আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মুফতী সাহেব,

আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি, আলহামদুলিল্লাহ। অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি মাসে স্ব-স্ব মূল বেতনের ১৫% হারে কেটে নেওয়া হয়। চাকরির স্থায়িত্ব ২৪ মাস পূর্ণ হলে প্রভিডেন্ট ফান্ড মেচিউর হয়; অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী যত টাকা আমার জমা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ অর্থ চাকরি শেষে আমাকে প্রদান করবে।

সম্প্রতি আমি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আমাকে সব টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং ব্যক্তিগত হিসাব অনুযায়ী আমি লক্ষ্য করি, এখানে কিছু টাকা অতিরিক্ত রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, আমি চাকরিরত অবস্থায় ১০০ টাকা জমা দিয়েছি (প্রতি মাসে মূল বেতনের ১৫% টাকা দিয়ে দিয়ে)। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান আমাকে সমপরিমাণ অর্থাৎ ১০০ টাকা প্রদান করবে—মোট ২০০ টাকা। কিন্তু আমি পেয়েছি ২২০ টাকা।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমি জেনেছি এই অতিরিক্ত টাকার উৎস। প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিটি রয়েছে। প্রতি মাসে আমার মতো সকল কর্মচারীর মূল বেতনের ১৫% হারে ফান্ডে জমা হয়। প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী - সুদ  ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা সরকারি ট্রেজারি চালানে বিনিয়োগ করে বা সরকারি বন্ড ক্রয় করে। এখান থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে মুনাফা তথা সুদ প্রাপ্তি হয়। এখান থেকে প্রাপ্ত মুনাফাসহ সব টাকার হিসাব একটি সিএ (CA) ফার্ম দ্বারা অডিট করানো হয় এবং অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী তা প্রত্যেক কর্মচারীর মধ্যে বণ্টন করা হয়। প্রতিবছরই অডিট ও টাকার বণ্টন হয়ে থাকে। সুতরাং আমি যে অতিরিক্ত ২০ টাকা পেয়েছি, সেটি এভাবেই এসেছে।

আমার বিনীত প্রশ্ন হলো:

১। উক্ত অতিরিক্ত টাকার শরীয়াহর বিধান কী? স্পষ্টভাবে হালাল/হারাম বললে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
২। যদি হারাম হয়ে থাকে, যেহেতু টাকা আমার অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে কিন্তু এখনো খরচ করিনি এবং এর পরিমাণও আমি জানি, তবে সম্ভাব্য কোন কোন খাতে এটি ব্যয় করা যেতে পারে?

1 Answer

0 votes
ago by (691,530 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার কম্পানির প্রভিডেন্ট ফান্ড আবশ্যিক, তাই এই অতিরিক্ত টাকা সুদ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...