আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
8 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমি আপনাদের একজন স্টুডেন্ট এর হাসবেন্ড।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ পড়াশোনা করছি।

ছোটবেলা থেকেই জাহিলিয়াতের মধ্যে আমার বড় হওয়া।আমার পারিবারিক সংস্কৃতি ছিলো এমন:বাসার নারীরা পর্দাকে ছোট করে দেখা,গানবাজনার/বাদ্যযন্ত্রের চর্চা সবাই একসাথে,আমার গানের স্কুলে ভর্তি হওয়া ইত্যাদি।পড়াশোনায় ও কখন মনোযোগী ছিলাম না  যদিও বাবা বাসায় ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতেন আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আস্তে আস্তে বড় হই আর জাহিলিয়াতে মধ্যে আরো বেশি হারিয়ে যেতে থাকি।যার ফলে সাধারণ মানবীয় গুনাবলি অর্জন করে ওঠা হয়নি যেমন পুরুষ হিসেবে ইনকাম নিয়ে ফিকির, দ্বায়িত্ববোধ ইত্যাদি।
আলহামদুলিল্লাহ দ্বীনে ফেরা ৪ বছর চলছে মাত্র।এরপর জেনারেলের পড়ার প্রতি মনোযোগ আগের থেকে বাড়লেও যথেষ্ট হয়না তবে দ্বীনের পড়ার অগ্রগতি অনেক বেশি ছিলো বলে আমার উস্তাদদের মত।তখন আমার উল্লেখিত মানবীয় গুনাবলির ব্যার্থতা বিষয়ে জানতে পারলেও নিজেকে গুছিয়ে উঠতে পারিনাই।দ্বীনে ফেরার পর থেকেই বিভিন্ন পারিবারিক চাপ ও ইসলামের দৃষ্টিতে আমার পিতা-মাতার প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করে আরো বেশিই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকি।যারফলে আমার দৈনন্দিন যোগ্যতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার গতি আরো কমতে থাকে।সাথে আমার কিছু শারীরিক সমস্যাও আছে যা: ঘাড় ও মাজার সমস্যা।ডাক্তার বলেছেন ভারী কাজ না করতে।
এর সাথে দ্বীনি কিছু কার্যক্রমেও সময় দেওয়ার তৌফিক হয় আলহামদুলিল্লাহ যেমন সচেতনতা লিফলেইট প্রদান,এলাকার যুবকদের কিভাবে জাহান্নামের পথ থেকে নিয়ে আসা যায় এগুলো।লক্ষ তখন একটাই ছিলো কিভাবে যত মানুষ কে জাহান্নামের পথ থেকে দূরে নিয়ে আসা যায়।এই সময় আমার দ্বীনি ভাইদের থেকে দূরীকরণের লক্ষে আমারা স্বপরিবারে একজেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হই ও আমি একা হয় যাই।

ঠিক তখন একটা ঘটনা ঘটে।ছোটবেলার একজন সহপাঠী আমাকে ফেইসবুকে নক করে এবং শুরুতেই বিয়ের প্রস্তাবনা দেয়।এবং জানায় তার দ্বীনের গাইডলাইন প্রয়োজন।আমি আমার অবস্থা বলেছিলাম যে আমি তোমার হক আদায় করতে পারবোকিনা আমি জানিনা।আবার বলেছিলাম আমার সাথে থাকতে তোমাকে প্রচুর সবর করতে হবে।তিনি বলেছিলেন আমি তো সবর ই করতে চাই।তখন বলেছিলাম ঠিকাছে আল্লাহ চাইলে হবে নাইলে নাই।বলে ফেইসবুকে ব্লক করে দিই কারণ নন মাহরামের সাথে ম্যাসেজিং ও ফিতনা।আর আমিও চাছিলাম বিয়ে করলে যুবক হিসেবে অনেক ফিতনা থেকে দূরে থাকবো ও সাথে মনে হচ্ছিলো যুবতি হিসেবে তিনিও অনেক ফিতনা থেকে মুক্ত হবেন।

এরপর আমি বাসায় জানাই,বাবা বলে ১ বছর পর।তাই যেহেতু অবিভাবকের মত আছেই আর আমরাও রাজি,তাই ফিতনার আশঙ্কায় নিজেরা গোপনে বিয়ে করেফেলি। এরপর সবকিছুই খুব সুন্দর চলতে থাকে।

কিন্তু হঠাৎ একটা ঘটনা ঘটে।আমার বাসা থেকে মেয়ের ডিটেইলস নেওয়া হয়।এবং তার কিছুদিন পরেই আমাদের মধ্যে বেশ বড় একটা ঝামেলা ঘটে।ঝামেলা হওয়ার ২/১ দিন আগে থেকেই আমিও শারীরিকভাবে নিজেকে খুব ভারসাম্যহীন অনুভব করছিলাম।

তো ঝামেলা হওয়ার পর আমি কোনো হিসাব মেলাতেই পারিনা। সেদিন রাত্রে আমি আল্লাহর সিজদাহে লুটিয়ে পড়ি ও কেমন জানি মনেহলো আমার অন্তরে কেউ এসে ম্যাসেজ দিলো যে আমাদের যাদু করা হয়েছে।পরেন দিন কোনো যোগাযোগ নেই।তিনি স্বপ্নে দেখেছেন যে আমি নাকি তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছি এগুলো।এরপর দিন আমি উপায় না পেয়ে একজন রাকি ভাইয়ের পরামর্শে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে তার সুস্থতার নিয়ত করে রুকইয়াহ করতে থাকি এবং আলহামদুলিল্লাহ এরপরই তার সাথে আমার যোগাযোগ সম্ভব হয় আলহামদুলিল্লাহ। এরপর থেকে মাঝে মাঝেই এভাবে রুকইয়াহ করতাম আলহামদুলিল্লাহ আর কাজেও দিলো।মজার বিষয় হলো মাঝে মা একদিন বলেছিলো 'এখনতো প্রেশার কম।পড়ায় মন দাও'।আমাদের বিষয়ে বাসায় কিছু জানতো না।তবে জানলো কিভানে প্রেশার কখন কেমন?আমার ধারণা কবিরাজ তাদের বলেছিলো যে আমাদের যোগাযোগ নেই।

আলহামদুলিল্লাহ রব্বেকারিম সবসময় আমার পাশে ছিলেন।এবং তিনি আরো সাহায্য করলেন এভাবে যে আমাদের যাত্রাবাড়ি রুকইয়াহ সেন্টারে যাওয়ার সুযোগ হয় আলহামদুলিল্লাহ যেটা সন্দিপন প্রকাশনির 'রুকইয়াহ' বইয়ের লেখক দ্বারা সাজেস্টকৃত।এবং সেখান থেকে বলে উনার জ্বীনের সমস্যা আছে ও আমার বদনজরের।এবং বেশ কিছু আমল দেয়।আল্লাহ মাফ করুক আমলগুলো এখনো করা হয়নি।

যেহেতু  বিয়ে করে ফেলেছি তাই চাপ সৃষ্টি করেছি,বলেছিলাম "বিয়ে না দিলে পড়ালেখা করবো না"।তাই বিয়ে দিলে পড়ালেখা করবো শর্তে আলহামদুলিল্লাহ সবার মুখে হাসি নিয়েই বিয়েটা সম্পন্ন হয়।

এরপর শুরু হয় পরিক্ষা।প্রথমত আর্থিকভাবে পরিবার থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাপোর্ট দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার পড়াশোনায় মনোনিবেশ না করার ফলে স্ত্রী মনক্ষুন্ন হতে থাকেন ও কষ্ট পেতে থাকেন(কারন বিয়ের আগে যখন পড়াশোনা করতাম না,তখন বলেছিলাম বিয়ে হলে মাথা ঠান্ডা থাকবে তখন পড়বো) ।একই সাথে ইনকামের কোনো চেষ্টা না থাকায় উনি আরো দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতে থাকেন।  গায়রত ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে ও আমি মানসিক ভারসাম্য ধরে রেখে নিজের কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে দিন দিন আরো বেশি হিমশিম খেতে থাকি।বিয়ের পর নতুন জীবনে অভস্ত্য হওয়ার সময় এই অভিজ্ঞতাগুলো ছিলো এডভেঞ্চারাস।
আমার লক্ষ্য ছিলো বিয়ের পর রুকইয়াহ করবো কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না।বেশ কয়েকবার করা হয় প্রতিবারই আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যান ও কন্টিনিউ করা হয় না।

পাশাপাশি আমার বাবা-মার ইমান বিধ্বংসী কথা বার্তায় আরো কঠিন হতে থাকে সবকিছু।আমার আল্লাহ সুবহা না হুওয়া তা'লার কাছে নিয়মিত দু'আ ছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা থাকে না।অবশ্য এর থেকে শক্তিশালী পথ আর হয়ও না।বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন বিষয় চেষ্টা করতে থাকি কিন্তু কেন জানি শেষ করতে পারি না।প্রতিটা কাজেই আমার এমন হয় যে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি।একাধিক কাজে আমি প্রচন্ডরকম উদ্যোগি হয়ে শুরু করি,কিন্তু আর শেষ হয় না।মন উঠে যায়।এদিকে আমার স্ত্রী ও আমারপ্রতি বিশ্বাস দৃঢ় হয়ে যায় যে আমাকে দিয়ে কিছুই হয় না আর হবেও না। এর পরেও আলহামদুলিল্লাহ আমি নিরাশ হয়নি।এটা মু'মিনের শান না।আল্লাহ আযযা ও জাল যতদিন আছেন নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।অবশ্যই তিনি অবিনশ্বর।
দিন দিন বাবা-মা,বিবাহিতা বড় বোন,স্ত্রী সবারই আমার উপর থেকে আশা কমতে থাকে।স্বাভাবিক, আমার বাহ্যিক কর্মকান্ড সবই ছিলোই এমন।

এরপরে রব্বে কারীম আমাকে একটা চিন্তা উপহার দেন আলহামদুলিল্লাহ।
সেটা হলো আমার মনেহয় যে সালাতুত দোহা আর রাতে ওয়াকিয়াহ তিলওয়াতই হতে পারে এখন একমত্র সমাধান।আলহামদুলিল্লাহ শুরু করে দিই।

এরপর থেকে বিভিন্ন ঘটনা আমার সাথে ঘটতে থাকে।হঠাৎ আমার স্ত্রী ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত নেন।পুরুষ হিসেবে আমার গায়রতে বাধে যে আমার ইনকামের সুযোগ হয়না কিন্তু স্ত্রী ইনকাম করবে,এরপরও আমি বিষয়টাকে আল্লাহর দিকে নিসবত করি ও মনে করি যদি এটা জাইজ হয় তাহলে বুঝবো এটা আমলের প্রতিদান।তাই আইফাতওয়া থেকে যখন ফাতওয়া আসলো এটা জাইজ তখন আমি অনুমতি দিয়ে দিই আল্লাহর সাহায্য মনে করে।

আর এরপর ও ঘটে আরেকটা ঘটনা।আমার বাবা আর বড় বোন সিন্ধান্ত নেন আমাদের ট্রেইন দেওয়ার জন্য আলাদা বাসায় সংসার করার জন্য রাখবেন।যদিও ফাইনালি আমাদের বলা হয়নি শুধু বড়বোন এমনি শেয়ার করেছেন বিষয়টা।(আমারা এখনও সবাই ভাড়াবাসাতেই থাকি নিজস্ব বাসা না থাকায়)।বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন এখন অবসরপ্রাপ্ত। তো আমিও খুশি যে ট্রেইন হওয়া তো প্রয়োজন।আলহামদুলিল্লাহ যেকোনো হালাল রিজিক অন্বেষণের জন্য আমি প্রস্তুত।সেই মোতাবেক সিন্ধান্ত নিই এখন আল্লাহ খাওয়াচ্ছে তখনও তিনিই যথেষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ। শুধু রিজিকের সন্ধানে বের হতে হয় এই বিধানের উপর আমল হিসেবে আমি অটো চালাবো। আমার স্ত্রীর ও শুরুতে তেমিন দ্বীমত ছিলো না আলহামদুলিল্লাহ। যদিও তার আরো কিছু মত ছিলো যেমন কাপড়ের শোরুম/মাদ্রাসার বাচ্চাদের টিউশনি।

এর মাঝে আমার শাশুড়ী মাকে আমার স্ত্রী বিষয়টা জানালে তিনি দ্বীমতপোষণ করেন ও বলেন এমন হলে তিনি তার মেয়ে  নিয়ে তার কাছে রাখবেন(তালাক নয়)।পরে আমার ইনকাম সোর্স প্রতিষ্ঠিত হলে ও পড়া লেখা শেষ হলে আবার একসাথে থাকতে বলবেন।তিনি চিন্তা করেন এখন আমি ইনকাম করে আলাদা সংসার চালাতে গেলে পড়াশোনা হবে না।তাই তিনি পরামর্শ দেন বাসায় থেকেই ইনকাম করতে।আলাদা সংসারে না যেতে।আমার স্ত্রী ও একই মত পোষণ করেন যে বাসায় থেকে ইনকাম করাই যৌক্তিক।

কিন্তু বাসায় থাকলে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকি।আর চেষ্টা করেও কোনো কিছু শেষ অবধি ধরে রাখতে পারি না।

আমার মতামত যে আলাদা হয়ে এই বিষয়গুলোর শিক্ষা নিতে।

আমার স্ত্রীর মতামত এতে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হবে(আমার স্ত্রীর পরিবার এটা মেনে নেবে না)ও আমার ইনকাম করতে গেলে পড়াশোনা হবেনা আর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারনে হয়তোবা আমাদের বাসা থেকে খরচ নিতে হবে।এতে বাসায় ডাবল খরচ হবে।বাবা অবসরপ্রাপ্ত হওয়ায় পেনশনের টাকায় অনেক হিসাব করে মাস চালাতে হয়,এমতাবস্থায় তাদেরকে যদি আমাদের দিতে হয় তাহলে ডাবল খরচ হয়ে যেতে পারে।

যদিও আলাদা থাকার মত বড় বোনের কাছথেকেই।আমি এই প্রস্তাবনা উত্থাপন করিনি।


বাসা থেকে এই শর্তে বিয়ে দেওয়া হয় যে আমাকে পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে হবে কিন্তু এখন আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনা।আমার মনেহয় এই সার্টিফিকেট আমার কোনো কাজে আসবেনা।যেহেতু আমার চিন্তা ব্যাবসা করবো।আর ব্যাবসার টাকা ম্যানেজ করবো অটো চালিয়ে।যেহেতু পড়াশোনা করা হয়না তাই যেকোনো কাজে বাসা থেকে কথা শোনায়। বাসায় সার্বিক দ্বীনি পরিবেশ এমন যে শায়খ মুশাহিদ আলী চমকপুরির সাপ্তাহিক ইসলাহি হালাকায় যেতে চেলেও খোজ নেয় পড়াশোনা করেছি কিনা।কারন তাদের শুধু সার্টিফিকেট চায়।আমি ইনকাম করি সেটাও তারা চায়না,শুধু চায় আমি যেনো পড়াশোনা করি।আমার মত হলো পড়াশোনা যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছি করতে তো হবেই কিন্তু ওলামায়ে কেরামের সহবত থাকার শর্ত পড়াশোনা বানিয়ে দিয়েছে তাই পড়াশোনা আরোই ভালোলাগে না।

আমার আর আমার বউয়ের যাবতীয় খরচ  ও শখ পুরণ নির্দ্ধিধায় বাসা থেকে দেয় এবং এটা নিয়ে কখনো কোনো নেগেটিভ কথা শোনায় না।তারা শুধু চায় আমি পড়াশোনাটা যেনো ভালোভাবে করি।বাবা মাঝেমাঝে ফিল্যান্সিং এর জন্য উৎসাহিত করে।

এখন সার্বিক দিক বিবেচনায় 'আমার মত: যেহেতু আমাদের মধ্যে সমস্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে বা কুফরি কালাম সংক্রান্ত সমস্যা আছে সেটার প্রতিকার যেহেতু এখনো নেওয়া হয়নি তাই এই সমস্যাগুলো এখনো আছে অর্থাৎ আমার পড়াশোনা বিমুখতা ও অন্তরের অস্থিরতা।কারণ আমি অনেক আন্তরিক হয়ে কাজগুলো করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও অন্তর পরিবর্তন হয়ে যায় বার বার।এবং বাসায় এই ইসলাম কে আঘাত করে কথা বলার বিষয়টা আমাকে প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রণায় ভোগায়।

এবং আমার মনে হয় নিজের প্রচেষ্টার সাথে হয়তোবা রুকইয়াহই একমাত্র পথ।


এবং উনার মত: পুরোটাই আমার উদাশীনতা ও অযোগ্যতা ও গাফিলতি ও অলসতা।আমি চায়লে বাসায় থেকে টিউশনি/অনলাইনে কাজ করতে পারি।এতে করে আমাদের একান্ত খরচগুলো চলবে।কারন বাসা থেকে ইনকাম নিয়ে কোনো প্রকার কিছু বলা হয়না বা  এই বিষয়ে চাপও নেই।

আমার এই পুরো ম্যাসেজটা আমার স্ত্রীকে পাশে রেখেই লেখা আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাসেজের সত্যতা বিষয়ে উনিও আমার সাথে একমত পোষণ করেছেন।


এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
ago by (659,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

নিজে উপার্জন করে খাওয়ার কথা রাসুল সাঃ বলেছেন।
হাদীসে এসেছে,

হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত

 ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি।
আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত করতেন।(মিশকাত-২৭৫৯)

হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত

 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.

রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে,আপনি হালাল পথে উপার্জন করবেন।

এক্ষেত্রে টিউশনি করে বা অনলাইনে/অফলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।

আপনি কোন চাকরিও করতে পারেন, সেক্ষেত্রে চাকরি পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...