আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ
১।পূর্বে মাজহাব নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোন  মানুষ যদি ভাবে সব মানবে যেটা সহজ।কিন্তু পরবর্তীতে সঠিকভাবে জানার পর মাজহাব অনুসরন করে চলে।শুধু শুনেছিল আগে বাংলাদেশের মানুষ হানাফি মাজহাব কিন্তু আর কিছু না, আরেকটা হানাফি মাজহাবের ওরা সমুদ্রের প্রাণী মাছ ছাড়া আর গুলো খেতে পারে না।মাজহাব নিয়ে বিস্তারিত জানার আগে সে  পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে।আগে এসব না জানার কারনে বা এমন চিন্তার কারণে বড় কোন গুণাহ হবে?

2।চিংড়ি মাছ মাকরূহ এটা শুনার পর ভুলো গেলে চিংডি ও সমুদ্রের অন্য প্রাণীকে হারামের কাছাকাছি মাকরূহ ওটা মনে করলে কি ঈমান চলে যাবে?পরিবারের মানুষরা বললেও না শুনে মানে ওদের বিশ্বাস না করে যখন এই সাইটে দেখার পর তওবা করলে কি ঈমান ঠিক থাকবে যদি তার উদ্দেশ্য থাকে হালালকে হারাম না ভাবা ও হারামকে হালাল না ভাবা এবং সঠিকটা জানতে চাওয়া।

৩।হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল বললে ঈমান চলে যায় সে ভয়ে অন্য    মাজহাবে যেগুলো হালাল আর হানাফি মাজহাবে হারাম সেগুলোকে হালাল  বিশ্বাস করলে কি ঈমান চলে যাবে  মানে মনে শুধু ভয় এটা হালালকে হারাম বললে ঈমান চলে যায় সেই উদ্দেশ্য, মানে ঈমান চলে না যাওয়ার জন্য এমন করলে কি ঈমান চলে যাবে?এসব করলে ঈমান চলে যেতে পারে না জেনে।

৪।কিয়ামতের আগে মানুষ অনেক বেদআত করবে বা ভুল মাসআলা আর ফতোয়া দিবে ।কেউ যদি  কারো সঠিক মাসআালা বা কথা শুনার পর ও আমল না করে মানে ওনার মাসআালা বা কথাটা সঠিক কিনা সেই ভয়ে মানে বেদআতের ভয়ে তাহলে কি ইমানের ক্ষতি হবে? পরে সঠিক জানার পর  আমল করলে কোন সমস্যা হবে?ঠিক তদ্রূপ কোন হাদিস, হালাল,হারাম এসব  বিষয়েও এমন করলে?

৫) ধীরে ধীরে এসব নিয়ে শিখতেছে এমন ব্যাক্তির ভুল কি আল্লাহ মাফ করবে?ওয়াজ আর আপনাদের সাইট থেকে জানার চেষ্টা করা।

৬।ফেসবুকে কিছু ইমোজি/সাইন আছে অনেকে বলে  এসব শিরক।।এসব ইমোজি বা সাইন অন্য উদ্দেশ্যে মানে শিরকের উদ্দেশ্যে না  আকিদা ঠিক রেখে দিলে কি শিরক হবে বা ঈমান চলে যাবে ?

৭।কেউ একদম নামাজ পড়বে না সে উদ্দেশ্যে না মানে কুফরির উদ্দেশ্যে না এমনিতে অলসতার কারণে যদি বলে আজকে নামাজ পড়তে ইচ্ছে করতেছে না বা আজকে না কাল থেকে সব পড়ব এমন বললে তাহলে কি  তার বড় কোন গুণাহ হবে ঈমান চলে যাওয়ার মত?

৮।মাঝে মাঝে নামাজ পড়তে বার বার ঢাকলে অনেকে মনে বিরক্তবোধ করে।নামাজের উপর বিরক্তবোধ না এমনিতে অলসতার কারণে।একদম পড়বে না এমন না।এসবের কারণে কি ঈমান চলে যাবে?

৯।কেউ ৭ ও ৮ নং এর এরকম করলে ঈমান চলে যেতে পারে সেটা না জানলে তার কি তওবা করলে বিয়ে ও ঈমান ঠিক থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (701,250 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...