বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিড়ালের ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে চার মাযহাব প্রায় একমত যে,ক্রয় বিক্রয় জায়েয।তবে আছারি অনুসারিরা নাজায়েয বলে থাকেন।
«- اخْتَلَفَ الْفُقَهَاءُ فِي جَوَازِ بَيْعِ الْهِرَّةِ.
فَذَهَبَ جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ مِنَ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ إِلَى أَنَّ بَيْعَ الْهِرَّةِ جَائِزٌ؛ لأَِنَّهَا طَاهِرَةٌ وَمُنْتَفَعٌ بِهَا وَوُجِدَ فِيهَا جَمِيعُ شُرُوطِ الْبَيْعِ، فَجَازَ بَيْعُهَا كَالْحِمَارِ وَالْبَغْل،» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (42/ 266)
হানাফি, শাফেয়ী,মালিকি,হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত উলামায়ে কেরামের মতে বিড়ালের ক্রয় বিক্রয় জায়েয। কেননা, বিড়াল পবিত্র। এবং তা দ্বারা বৈধ ফায়াদ গ্রহণ করা সম্ভব। এবং তার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের সমস্ত শর্ত বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং গাদা এবং খচ্ছরের মত তার ক্রয়-বিক্রয়ও জায়েযই হবে।( আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৬৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১২৩৬৬
তাকলীদে শরয়ী সম্পর্কে উলামাগণ একমত।এ সম্পর্কে উলামাদের ইজমা রয়েছে।তবে আছারিরা তাকলীদকে না মেনে ইজমায়ে উম্মতের বিরোধিতা করে থাকেন। এছাড়া আরো কিছু বিষয় রয়েছে।তবে আছারিরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তর্গত ফিরকা, সুতরাং তাদেরকে তাকফির করা যাবে না।
(২)
পুরুষদের কওমি মাদ্রাসা ও মহিলাদের কওমি মাদ্রাসার মধ্যে আমাদের জানামতে আদর্শগত কোনো পার্থক্য নাই। তবে মহিলা কওমি মাদরাসায় ক্লাস কিছুটা কম থাকে।