ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিড়ালকে বন্দী রাখলে খাবার দিতে হবে ও চিকিৎসা করাতে হবে। তবে উন্মোক্ত বিড়ালকে খাবার দেয়া বা চিকিৎসা করারোর দায়িত্ব কারো উপর বর্তাবে না। তার জন্য নির্ধারিত খাবার সে নিজেই সংগ্রহ করবে, এবং তার অসুস্থতার জন্য গাছের লতাপাতা ও প্রকৃতি থেকে সে নিজেই চিকিৎসা গ্রহণ করবে।
বিড়ালকে উন্মোক্ত অবস্থায় নিজ বাড়ীতে বা অন্য কোথাও ছেড়ে দিবেন। সে তার ব্যবস্থা নিজেই করবে। এই যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। অতঃপর মারা গেলে আপনার উপর দায় বর্তাবে না। হ্যা, মুস্তাহাব হিসেবে আপনি তার জন্য খাবার বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন।