قوله تعالى:
﴿ فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ ﴾
“তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যতটুকু পারো।”
(সূরা আত-তাগাবুন, 64:16)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حديث صحيح:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ:
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ:
«إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ»
(“যখন আমি তোমাদের কোনো কাজের আদেশ দেই, তখন তোমরা তা যতটুকু সম্ভব পালন করো।”)
(رواه البخاري، حديث رقم: 7288؛ ومسلم، حديث رقم: 1337)
এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, যদি কেউ নিজে অযু করতে না পারে, তবে যতটুকু সম্ভব করবে বা অন্য কাউকে দিয়ে করাবে।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর ফিকহী নিয়ম
(أ) যদি নিজে করতে না পারে:
ابن قدامة رحمه الله বলেছেন (المغني 1/178):
«فإن عجز عن الوضوء أيمم، فإن لم يجد من يوضئه ولا من ييممه، صلى على حسب حاله، ولا إعادة عليه»
“যদি অযু করতে অক্ষম হয়, তবে তায়াম্মুম করবে। যদি এমনও না হয় (কেউ নেই যে তাকে অযু বা তায়াম্মুম করাবে), তবে সে তার অবস্থায় নামাজ পড়বে এবং পুনরায় আদায় করার দরকার নেই।”
(ب) অন্যকে দিয়ে করানো বৈধ:
النووي رحمه الله (المجموع 2/300):
«إذا عجز عن الوضوء بنفسه وأمكنه من يوضئه لزمه ذلك، ولا يكفيه التيمم مع القدرة على الوضوء بواسطة»
“যদি সে নিজে অযু করতে অক্ষম হয় এবং কেউ তাকে অযু করাতে পারে, তবে তা করানো বাধ্যতামূলক। কারো মাধ্যমে অযু সম্ভব হলে তায়াম্মুম যথেষ্ট নয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি প্যারালাইজড রোগীর জন্য কেউ অযু করিয়ে দিতে পারে → অযু করানো আবশ্যক।
যদি কেউ না থাকে বা পানি ব্যবহার করলে ক্ষতি হয় → তায়াম্মুম।
যদি তায়াম্মুমও সম্ভব না হয় → যেমন অবস্থায় আছে তেমন অবস্থায় নামাজ পড়বে, পুনরায় পড়তে হবে না।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোগীর আত্মীয়রা তাকে ওযু করে দিবে। এরপর পবিত্র বিছানায় তাকে বসিয়ে সেখানে তাকে নামাজ পড়তে বলবে সে যদি নামাজ না পড়ে তাকে বাধ্য করার কিছু নেই।