আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
বিস্তারিত --

 আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্,,গত তিন বছর আগে  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমার মতো গাফেলকে অন্ধকার গহ্বর থেকে টেনে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন সেই থেকে একটু একটু করে নিজেকে পরিবর্তন করেতে শুরু করেছিলাম উস্তায , নিজের গাফেল জীবনে যখন দেখলাম দ্বীনি ইলমের প্রায়োজন তখনই এক আপুর মাধ্যমে আইওএমের সন্ধান পাই সাথে সাথে হাসবেন্ডের কাছে অনুমতি চাইলাম কিন্তু কেন জানিনা  ওনি আমাকে অনুমতি দেইনি উল্টো ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দিয়েছি যদি ওনার অনুমতি ছাড়া আমি আইওএম এ ভর্তি হয়।  তখন আমি দমে যায়নি আমি যে দ্বীনি ইলম অর্জনের ভীষন তৃষ্ণাত ছিলাম তাই উস্তাযের কাছে জিজ্ঞেস করলাম হাসবেন্ড থেকে লুকিয়ে ওনার অনুমতি ছাড়া আইওএমে ভর্তি হতে পারবো কিনা তখন উস্তায বলেছিলো দ্বীন শিক্ষার উদ্দেশ্য হলে পারবে কোনো সম্যাসা নেই।।মাসআলা জানার পর আমি আইওএমের ২৪১২ ব্যাচের আলিম কোর্সে ভর্তি হয় আলহামদুলিল্লাহ ।। হাসবেন্ড দেশের  বাইরে  থাকতো তাই কোনো সম্যাসা হয়নি ভর্তি হতে।  এভাবে আইওএমের দ্বিতীয় সেমিস্টার পর্যন্ত শেষ করেছি এর মধ্যে আমার সাথে কয়েকটা বোনের পরিচয় হয় আমি স্টাডি হেল্পার ছিলাম সেই সুবাদে। এক সময় সেই না চেনা না দেখা বোনগুলোর সাথে আমার এমন গাঢ়  আত্নার বন্ধন তৈরি হয়ে যায়। মানুষগুলোকে আল্লাহর জন্য বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি । এর মধ্যে হাসবেন্ড দেশে আসে এসে আমার পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে পারে তখন অনেক ঝামেলা হয় আমাদের মাঝে,, আবারও ওনি আমাকে বলেছে এই বার লাস্ট সুযোগ যদি আমি আইওএমকে আর তার সংশ্লিষ্ট সকল কিছু কে  চিরদিনের জন্য  বিসর্জন দিতে হবে নয়তো ডিভোর্স দিয়ে দিবে।এগুলোর বলার পর আমি হাসবেন্ডকে বড্ড মুহাব্বত নিয়ে শান্তভাবে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি ওনি আমার কোনো কথা শুনতে চাইনা বুঝতে চাই না পুরোটায় গাফেল।
প্রশ্ন :১  উস্তায,  এখন আমার কি করনীয়?  আমি কি ওনার থেকে লুকিয়ে পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে পারবো?
প্রশ্ন: ২  আমার  সে দ্বীনি বোনগুলোর সাথে মুকারিরাহ আপুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো কি ?  হাসবেন্ড নিষেধ করার পরও যদি আমি  পড়াশোনা + যোগাযোগ করি তাহলে কি   স্বামীর অবাধ্য হয়ে যাবো?

উস্তায, দয়া করে আমাকে পথ দেখিয়ে দিন না আমি কোন পথে যাবো।আমি যে বড্ড বেশি অসহায়  এক দিকে স্বামী অন্যদিকে আমার রবের পক্ষ থেকে ফরজ করা দ্বীনি ইলম,, কোন পথটা আগলে ধরবো। প্রতিনিয়ত আমি যে চটপট করি উস্তাযের ক্লাস, মুকারিরাহ আপুদের মাশক, তামরীনের জন্য   আমি যে  আইওএম থেকে  কখনো বিছিন্ন  হতে চাইনা  উস্তায। আইওএমের এই মায়া আমি যে ছাড়তে পারতেছি না, আজ ৫ টা মাস যে কি পরিমান কান্না করেছি তা  আমি আর আমার  রব ভালো জানেন ক্লাসের সময়গুলোতে ক্লাস করতে না পেরে অসহনীয় কষ্ট হয় আমার উস্তায। আইওএমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল উস্তায, উস্তাযাদের কে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি একটু বেশি । এই ভালাবাসার স্থানটা আমি কিভাবে ছাড়বো এখানে ভর্তি হওয়ার পর তো উস্তায, উস্তাযাদের কাছ থেকে  আমি শিখলাম  ধৈর্য কিভাবে ধরতে হয় নিজের ঈমানকে কিভাবে ঝালাই করতে হয়, কিভাবে  তাকওয়া অর্জন  করতে হয়। নিজের আখলাখকে কিভাবে সুন্দর করতে হয়। গুনাহের পথ থেকে কিভাবে বাঁচতে হয়।। এই মানুষগুলো সান্নিধ্যে ছাড়লে যে আমি দ্বীন হারা হয়ে যাবো। কি করবো আমি কোন পথে অগ্রসর হবে দয়া করে বলে দিন না উস্তায। আমার পরিস্থিতি যে বড্ড ভয়ংকর যা আমি লিখাতে প্রকাশ করে অক্ষম।
জাযাকুমুল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (691,530 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا 
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঠিক এভাবে স্বামীর বিষয়টাও। দ্বীনি ইলম শিখতে গিয়ে যদি স্বামীর কোনো ক্ষতি না হয়, তাহলে স্বামীর আদেশ পালন এক্ষেত্রে ওয়াজিব হবে না। যেহেতু স্বামী লাস্টবারের মত ওয়ার্নিং দিয়েছে, তাই আপনার উচিত যে করেই হোক  স্বামীকে সন্তুষ্ট করে সামনে অগ্রসর হওয়া। সম্ভবত ফরয সমপরিমাণ ইলম আপনার শিখা হয়ে গেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
উস্তায,  আমার দ্বীনি ইলমের  এই জার্নিতে আমার স্বামীর ক্ষতি হওয়ার কিছুই নেই ওনি তো দেশের বাইরে থাকেন।  প্রথমবার ওনি অনুমতি না দেওয়ার পরও  ভর্তি হওয়ায়  ইচ্ছাকৃতভাবে  আমার সাথে এমন  খারাপ আচরন করতেছে। আর  উস্তায আমার  যে এখনো কুরআন পড়া শুদ্ধ হয়নি নিয়মকানন সব  শিখতে পারিনি অনেক পথ তো বাকি।  সম্মানিত উস্তায, এখন কি  স্বামীর সন্তুষ্ট অর্জন ছাড়া আমি সামনে অগ্রসর না হওয়ার উওম মনে করেছেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...