আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
সমস্যাটা আমার বহু বছর তবে এখন এটা মানসিক প্রেশারের কারণ হচ্ছে।
১)সেটা হেচ্ছ আমি যখন কোনো  মানুষের সাথে কথা বলি যে গোমড়া মুখ করে আছে বা আমাকে একটু অন্যরকম রিপ্লাই দিতে পারে আমি ওদের সামনে কনফিডেন্টলি কথা বলতে পারিনা। স্পষ্ট করে কিভাবে বলবো?

২)আবার আমার রুমমেট কে কিছুই বলতে আমার ইচ্ছে হয় না,যেমন ওর কোনো একটা কাজ আমার ভালো লাগেনি (উদাহরণ ফ্লোরে চুল ফেলে রাখা) এটা আমি ক্লিয়ারলি বলতে পারিনা বাট আমার ভালো লাগেনা।আমি ইগনোর করি বলতে পারিনা দেখে।

৩)তবে আজকে একটা ব্যাপারে বেশ প্রবলেম হচ্ছিলো আমি সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছি, তবে কথার মধ্যে এমন একটা কথা বলসি যেটা বলা আমার কোনো দরকারই ছিলো না যাস্ট কাইন্ড অফ ওকে খুশি করার জন্য তাল মিলিয়ে বলে ফেলসি।এমন আরো অনেকের সাথেই করে ফেলি

এটা কিভাবে বাদ দিবো? বেশ স্ট্রেশ লাগছে

কোনো আমল আছে?

1 Answer

0 votes
by (705,540 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী- ২৬৫০,২৬৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)হাসিমুখে কথা বলার চেষ্টা করবেন, কেননা হাসিমুখে কথা বলার মধ্যে সওয়াব নিহিত রয়েছে।
(২) কথা না বললেও কোনো গোনাহ হবে না। তবে কথা বলাই উচিত হবে।
(৩) সুন্দরভাবে ঘুচিয়ে কথা বলবেন। প্রত্যেকটা কথা বলার পূর্বে চিন্তা করে বলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...