আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
292 views
in সালাত(Prayer) by (54 points)
১, তিন রাকাআতে তাশাহুদ পড়ে ফেললে কি করবো?

২, মাখরাজ বা তাজউইদ ঠিক করে পড়ার একটু জোরে পড়া বা ওই শব্দ বা আয়াত পুনরায় পড়া যাবে কি?

৩, প্রায়ই দুরুদ শরীফের ১ম অংশ বাদ দিয়ে ২য় অংশ পড়েছি নাকি বা দুই অংশ মিলিয়ে পড়ে ফেলেছি নাকি এই নিয়ে সংশয় হয় তাহলে কি আবার প্রথম থেকে দুরুদ শরীফ পড়া যাবে? এমন হলে কি করবো? এরকম প্রায় প্রতিদিনই হয়

৪,সিজদাহ ১টা  দিয়েছি নাকি ২ টা এটা কি দাঁড়িয়ে যাওয়ার আগে অল্প সময় বসে কি মনে করা যাবে?

৫, নামাযে অনেকদিন পর পর একটা সমস্যা হয় যে তিলাওয়াতের কোন একটা আয়াতে ছোট হা নাকি বড় হা হবে বা তা হবে নাকি ত্ব হবে। এক্ষেত্রে কি পড়বো,,, যদি ভুলটা পড়ে ফেলি

৬, প্রায় প্রতি নামাযেই সিজদাহ সংখ্যা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাই বিশেষ করে শেষ রাকাআতে। এক্ষেত্রে কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজের মধ্যে ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে, ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)
,
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে ৩য় রাকাতে বৈঠক করা,তাশাহুদ পড়া,এটি ৪র্থ রাকাতে দাড়ানোকে বিলম্বিত করেছে,তাই সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।    
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
সেজদায়ে সাহু আদায় না করলে ঐ ওয়াক্তের ভিতর উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব।
,
(০২)
যদি এতে অর্থ বিকৃত না হয়,তাহলে সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে উক্ত আয়াত পুনরায় আদায় করা যাবেনা।
,
অন্য সুরার ক্ষেত্রে ঐ আয়াত আবার আদায় করা যাবে।
আর কোনো শব্দের ক্ষেত্রে যদি এমন হয়,তাহলে তাহা সাথে সাথে আদায় করতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
আরো জানুনঃ  
,
(০৩)
দরুদ শরীফ পাঠ করা সুন্নাত,দরুদ শরীফ না পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে,তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুনরায় দরুদ শরীফ পড়া জরুরী নয়।
এই ভাবেই নামাজের অবশিষ্ট কাজ শেষ করবেন।
,
(০৪)
২য় বা ৪র্থ রাকাতের জন্য উঠার আগে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় বসে এই ভাবে চিন্তা করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই নামাজ পড়তে পড়তে সেটি মনে করার চেষ্টা করবেন।
যখনই মনে আসবে,সেজদাহ আদায় করে নিবেন,শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
,
(০৫)
ভুল পড়ার কারনে যদি অর্থ বিকৃত হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
অন্যথায় নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
সুতরাং সঠিক ভাবেই পড়তে হবে।
,
আরো জানুনঃ
,
(০৬)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...