। কিন্তু ইসলাম তো বড় ক্ষতি থেকে ছোট ক্ষতি প্রাধান্য দেয় তাই না? আমাকে উট বেধে রেখে তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করতে বলা হইসে। এখন আমি মেডিক্যালি একটা জিনিস জানার পর আমার কি তাহলে অপেক্ষা করা উচিত ছিল? বাচ্চাটা মৃত জিন্মালে আমি কি গুনাহগার হতাম না যে জানার পরও আমি কেন অপেক্ষা করলাম আল্লাহ বাচাবে এই ভেবে?
আমাকে একটু সাহায্য করুন উত্তর দিয়ে। যাতে আমি ২য় বাচ্চার বেলায় সতর্ক হই আর আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারি

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...