ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে সমস্ত সূরা হা-মীম দ্বারা শুরু হয়েছে, সে গুলো সাতটি।
غافر وفصلت والشورى والزخرف والدخان والجاثية والأحقاف
িএ সমস্ত সূরার বিশেষ কোনো ফযিলত রয়েছে কি না, তা আমরা জানি না। কিছু হাদীস এ সমস্ত সূরা সম্পর্কে রয়েছে, তবে এগুলো প্রমাণিত নয়।(সিলসিলাতুল আহাদিছিয- যাইফা-৩৫৩৭)
আপনার আত্মীয় যিনি হা-মীম দ্বারা শুরু হওয়া সাতটি সূরার কথা বলছেন যে, এগুলো জাহান্নামের আযাব থেকে মানুষকে রক্ষা করবে, এটার কোনো আসল নাই। কোনো প্রমাণ নাই।
ইমাম বায়হাকী খলীল ইবনে মুররাহ থেকে একটি হাদীস এ বিষয়ে বর্ণনা করেন যে,
عَنِ الْخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ( الْحَوَامِيمُ سَبْع ٌ، وَأَبْوَابُ جَهَنَّمَ سَبْعٌ تَجِيءُ كُلُّ حم مِنْهَا تَقِفُ عَلَى بَابٍ مِنْ هَذِهِ الْأَبْوَابِ فَتَقُولُ : اللهُمَّ لَا تُدْخِلُ مِنْ هَذَا الْبَابِ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِي وَيَقْرَؤُنِي ) وقال البيهقي عقبه هَكَذَا بَلَغَنَا بِهَذَا الْإِسْنَادِ الْمُنْقَطِعِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, হা-মীম সম্ভলিত সূরা সাতটি। এবং জাহন্নামের দরজা সাতটি। প্রত্যেকটা হা-মীম কিয়ামতের দিন প্রত্যেকটা জাহান্নামের দরজার সামনে এসে বলবে, হে আল্লাহ! যে আমার উপর ঈমান এনেছে, এবং আমাকে তেলাওয়াত করেছে, তাকে এই জান্নামে প্রবেশ করাবে না।ইমাম বায়হাকী নিজেই উক্ত হাদীস বর্ণনার পরে বলেন, এভাবেই আমার নিকট উক্ত হাদীস মুনকা’তি সনদে পৌছেছে।( শুআবুল ঈমান-৪/১০৫, ছা’লাবী-৮/২৬১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই সনদ নিতান্তই দুর্বল। কেননা খলীল ইবনে মুররাহ হলেন, তাবয়ীদের একজন যিনি কিনা রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে হাদীস বর্ণনা করতেছেন। এই খলীল ইবনে মুররাহ আর রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মধ্যে কমপক্ষে দুইজন রাবী রয়েছেন। তাছাড়া খলীল ইবনে মুররাহ হলেন একজন দুর্বল পর্যায়ের রাবী। ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদীস। ইবনে মায়িন, আব-হাতীম উনাকে দুর্বল রাবী হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। ( মিযানুল এ’তেদাল-১/৬৬৭)