আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
6 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

একজনের বিয়ের আলাপে মাযহাব নিয়ে এই কথা হয়েছিলো। কিন্তু নিচের দুইটা বিষয় নিয়ে অনেক দ্বীধায় থাকায় সামনে কথা বাড়াতে পারছে না।যদি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন-

❝আমি মাজহাব সম্পর্কে জানাচ্ছি জানানোর আগে কিছু কথা বলতে চাই সেটা হল আমার বংশ সালাফি মানহাজের অর্থাৎ আহলে হাদিস যাকে বলা হয় আমিও সালাফী মানহাজে বিশ্বাসী ছিলাম অর্থাৎ আহলে হাদিস ছিলাম আমার বংশের সিলসিলা অনুসরণ করে কিন্তু এখন আমি চার মাযহাবের যে কথাগুলো কোরআন সুন্নাহর সঙ্গে মিলে যাবে সেটাই আমার মাযহাব এক কথায় কোরআন-সুন্নাহর অনুসারী এই নীতি ৪ ইমামের চারজনেই অনুসরণ করেছে এবং তারা বলেছে তাদের যে কথাগুলা কোরআন সুন্নাহর সাথে মিলে যাবে সেটাই তাদের মাজহাব। আমি একনিষ্ঠ ভাবে কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে চাই আর কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণ করতে গিয়ে যে মাযহাবের সঙ্গেই মিলে যাবে সেটাই আমার মাযহাব এটাই তার ইমামের মত ছিল আর এটাই আমার মত।চার ইমামের নাম বলতেছি ইমাম আবু হানিফা ইমাম শাফি ইমাম মালেক ইমাম হাম্বল এই চার ইমামের একই কথা ছিল এই আমার যে কথাগুলো কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে মিলে যাবে সেটাই আমার মাযহাব।মাযহাব সম্পর্কে তাদের এই বক্তব্য ছিল বা আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে আর এটাই আমার কথা।

নির্দিষ্টভাবে এক মাযহাবের অনুসরণ করা এবং অন্য মাযহাবের কিছু কিছু বিষয় কোরআন হাদিসের সঙ্গে মিলে যাওয়ার পরেও সেগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাটা এক ধরনের গোড়ামী।

কোরআন সুন্নাহ টা বুঝাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এবং মাযহাব গুলোকে কোরআন সুন্নাহ বোঝার জন্য সহায়ক হিসেবে গ্রহণ করা আমাদের দায়িত্ব কারন তারা যেভাবে কোরআন হাদিস গবেষণা করেছে সেই ভাবে গবেষণা করার সুযোগ আমাদের নেই এই জন্য তাদের মন্তব্য গুলো তাদের গবেষণাগুলো আমাদের জন্য সহায়ক❞

এই অভিমত থেকে কিভাবে বুঝবো উনি কোন মাযহাবের অনুসারী?

@❝আমার বন্দী হওয়ার বিষয়ে আমি জানাচ্ছি কারণ ছিল যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে নিয়ে এবং তার চরিত্র নিয়ে উলটপালট কথা বলতে ছিল অর্থাৎ যে সমস্ত ব্লগার নাস্তিকেরা যারা কোন স্রষ্টাই বিশ্বাসী না বিভিন্নভাবে রাসূলের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করতে ছিল এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করতেছিল সেই ব্লগার নাস্তিকদের যারা বিরোধীতা করতেছিল আমি তাদেরকে সাপোর্ট দিয়েছিলাম এটাই ছিল আমার অপরাধ আর ব্লগার নাস্তিক বলা হয় তাদেরকে যারা কোন স্রষ্টাই বিশ্বাসী না তারা মনে করে তারা কলা গাছের মত আপনা আপনি হয়ে গেছে❞--এই ইস্যুতে গত ৮ বছর বন্দী ছিলো,আয়না ঘরেও রাখা হয়েছিলো নাকি।এ বছর রোজায় ছাড়া পেয়েছে।এখনো মামালা মিমাংসা হয় নি।হাজিরা দেওয়া লাগে।

এই দুই ক্ষেত্র বিবেচনায় বিয়ের কথাবার্তা কি সামনে এগিয়ে নেওয়া ঠিক হবে।যদি একটু বিস্তারিত জানাতেন

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...