আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

আমার বাসায় একজন একটা বিড়াল ফেলে যায় সেই বিড়াল বাচ্চা দেয়াতে  এখন ২০ টা বিড়াল হয়ে গেছে। এদেরকে দূরে ছাড়ার চিন্তা অনেকবার করেছি কিন্তু এদের খাওয়ার অভ্যাস এমনযে ঠিক সময় মত খাওয়ার যায়গায় এসে বসে অপেক্ষা করবে। ঘরে জন্ম হওয়ায় এরা খাবার খুজে খাওয়া বুঝেনা আর মানুষ অনেক ভয় পায়।
এখন এদের পিছনে সময় শ্রম অর্থ যা পরিমানে প্রয়োজন তা আমার জন্য অসম্ভব না হলেও কষ্ট সাধ্য ।
এর মধ্যে কিছু বিড়াল আছে যারা ঘরে বিভিন্ন যায়গায় প্রশ্রাব করে এই অভ্যাস কোনোভাবে দূর করতে পারিনি। এটাই এখন সবেচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক হয়ে দাড়িয়েছে।
এখন এমন বিড়াল যদি অসুস্থ হয় আর আমি তার চিকিৎসা না করাই আর সে মারা যায় এতে কি গুনাহ হবে? এই খরচ বহন করা আমার জন্য অসম্ভব না হলেও অনেক চাপ এর। আমার কাছে দূরে রেখে আসার চেয়ে ওদের চোখের সামনে মরতে দেখা সহজ কারন বাহিরে অন্তত কষ্টে আছে এই চিন্তায় ভুগতে হবেনা। মাফ করবেন ভুল হয়ে থাকলে।কিন্তু আমার এ বিষয়ে পরামর্শ দরকার
আর আমি চেষ্টা করি এদের পিছনে অপব্যায় না করতে। কিন্তু বিড়াল পালা নিয়ে একজন ইসলামিক ব্যাক্তিত্বের নেগেটিভ মনোভাবের কারনে এখন অনেক গিলটি ফিল হয় যে আমি কেন এদের পিছে এত শ্রম অর্থ ব্যয় করি আমিতো আরো ভালো কাজ করতে পারতাম এই টাকা কাউকে দান করে। আমার এদের পিছে খরচ করাতে আমি কি সোয়াব পাবো?

আবার ছেড়ে আসা হয়েছে এমন বিড়াল সপ্তাহ খানিক পর মৃত অবস্থায় পেয়েছি তাই এটাই যে বেস্ট অপশন সেটাই মানতে পারিনা।

আমি এদেরকে একদমই আটকে পালিনি। এরা যায়না বাসা থেকে গেলেও চলে আসে।

1 Answer

0 votes
ago by (689,700 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিড়ালকে বন্দী রাখলে খাবার দিতে হবে ও চিকিৎসা করাতে হবে। তবে উন্মোক্ত বিড়ালকে খাবার দেয়া বা চিকিৎসা করারোর দায়িত্ব কারো উপর বর্তাবে না। তার জন্য নির্ধারিত খাবার সে নিজেই সংগ্রহ করবে, এবং তার অসুস্থতার জন্য গাছের লতাপাতা ও প্রকৃতি থেকে সে নিজেই চিকিৎসা গ্রহণ করবে।

বিড়ালকে উন্মোক্ত অবস্থায় নিজ বাড়ীতে বা অন্য কোথাও ছেড়ে দিবেন। সে তার ব্যবস্থা নিজেই করবে। এই যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। অতঃপর মারা গেলে আপনার উপর দায় বর্তাবে না। হ্যা, মুস্তাহাব হিসেবে আপনি তার জন্য খাবার বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...