আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১।কাউকে এমনিতে বকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শয়তান,আল্লাহ মাফ করবে না তুমাকে,আল্লাহ সহ্য করবে না তুমার কাজ ইত্যাদি বললে কি ঈমান চলে যাবে?

২।ঈমান ও আকিদা ঠিক রেখে কেউ  অমুসলিম দের পুজো দেখতে গেলে বা উইশ করলে কি ঈমান চলে যায়?

৩।কারো স্ত্রী বা স্বামী ঈমান ভন্গের পুরোপুরি সব কিছু জানে না।এমন কিছু বলতে পারে যার কারণে ঈমান নষ্ট হতে পারে ।বলতে গেলে হয়ত সবকিছু রেগে যেতে পারে, বা বিশ্বাস না করতে পারে, বা কথা না শোনা, বা বাড়াবাড়ি জাতীয় কিছু হতে পারে।সে তার মত অজান্তে হওয়া সব গুনাহের জন্য মাফ চায় তাহলে কি তার বিয়ে ও ঈমান ঠিক থাকবে আর স্বামী বা স্ত্রী যারা বলে  নি বাড়াবাড়ি না হওয়ার জন্য  তাদের কি গুণাহ হবে?নামাজ পড়ে স্বামী বা স্ত্রীকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখানোর জন্য দোয়া করলে শুধু আর কিছু না করলে ও কি কি কুফরি বলেছে জানার পর ও না বললে কি গুণাহ হবে?

৪।কোন মানুষ জেনেছে হালালকে হারাম বললে আর হারাম কে হালাল বললে ঈমান চলে যায় এবং আরো কিছু বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করতেছে।এমন মানুষ ফতোয়া জানার পর ও ঈমান চলে যাবে কিনা সে ভয়ে যদি বলে এটা নিয়ে আমি জানি না,আমি এমন শুনেছি ঠিক কিনা জানি না এমন বলে শুধু তার কথার দ্বারা যাতে ঈমান চলে না যায় তাহলে এমন বলার দ্বারা কি তার ঈমান চলে যাবে?মানে ইসলামিক কোন মাসআলা বা জিনিস নিয়ে সে ভয়ে কাউকে জানে না বললে?কারণ আবার জানলেও তার মনে ভয় থাকে ঠিকটা জেনেছে তহ এমন ভয়।মানে জোর দিয়ে বলতে ভয় পায়।

৫।এই সাইট থেকে জেনেছি কেউ ইমান ভাংগার কারণ না জেনে  আগে ঈমান ভন্গের মত কাজ করে থাকলে।পরে জানার পর তওবা করলে আর ঈমান ও বিয়ে নবায়ন করতে হয় না।এটা আমি সঠিক জেনেছি?

৬।শুয়া, বসা, পাক,নাপাক,মহিলাদের সতর না ঢাকা, যে কোন অবস্থায় তওবা করলে কি তওবা হয়?

৭।কেউ ইমান ভংগের মত কারণ না জেনে করে ফেললে জানার পর সাথে সাথে আর করবে না বলে ইসতেগফার পড়লে মনে মনে এটা কি তওবা হবে?

৮।অমুসলিমদের মত পোশাক,টিপ পড়া,ছোটদের কপালে একপাশে বড় টিপ দেওয়া, চুল কালার,চলাফেরা এসব করলে কি ঈমান চলে যায়?

৯। স্মৃতি সৌধে বা কোন ছবিতে ফুল দেওয়া ও মোমবাতি জ্বালানো এগুলো কি বড় শিরক বা কুফরি  নাকি বিদাত?এগুলো করলে সওয়াব হবে এমন মনে না করে এমনিতপ করলে কি কুফরি হবে?

১০।পায়ে ধরে সালাম করলে কি শিরক বা কুফরি হবে নাকি কবিরা গুণাহ?
১১।কারো যদি এমনিতে দুধ,মধু,লাউ এসব খাবার পছন্দ না এমনিতে পছন্দ না কিন্তু এসব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবার ছিল।এসবের কারণে কি ঈমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (691,530 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কাউকে এমনিতে বকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শয়তান,আল্লাহ মাফ করবে না তুমাকে,আল্লাহ সহ্য করবে না তুমার কাজ, ইত্যাদি বললে ঈমান চলে যাবে না। তবে এভাবে বলাটা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।

(২) ঈমান ও আকিদা ঠিক রেখে কেউ অমুসলিমদের পুজো দেখতে গেলে বা উইশ করলেও ঈমান চলে যাবে না। তবে এটা অযথা সময় অপচ

(৩) ইয়াকিন ও বিশ্বাস ব্যতিত কোনো বিধাননকার্যকর হবে না। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হবে না।

(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে ঈমান যাবে না়।

(৫)  ইমান ভাঙ্গার কারণ না জেনে  আগে ঈমান ভঙ্গের মত কাজ করে থাকলে।পরে জানার পর তওবা করলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী আর ঈমান ও বিয়ে নবায়ন করতে হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560

তবে ঐ সমস্ত শব্দের উচ্ছারণ যা সর্বসম্মতিক্রমে ঈমান ভঙ্গ হয়, তাহলে ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

(৬)  যে কোন অবস্থায় তওবা করলে তওবা কবুল হয়।তবে উত্তম হল, পবিত্রতার সাথে তাওবাহ করা।

(৭) কেউ ইমান ভংগের মত কারণ না জেনে করে ফেললে জানার পর সাথে সাথে আর করবে না বলে ইসতেগফার পড়লে এটাও তওবাহর স্থলাভিষিক্ত হবে।

(৮) অমুসলিমদের মত পোশাক,টিপ পড়া,ছোটদের কপালে একপাশে বড় টিপ দেওয়া, চুল কালার,চলাফেরা এসব কবিরা গোনাহ।তবে এজন্য ঈমান ভঙ্গ হবে না।

(৯) স্মৃতি সৌধে বা কোন ছবিতে ফুল দেওয়া ও মোমবাতি জ্বালানো এগুলো কবিরা গোনাহ এবং বিদআত। এগুলো করলে সওয়াব হবে এমন মনে না করে এমনিতেই করলে কুফরি হবে না।

(১০) পায়ে ধরে সালাম করলে বিদআত  যা কবিরা গুণাহের অন্তর্ভূক্ত।
(১১) কারো যদি এমনিতে দুধ,মধু,লাউ এসব খাবার পছন্দ না এমনিতে পছন্দ না কিন্তু এসব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবার ছিল।এসবের কারণে ঈমানে সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...