আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মুফতী সাহেব,
আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি, আলহামদুলিল্লাহ। অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি মাসে স্ব-স্ব মূল বেতনের ১৫% হারে কেটে নেওয়া হয়। চাকরির স্থায়িত্ব ২৪ মাস পূর্ণ হলে প্রভিডেন্ট ফান্ড মেচিউর হয়; অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী যত টাকা আমার জমা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ অর্থ চাকরি শেষে আমাকে প্রদান করবে।
সম্প্রতি আমি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আমাকে সব টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং ব্যক্তিগত হিসাব অনুযায়ী আমি লক্ষ্য করি, এখানে কিছু টাকা অতিরিক্ত রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, আমি চাকরিরত অবস্থায় ১০০ টাকা জমা দিয়েছি (প্রতি মাসে মূল বেতনের ১৫% টাকা দিয়ে দিয়ে)। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান আমাকে সমপরিমাণ অর্থাৎ ১০০ টাকা প্রদান করবে—মোট ২০০ টাকা। কিন্তু আমি পেয়েছি ২২০ টাকা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমি জেনেছি এই অতিরিক্ত টাকার উৎস। প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিটি রয়েছে। প্রতি মাসে আমার মতো সকল কর্মচারীর মূল বেতনের ১৫% হারে ফান্ডে জমা হয়। প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী - সুদ ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা সরকারি ট্রেজারি চালানে বিনিয়োগ করে বা সরকারি বন্ড ক্রয় করে। এখান থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে মুনাফা তথা সুদ প্রাপ্তি হয়। এখান থেকে প্রাপ্ত মুনাফাসহ সব টাকার হিসাব একটি সিএ (CA) ফার্ম দ্বারা অডিট করানো হয় এবং অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী তা প্রত্যেক কর্মচারীর মধ্যে বণ্টন করা হয়। প্রতিবছরই অডিট ও টাকার বণ্টন হয়ে থাকে। সুতরাং আমি যে অতিরিক্ত ২০ টাকা পেয়েছি, সেটি এভাবেই এসেছে।
আমার বিনীত প্রশ্ন হলো:
১। উক্ত অতিরিক্ত টাকার শরীয়াহর বিধান কী? স্পষ্টভাবে হালাল/হারাম বললে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
২। যদি হারাম হয়ে থাকে, যেহেতু টাকা আমার অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে কিন্তু এখনো খরচ করিনি এবং এর পরিমাণও আমি জানি, তবে সম্ভাব্য কোন কোন খাতে এটি ব্যয় করা যেতে পারে?