বিস্তারিত --
আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্,,গত তিন বছর আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমার মতো গাফেলকে অন্ধকার গহ্বর থেকে টেনে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন সেই থেকে একটু একটু করে নিজেকে পরিবর্তন করেতে শুরু করেছিলাম উস্তায , নিজের গাফেল জীবনে যখন দেখলাম দ্বীনি ইলমের প্রায়োজন তখনই এক আপুর মাধ্যমে আইওএমের সন্ধান পাই সাথে সাথে হাসবেন্ডের কাছে অনুমতি চাইলাম কিন্তু কেন জানিনা ওনি আমাকে অনুমতি দেইনি উল্টো ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দিয়েছি যদি ওনার অনুমতি ছাড়া আমি আইওএম এ ভর্তি হয়। তখন আমি দমে যায়নি আমি যে দ্বীনি ইলম অর্জনের ভীষন তৃষ্ণাত ছিলাম তাই উস্তাযের কাছে জিজ্ঞেস করলাম হাসবেন্ড থেকে লুকিয়ে ওনার অনুমতি ছাড়া আইওএমে ভর্তি হতে পারবো কিনা তখন উস্তায বলেছিলো দ্বীন শিক্ষার উদ্দেশ্য হলে পারবে কোনো সম্যাসা নেই।।মাসআলা জানার পর আমি আইওএমের ২৪১২ ব্যাচের আলিম কোর্সে ভর্তি হয় আলহামদুলিল্লাহ ।। হাসবেন্ড দেশের বাইরে থাকতো তাই কোনো সম্যাসা হয়নি ভর্তি হতে। এভাবে আইওএমের দ্বিতীয় সেমিস্টার পর্যন্ত শেষ করেছি এর মধ্যে আমার সাথে কয়েকটা বোনের পরিচয় হয় আমি স্টাডি হেল্পার ছিলাম সেই সুবাদে। এক সময় সেই না চেনা না দেখা বোনগুলোর সাথে আমার এমন গাঢ় আত্নার বন্ধন তৈরি হয়ে যায়। মানুষগুলোকে আল্লাহর জন্য বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি । এর মধ্যে হাসবেন্ড দেশে আসে এসে আমার পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে পারে তখন অনেক ঝামেলা হয় আমাদের মাঝে,, আবারও ওনি আমাকে বলেছে এই বার লাস্ট সুযোগ যদি আমি আইওএমকে আর তার সংশ্লিষ্ট সকল কিছু কে চিরদিনের জন্য বিসর্জন দিতে হবে নয়তো ডিভোর্স দিয়ে দিবে।এগুলোর বলার পর আমি হাসবেন্ডকে বড্ড মুহাব্বত নিয়ে শান্তভাবে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি ওনি আমার কোনো কথা শুনতে চাইনা বুঝতে চাই না পুরোটায় গাফেল।
প্রশ্ন :১ উস্তায, এখন আমার কি করনীয়? আমি কি ওনার থেকে লুকিয়ে পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে পারবো?
প্রশ্ন: ২ আমার সে দ্বীনি বোনগুলোর সাথে মুকারিরাহ আপুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো কি ? হাসবেন্ড নিষেধ করার পরও যদি আমি পড়াশোনা + যোগাযোগ করি তাহলে কি স্বামীর অবাধ্য হয়ে যাবো?
উস্তায, দয়া করে আমাকে পথ দেখিয়ে দিন না আমি কোন পথে যাবো।আমি যে বড্ড বেশি অসহায় এক দিকে স্বামী অন্যদিকে আমার রবের পক্ষ থেকে ফরজ করা দ্বীনি ইলম,, কোন পথটা আগলে ধরবো। প্রতিনিয়ত আমি যে চটপট করি উস্তাযের ক্লাস, মুকারিরাহ আপুদের মাশক, তামরীনের জন্য আমি যে আইওএম থেকে কখনো বিছিন্ন হতে চাইনা উস্তায। আইওএমের এই মায়া আমি যে ছাড়তে পারতেছি না, আজ ৫ টা মাস যে কি পরিমান কান্না করেছি তা আমি আর আমার রব ভালো জানেন ক্লাসের সময়গুলোতে ক্লাস করতে না পেরে অসহনীয় কষ্ট হয় আমার উস্তায। আইওএমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল উস্তায, উস্তাযাদের কে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি একটু বেশি । এই ভালাবাসার স্থানটা আমি কিভাবে ছাড়বো এখানে ভর্তি হওয়ার পর তো উস্তায, উস্তাযাদের কাছ থেকে আমি শিখলাম ধৈর্য কিভাবে ধরতে হয় নিজের ঈমানকে কিভাবে ঝালাই করতে হয়, কিভাবে তাকওয়া অর্জন করতে হয়। নিজের আখলাখকে কিভাবে সুন্দর করতে হয়। গুনাহের পথ থেকে কিভাবে বাঁচতে হয়।। এই মানুষগুলো সান্নিধ্যে ছাড়লে যে আমি দ্বীন হারা হয়ে যাবো। কি করবো আমি কোন পথে অগ্রসর হবে দয়া করে বলে দিন না উস্তায। আমার পরিস্থিতি যে বড্ড ভয়ংকর যা আমি লিখাতে প্রকাশ করে অক্ষম।
জাযাকুমুল্লাহ।