ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কাউকে এমনিতে বকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শয়তান,আল্লাহ মাফ করবে না তুমাকে,আল্লাহ সহ্য করবে না তুমার কাজ, ইত্যাদি বললে ঈমান চলে যাবে না। তবে এভাবে বলাটা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।
(২) ঈমান ও আকিদা ঠিক রেখে কেউ অমুসলিমদের পুজো দেখতে গেলে বা উইশ করলেও ঈমান চলে যাবে না। তবে এটা অযথা সময় অপচ
(৩) ইয়াকিন ও বিশ্বাস ব্যতিত কোনো বিধাননকার্যকর হবে না। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হবে না।
(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে ঈমান যাবে না়।
(৫) ইমান ভাঙ্গার কারণ না জেনে আগে ঈমান ভঙ্গের মত কাজ করে থাকলে।পরে জানার পর তওবা করলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী আর ঈমান ও বিয়ে নবায়ন করতে হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560
তবে ঐ সমস্ত শব্দের উচ্ছারণ যা সর্বসম্মতিক্রমে ঈমান ভঙ্গ হয়, তাহলে ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
(৬) যে কোন অবস্থায় তওবা করলে তওবা কবুল হয়।তবে উত্তম হল, পবিত্রতার সাথে তাওবাহ করা।
(৭) কেউ ইমান ভংগের মত কারণ না জেনে করে ফেললে জানার পর সাথে সাথে আর করবে না বলে ইসতেগফার পড়লে এটাও তওবাহর স্থলাভিষিক্ত হবে।
(৮) অমুসলিমদের মত পোশাক,টিপ পড়া,ছোটদের কপালে একপাশে বড় টিপ দেওয়া, চুল কালার,চলাফেরা এসব কবিরা গোনাহ।তবে এজন্য ঈমান ভঙ্গ হবে না।
(৯) স্মৃতি সৌধে বা কোন ছবিতে ফুল দেওয়া ও মোমবাতি জ্বালানো এগুলো কবিরা গোনাহ এবং বিদআত। এগুলো করলে সওয়াব হবে এমন মনে না করে এমনিতেই করলে কুফরি হবে না।
(১০) পায়ে ধরে সালাম করলে বিদআত যা কবিরা গুণাহের অন্তর্ভূক্ত।
(১১) কারো যদি এমনিতে দুধ,মধু,লাউ এসব খাবার পছন্দ না এমনিতে পছন্দ না কিন্তু এসব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবার ছিল।এসবের কারণে ঈমানে সমস্যা হবে না।