আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,568 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (2 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার এক আত্মীয় আমাকে নিম্নের হাদীসে আমল করতে বলছেন, সেখানে আল কুরআন এর ‘হা-মীম’ দ্বারা শুরু ৭টি আয়াত উল্লেখ করে বলা হয়, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন এ ৭টি আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার জন্য জাহান্নামের ৭টি দরজা বন্ধ থাকবে।”(তঃ হক্বানী) এটার কি কোন দলিল আছে? এ আমল করা কি ঠিক হবে?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে সমস্ত সূরা হা-মীম দ্বারা শুরু হয়েছে, সে গুলো সাতটি। 
 غافر وفصلت والشورى والزخرف والدخان والجاثية والأحقاف 
িএ সমস্ত সূরার বিশেষ কোনো ফযিলত রয়েছে কি না, তা আমরা জানি না। কিছু হাদীস এ সমস্ত সূরা সম্পর্কে রয়েছে, তবে এগুলো প্রমাণিত নয়।(সিলসিলাতুল আহাদিছিয- যাইফা-৩৫৩৭)

আপনার আত্মীয় যিনি হা-মীম দ্বারা শুরু হওয়া সাতটি সূরার কথা বলছেন যে, এগুলো জাহান্নামের আযাব থেকে মানুষকে রক্ষা করবে, এটার কোনো আসল নাই। কোনো প্রমাণ নাই। 

ইমাম বায়হাকী খলীল ইবনে মুররাহ থেকে একটি হাদীস এ বিষয়ে বর্ণনা করেন যে, 
عَنِ الْخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ( الْحَوَامِيمُ سَبْع ٌ، وَأَبْوَابُ جَهَنَّمَ سَبْعٌ تَجِيءُ كُلُّ حم مِنْهَا تَقِفُ عَلَى بَابٍ مِنْ هَذِهِ الْأَبْوَابِ فَتَقُولُ : اللهُمَّ لَا تُدْخِلُ مِنْ هَذَا الْبَابِ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِي وَيَقْرَؤُنِي ) وقال البيهقي عقبه هَكَذَا بَلَغَنَا بِهَذَا الْإِسْنَادِ الْمُنْقَطِعِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, হা-মীম সম্ভলিত সূরা সাতটি। এবং জাহন্নামের দরজা সাতটি। প্রত্যেকটা হা-মীম কিয়ামতের দিন প্রত্যেকটা জাহান্নামের দরজার সামনে এসে বলবে, হে আল্লাহ! যে আমার উপর ঈমান এনেছে, এবং আমাকে তেলাওয়াত করেছে, তাকে এই জান্নামে প্রবেশ করাবে না।ইমাম বায়হাকী নিজেই উক্ত হাদীস বর্ণনার পরে বলেন, এভাবেই আমার নিকট উক্ত হাদীস মুনকা’তি সনদে পৌছেছে।( শুআবুল ঈমান-৪/১০৫, ছা’লাবী-৮/২৬১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই সনদ নিতান্তই দুর্বল। কেননা খলীল ইবনে মুররাহ হলেন, তাবয়ীদের একজন যিনি কিনা রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে হাদীস বর্ণনা করতেছেন। এই খলীল ইবনে মুররাহ আর রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মধ্যে কমপক্ষে দুইজন রাবী রয়েছেন। তাছাড়া খলীল ইবনে মুররাহ হলেন একজন দুর্বল পর্যায়ের রাবী। ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদীস। ইবনে মায়িন, আব-হাতীম উনাকে দুর্বল রাবী হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। ( মিযানুল এ’তেদাল-১/৬৬৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...