আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited ago by
১।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। একজন মানুষ যে জেনে শুনে ঈমান ভাংবে এমন চিন্তাও কোনদিন করে না।কিন্তু কিছু কিছু জানে কোনটা ছোট শিরক আর কোনটা বড় শিরক।কিন্তু সব বিষয়ে জানে না।কোনটা বড় কুফরি কোনটা ছোট কুফরি এসব নিয়ে সব কিছু জানে না।এমন কিছু বড় শিরক আছে যেগুলো ছোট শিরক ভেবে করে ফেলতে পারে বা করেছে।আর তেমন কথাও বলে ফেলতে পারে বা করেছে, ঠিক এমন কিছু বিশ্বাস ও করতে পারে বা করেছে।কিন্তু এসবের দ্বারা ঈমান চলে যেতে পারে এসব জানলে জিবনেও ওই সব করত না এমন মানুষ।এমন কাজ অনেক হতে পারে।এমতাবস্থায় জানার পর সবকিছুর জন্য একসাথে  কান্না করে করে তওবা করলে তার ঈমান ও বিয়ে কি নবায়ন করতে হবে নাকি তওবা করলে হবে সব কিছুর জন্য? মানে আল্লাহকে যদি এভাবে বলে যা হয়েছে ভুল হয়েছে আমাকে ক্ষমা করুন আর জীবনেও হবে না এভাবে বলে বলে তওবা করলে এবং সবসময় ইসতেগফার পড়লে হবে?নাকি এক একটা মনে পড়ার পর পর বার বার করবে?

২।দুপুরের ২ রাকাত সুন্নত না পড়লে গুণাহ বলে অনেকে। আবার অনেকে বলে গুণাহ না।এসব শুনার পর অবস্থায় কেউ গুণাহ হবে না ভাবলে তার কি ঈমান চলে যাবে?

৩।ঠিক তদ্রূপ অন্যান্য নামাজের সুন্নতের বেলায় ও এমন ভাবলে?

৪।গুনাহ হবে না ভেবে না পড়ার কারণে ঈমানে সমস্যা হতে পারে এটা না জানলে পরে তওবা করলে কি তার বিয়ে ও ঈমান নবায়ন করতে হবে ?

৫।কেউ যদি বলে আল্লাহ ও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি এটা কি বড় শিরক?কেউ ছোট শিরক ভেবে বললে বা শিরক এসব ভুলে গিয়ে বললে তার কি ঈমান চলে যেতে পারে? মানুষ কথার ভুলে এসব বলে ফেললে কি কুফরি হয়?

৬।কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে যে ভবিষ্যতে কি হবে এরকম একটা মেশিন সেটা বলে দিবে ভবিষ্যতে কি হবে কত টাকার মালিক হবে ইত্যাদি। এসবে বিশ্বাস করলে শিরক হবে জানে। কিন্তু ঈমান ভাংতে পারে এটা না জেনে এমনিতে বিশ্বাস না করে মজার ছলে  আকিদা ঠিক রেখে এসব করলে বা পোস্ট করলে কি ঈমান চলে যাবে?ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশ্যে না।

৭।এসব পোস্ট করা শিরক হতে পারে শুনার পর পোস্ট করে না এবং কোন ধরনের শিরক না জেনে মানে পোস্টের দ্বারা ঈমান চলে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে না জেনে।তবুও মজার ছলে আকিদা ঠিক রেখে কেউ পোস্ট করে ফেললে কি তার ঈমান চলে যাবে?ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশ্যে না এমনিতে।

৮।শিরক শোনার পর কেউ যদি বলে এসব তহ বিশ্বাস করে না এমনিতে পোস্ট করলেও ঈমান চলে যাবে নাকি এমন বললেও কি ঈমানে সমস্যা হবে?ইসলামকে অস্বীকার করার উদ্দেশ্য না থাকলে এমনিতে এমন বললে?

৯।ঐসব পোস্টে এমনিতে হা হা রিয়েক্ট দিলে কি ঈমান হবে?

১০। আগে কোন কুফরি কিছু করেছে পরে জানার পর তওবার কথা মাথায় না থাকলে ৪_৫ মিনিট পর বা আরো পরে মাথায় আসলে সাথে সাথে ইসতেগফার পড়ে অথবা  অনুতপ্ত হয় ভয়ে এবং এরপরে নামাজ পড়ার সময় আবার তওবা করে কি কোন সমস্যা হবে ঈমানে?

১১। আগে কোন কিছু  কুফরি করেছে  পরে জানার পর তওবার কথা মাথায় না থাকলে যখন মাথায় আসে তখন ঠিকভাবে ইসতেগফার পড়েছে কিনা বুঝতে না পারলে তবে শুধু এটা বুঝে তখন ইসতেগফার পরার নিয়ত ছিল এবং ভয় ছিল পরে নামাজ পড়ার সময় আবার তওবা করলে তার ঈমান কি ঠিক থাকবে?

১২। সাধারন মানুষ ভুল বলে ।কিছু কথা শুনেছে যেগুলো শিরক বা কুফরি কিন্তু কোন ধরনের শিরক জানে না। এটার কারণে ঈমান চলে যেতে পারে এটাও জানে না আর শুনেও নি।উক্ত কাজ বা কথাগুলো যদি করে ফেলে বা বিশ্বাস করে ফেলে পরে যখন সত্যটা জানতে পারে ওয়াজ বা আলেম থেকে তখন তওবা করলে কি ঈমান আর বিয়ে ঠিক থাক?

১৩।বিয়ের আগে এমন কাজ করলে সেটা বিয়ের পর যদি জানতে পারে ওটা আসলেই ঈমান চলে যাওয়ার মত কাজ ছিল তাহলে কি তওবা করলে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (691,530 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 224 views
...