আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ।
আমি অসময়ে ঘুম আসলে মাঝে মাঝেই স্বপ্ন দেখি অদৃশ্য কিছু অথবা জীন মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর রুপ ধরে আমার উপর আক্রমন করছে।কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ সবসময়ই আমি কোনো না কোনো দু'আ বা সূরা পড়া শুরু করি অল্প একটু পড়লেই যে আক্রমণ করেছিল সে দূর্বল হয়ে যায় বা চলে যায়।।আর আমি জেগে যাই।জেগে যাওয়ার পর বাকি দু'আ পড়ে শেষ করি।

২ মাস আগেও ফজরের অনেকক্ষন পরে ঘুমিয়ে পরি।তখন স্বপ্নে দেখি আমি কোনো এক জায়গা থেকে খুব ভয় পেয়ে বাড়ি ফিরে আসার জন্য রওনা দেই।যখন রাস্তা দিয়ে হেটে আসছিলাম তখন আস্তে আস্তে রাত হয়ে আসছিল।আর সেখানে কোনো মানুষ ছিল না।
আমি রাস্তা দিয়ে আসার সময় গাড়ি,একটা বিল্ডিং যেখানে কোনো মানুষ নেই আর বাগানের দিক থেকে অদৃশ্য খারাপ কিছুর টান অনুভব করি, সে আমাকে একা নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবে বা অন্য কোনো ক্ষতি করবে।
অন্যান্য সময়ের মতো তখনও আমি দু'আ পড়া শুরু করি। সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত আর আয়াতুল কুরসি পড়ছিলাম।(অন্য সময় আয়াতের কিছু অংশ পড়লেই জেগে যাই।কিন্তু এইদিন দু'আ ২টা পড়তেই ছিলাম বারবার)।

তখন এই দু'আগুলো আমায় সামনের দিকে টানছিল।আমিও অদৃশ্য ওইগুলো থেকে বাচার জন্য সামনের দিকেই যেতে চাচ্ছি।পরে দু'আর টানেই রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একটা বাড়ির সামনে আসি।সেই বাড়িতে আলো দেখতে পাই,সেখানে কিছু বাচ্চা খেলছিল বা পড়ালেখা করছিল।বাড়ির সামনে এসে আলো দেখতেই দু'আর টান আর অনুভব হচ্ছিল না।মনে হলো দু'আগুলো আমায় এখানেই আনতে চেয়েছিল।
আমিও পিছনের অদৃশ্য শত্রু থেকে বাচার জন্য বাড়িতে ঢুকার রাস্তা না খুজে যেখানে দাড়িয়ে ছিলাম সেখান দিয়েই ছোট ছোট গাছ আর কবর পারিয়ে বাড়িতে ঢুকে পরি।তখন দেখি একজন লোক হাতে একটা হারিকেন নিয়ে তার ঘরে যাচ্ছেন।গায়ে জুব্বার উপর পুরুষরা পাতলা পা পর্যন্ত কটির মতো পরে ওই রকম পোশাক ছিল  অথবা রাজাদের পোশাক ছিল।আমি পেছন থেকে ইয়া আজিজ বলে ডাক দেই।আর তিনি আমাকে দেখে খুশি হয়ে মুচকি হাসি দিয়ে তাকিয়ে ছিলেন।

হাসি দেখে মনে হচ্ছিল তিনি আমাকে চিনেন।আর আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন।তাই আমার একটু ভয় হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল উনার তো আমাকে চিনার কথা না,উনি কিভাবে আমাকে চিনেন,উনি কি ওই অদৃশ্য জীনদের লোক, উনাকে আগেই আমার খবর জানিয়ে দিয়েছে ওরা।পরে আবার মনে হলো উনি খারাপ মানুষ হলে তো এই বাচ্চাগুলো(যারা খেলছিল সেখানে)উনার কাছে এসে থাকতো না।এটা ভাবতে ভাবতে সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।আর ঘুম থেকে জেগে যাই।

*স্বপ্ন যেদিন দেখেছি তার আগের দিন আমায় পাত্রপক্ষ দেখতে আসার কথা ছিল,কিন্তু আসেননি।স্বপ্ন দেখার দিন বিকেলে শুধু মহিলারা এসেছেন।তার ১০/১২ দিন পর পাত্র দেখতে আসেন।আমি স্বপ্নে যাকে দেখেছি পাত্র দেখতে চেহারা বাদে(আমি পাত্রের চেহারা দেখিনি)বাকি সব, লম্বা সাস্থ,গায়ের রঙ মানি সম্পূর্ণ তার মতো।
আমি এটা নিয়ে ভেবেছি বলে স্বপ্ন দেখেছি বিষয়টা আমার এমন মনে হয় না।কারন সবমসময় আমায় দেখতে আসলে ছবি দেওয়া বা ননমাহরামদের সামনে না যেতে চাওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়।আর সেখানে না হয়ে যায়।আর আগায় না।তাই আমি এসব নিয়ে মানসিক এমন প্রস্তুতিই নিয়ে রাখি,যাতে পরে কষ্ট না পাই।তাছাড়া উনাদের সম্পর্কে আমরা শুধু এটুকুই জানতাম যে উনি মাদ্রাসায় পড়ান।দেখতে কেমন বা অন্যান্য আর কোনো কিছুই জানতাম না।

আমাদের ২ পক্ষেরই অনেক পছন্দ হয়।তারাও অনেক আগ্রহী ছিলেন।পাত্র পাত্রী ২ জনের ২ জনকেও পছন্দ হয়।কিন্তু তবুও কোনো কারন ছাড়াই এখানে আর কথা আগাচ্ছে না।না/হ্যা কিছুই বলেননি কেউ।দেড় মাস হয়ে গিয়েছে...
(আমার বিয়ে নিয়ে এমনিতেও সমস্যা হচ্ছে।ছবি না দেওয়া বা খুব ছোট ছোট কারনে পছন্দ হলেও আর আগায় না। কিন্তু এখানে এমন কোনো কারনই ছিল না।ছবি না দিতে চাওয়ায়ই হয়তো পাত্রের এখানে আগ্রহ আরো বেশি ছিল।)

এই স্বপ্নের সাথে কি এটা কি কানেক্টেড?
ago by (2 points)
বিয়ের জন্য আমার এক আত্মীয় আমায় ১০০ বার দুরুদ, ৩৯৯ বার লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ,১০০ বার লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহির আলিয়্যিল আযীম এর পর আবার ১০০ বার দুরুদ পড়তে বলেছেন তাহাজ্জুদে।এই আমলটা কি করবো?আর যদি করি তাহলে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ৩৯৯ বার না পরে ৪০০ বার -ই পড়তে পারবো না?
যিনি এটা পড়তে বলেছেন উনি বুজুর্গ কেউ না।এমনিতেই মোটামুটি দ্বীন মেনে চলেন।

1 Answer

0 votes
ago by (691,530 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
خير لنا و شر علي أعدائنا والحمدلله رب العالمين
(ভালো আমাদের জন্য,খারাপ আমাদের শত্রুদের জন্য,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার।)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي ) 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734


আপনার প্রতি নসিহা হল,আপনি ফরয ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বসহকারে পালন করবেন।সামর্থ্যানুযায়ী গরীব-মিসকিনকে কিছু দান করবেন। আর নিম্নোক্ত দুআ পড়বেন। "আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।"

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বপ্নের সাথে বিয়ের কোনো সম্পর্ক আপাতত মনে হচ্ছে না। আপনি আল্লাহর কাছে সর্বদা কল্যাণকে কামনা করবেন। বিয়ে শাদি সবই আল্লাহর হাতে। আল্লাহ চাহে তো উত্তম স্থানেই আপনার বিবাহ হবে ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...