আসস্লামুয়ালাইকুম
কিছু কথা জানতে চাই আমার শশুর কে নিয়ে।
১। একদিন আমি ওয়াজ শুনছিলাম, তখন আমার শশুর হুজুরদের উলটপালটা অনেককিছু বলছিল, ওনারা নাকি মানুষের কাছে ফকিরের মত হাত পেতে খায়, এমন আরও অনেক কিছু বলে অনাদের গালি দিচ্ছিল, তখন আমি বলি যে আব্বা এমন করে কেনো বলছেন, আমিও তো আমার ছেলেকে হুজুর বানাতে চাই, তখন উনি বলেছিলেন যে আমি যদি ওনার নাতিকে হুজুর বানানোর কোনো চেষ্টা করি, তাহলে আমার সাথে কোনো সম্পক রাখবেন না, এসব বলে উনি বাসা থেকে রাগ করে চলে যায়। আমার মা কেউ অনেক কিছু বলে,এবং কয়েকদিন কোনো যোগাযোগ করেন নি। এতে আমার হাসবেন্ড আমাকে ভুলবুঝে কয়দিন বাসায় খুব ঝামেলা করে।
বিঃ দ্রঃ আমার শশুর নামাজ রোজা কিছুই করেন না, জাকাত কে উনি অর্থ অপচয় মনে করেন, ওনার ৭৮ বছর, আমার হাসবেন্ড ও উনাকে জীবন এ খুব কম সময় ই নামাজ রোজা করতে দেখেছেন, এবং নিয়মিত সুদ খান, আমার হাসবেন্ড কেউ সুদ খাওয়ার জন্য জোড় করেন, সুদকে উনি হালাল মনে করেন, ইসলাম নিয়ে ভালো মন্দ কিছু বলা জায় না, রাত দিন ফোনে গান বাজনা শুনেন, এমনকি আমার নামাজ পড়তেও অসুবিধা হয় অনেক, কিন্তু কিছু বলতে পারি না।
কিন্তু আমাদের নামাজ রোজা নিয়ে কিছু বলেন না,
২। আমাদের বাসায় উনি আবার আসেন, সব ঠিক ই ছিল। একদিন উনি আম নিয়ে আসেন, আম ছিল টক, তো উনি বলছিলেন, মুসলমান দোকান থেকে নিয়ে আসছি, দাড়ি ওয়ালা, এসব লোকেরা ঠক,বাটপার, আরও কিছু মুখ খারাপ করে গালিদেন মুসলিমদের, বলেন মুসলিম মানেই এসব,। তখন আমার হাসবেন্ড বলেন, আব্বা আমারা হিন্দুদের থেকে নিয়েও তো ঠকি, হিন্দুরাও অসব। আর কোনো কথা আমার হাসবেন্ড বলেন নি।
তখন উনি আরও জঘন্য ভাষায় মুসলিমদের গালি দেন, অনেক চিল্লাচিল্লি করেন, আমার ও আমার সন্তানের সামনে আমার হাসবেন্ড কে মারতে আসেন,এবং বাসা থেকে বের হয়ে চলে যান। আর কোনো যোগাযোগ করেন নি। ওনার নিজের আলাদা বাসা আছে।
আমার হাসবেন্ড ও আর ফোন দেন নি।
বিঃ দ্রঃ ছোটো থেকেই আমার হাসবেন্ড এর খোরপোষ আমার শাশুড়ি ই চালাতেন, উনি আমার শাশুড়ি কেউ ভরোনপোষন দিতেন না , আমার শাশুড়ি মারা গেছেন, তারপরো উনি অনেক গালিগালাজ করেন শাশুড়ি কে, অথচ আমার শাশুড়ি র কোনো দোষ ছিল না, আমার শশুর এর অবৈধ সম্পর্ক ছিল, এখনও আছে।
এমতাবস্থায় আমারা কি করতে পারি।